বৃহস্পতিবার ● ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রাঙামাটি শহর
নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রাঙামাটি শহর
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৬ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.০৮মি.) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাঙামাটি শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে পুরো রাঙামাটি শহর। শহরের প্রায় সব পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। বাড়তি পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাঙামাটি শহর ঘুরে দেখা গেছে ভেদভেদী, কলেজ গেইট, কল্যাণপুর, দেবাশীষ নগর, ষ্টেডিয়াম এলাকা, রাজবাড়ী, নিউ মার্কেট, জেলা প্রশাসনের কার্যালয় প্রাঙ্গন, কোর্ট বিল্ডিং, আদালত প্রাঙ্গন, চম্পক নগর, বনরুপা, কাঠাল তলী, বিএনপি অফিসের সামনে, পৌর মার্কেট, ফিসারী এলাকা, আওয়ামীলীগ অফিস প্রাঙ্গন, দয়েল চত্তর, রিজার্ভ বাজার ও তবলছড়িসহ শহরের সকল পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অবস্থান নিয়েছেন। যেকোন ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ভ্রাম্যমান আদালত ও ষ্টাইকিং ফোর্স বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বেশকিছু দোকান পাট,অফিস,ব্যাংক,আধাসরকারি অফিস প্রায় বন্ধ ছিল এবং সরকারি অফিসে লোকজনের উপস্থিতি কম ছিল। এছাড়া শহরে যানবাহন চলাচল সীমিত রয়েছে রাঙামাটি শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে, আশা করছি কোন ধরনের সমস্যা হবেনা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জেলায় কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সুপার জানান।
উল্লেখ্য,রাঙামাটিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয় থেকে রাঙামাটি জেলা বিএনপি সভাপতি শাহ আলমসহ ৬ নেতাকর্মীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে রাঙামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশ। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরো ১২ জনসহ ১৮জন বিএনপি’র নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে।