শুক্রবার ● ৬ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » খাগড়াছড়িতে আটক হলো খুনি মোমিন
খাগড়াছড়িতে আটক হলো খুনি মোমিন
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (২৩ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২২মি.) খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাসেল হত্যাকান্ডে জড়িত মামলার আরেক আসামি খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলমের হস্থক্ষেপে আটক করেছে পুলিশ। ৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ১টায় দিকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. রমজান হোসেন মোমিনকে খাগড়াছড়ি সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল হত্যাকাণ্ডে পাঁচজন আটক হলো। থানায় হস্তান্তরের আগে পৌরসভা মেয়র রফিকুল আলমের কক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি করা হয় আসামী মোমিনকে। পূর্ব শত্র“তার জেরে প্রতিশোধ নিতে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে মোমিন।
কয়েক মাস আগে মোমিনের বন্ধু অটোরিক্সা চালক সুমনকে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয় রাসেল ও তার বন্ধুরা উল্লেখ করে আটক মো. রমজান হোসেন মোমিন বলেন, ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় রাসেলসহ কয়েকজনকে মিলনপুর ব্রিজে বসে থাকতে দেখে সুমন ৭-৮জন বন্ধুকে সাথে নিয়ে রাসেলকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে সুমনই রাসেলকে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতের পর রাসেল ঢোলে পড়লে সবাই চলে যায়। পরবর্তীতে রাসেলের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর সবাই পালিয়ে যায়।।
সংসদ সদস্য সমর্থকদের সাথে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধ থাকতে পারে উল্লেখ করে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নই। মামলায় আমাদের হয়রানি করতে আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মোমিন বিভিন্ন নেতার কাছে আশ্রয় চেয়েছে। কিন্তু কেউ তাকে আশ্রয় দেয়নি। পরে আমাদের কাছে আশ্রয় চাইলে আমরা তাকে আশ্রয়ের আশ্বাসে খাগড়াছড়ি আসতে বলি। এখন পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি পুলিশ গভীরভাবে দেখছে। মো. রমজান হোসেন মোমিনকে আটকের ঘটনা যাতে অন্য ঘটনায় প্রবাহিত না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখছে।
প্রসঙ্গত, চলিত বছরের ২ শে মার্চ রাতে খাগড়াছড়ি শহরের মিলনপুর এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাসেলকে। ঘটনার পরের দিন রাসেলের মা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ৫জনকে আটক করা হয়েছে।