বৃহস্পতিবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাট মেরিন ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষনা : দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
বাগেরহাট মেরিন ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষনা : দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস :: (৩ ফাল্গুন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২১মি.) অধক্ষ্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ৪দিন ধরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচীর পর বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর চিতলী গ্রামে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোজলি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। একই সাথে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বুধবার (১৪ফেব্রুয়ারি) জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. সেলিম রেজা স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নির্দেশ দেয়া হয়। বিষয়টি অবগত করে পাঠানো পত্র আজ দুপুরে বাগেরহাটে পৌছেছে। তবে ওই নোটিশে শিক্ষার্থীদেরকে হল ত্যাগের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হালেও এদিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করেনি।
এদিকে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করার ঘোষনা দিয়ে ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ইনস্টিটিউটের বাইরে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলেও বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করেনি।
এ বিষয়ে জানতে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সিরাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে (০১৭৮২৬১১৩৯০) একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাগেরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মাহাতাব উদ্দিন সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে বলেন, ইনস্টিটিউট বন্ধের নির্দেশ সম্বলিত একটি পত্র আমরা হাতে পেয়েছি। পুলিশ এর আলোকে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওই আদেশ সম্পার্কে জানিয়ে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। তারা না গেলে আমরা আমাদের ব্যবস্থা নিব।
প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তুলে তার অপসারণ ও নতুন অধ্যক্ষ পদায়নের দাবীতে গত রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মেরিন ইনস্টিটিউটে উত্তোজিত হয় শিক্ষার্থীরা। তখন অফিস সহায়ক রবিউল ইসলামকে মারপিট করে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। রবিউল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ক্যাম্পাসের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।