বুধবার ● ১১ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » ঝালকাঠি কমিউনিটি ক্লিনিক চলছে ঝাড়দার দিয়ে
ঝালকাঠি কমিউনিটি ক্লিনিক চলছে ঝাড়দার দিয়ে
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: (২৮ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪২মি.) ঝালকাঠি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত নথুল্লাবাদ ইউনিয়ন বাসী। ঐ ইউনিয়নের বিরকাঠী কমিউনিটি ক্লিনিকটির কার্যক্রম চালাচ্ছে স্থানীয় একজন কথিত বুয়া,যিনি তিনশত টাকা মাসিক চুক্তিতে ঐ ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে শুধু এই ক্লিনিকটির দেখাশোনা ও ঝাড়– দেওয়াসহ ঔষধ পত্র দিচ্ছে। এছাড়াও প্রায় সময়ই ঔষধ সরবরাহ ও ডাক্তারের কাজ করছেন ঔ অনঅবিজ্ঞ বুয়া ঝাড়–দার। যিনি নিজের নামটিও ঠিক ভাবে লিখতে পারে না। এমনটাই অভিযোগ ঐ ইউনিয়ন বাসীর।
অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিন অনুসন্ধান কালে বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল। পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। আজ বুধবার সকাল ১১টায় নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের বেড় বেড়কাঠিতে অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিকটি দেখা যায় তালাবদ্ধ। এ সময় স্থানীয়রা জানায়,এই ক্লিনিকটি তালাবদ্ধই থাকে। এই ইউনিয়নেরই একজন প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে এ ক্লিনিকটির দায়িত্বে থাকায় তিনি কখনোই আসে না। মাঝে মাঝে ঔষধ সরবরাহ ও কাগজপত্র ঠিক রাখতে এসেই আবার চলে যান অভিযোগ এলাকাবাসীর। যে,কারণে এই ইউনিয়নের জনসাধারণ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না, বঞ্চিত হচ্ছে। সরেজমিনে এ প্রতিবেদকে দেখে ক্লিনিকের সামনেই ছুটে আসেন স্থানীয় কথিত বুয়া-ঝাড়–দার পারুল বেগম। তিনি এসে এ প্রতিবেদককে বলেন, আপনারা কোথায় থেকে এসেছেন। তখন তিনি কে,জানতে চাইলে বলেন,আমি এই ক্লিনিকের কর্মরত নাসরিন জাহান ম্যাডামের কাছ থেকে তিন শত টাকা মাসিক চুক্তিতে এখানে কাজ করি। ক্লিনিকের তালা চাবি আমার কাছেই থাকে। তখন ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কোথায় জানতে চাইলে প্রথমে বলেন, সে ভাত, খেতে গেছে। কিন্তু সারে এ গারোটার সময় ক্লিনিক বন্ধ করে ভাত খেতে যাওয়ার বিষয় কি? তখন সে বলে,ম্যাডাম তো বরিশাল ও ঝালকাঠিতে থাকে। সাংবাদিদের সাথে কথা বলার সময় ঐ কথিত বুয়া পারুল বেগমের মুঠোফোনটি বেজে ওঠে। তিনি ফোনটি রিসিভ করে বলে ম্যাডাম, কারা জানি আইছে। এরপর ফোনের ওপাশ থেকে কোন এক ঈশারা পেয়ে দ্রুত তিনি সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে, স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মোসলে উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, এ ক্লিনিকটি দীর্ঘদিন যাবৎ স্বাস্থ্যসেবা থেকে আমরা বঞ্চিত। ইউনিয়ন বাসী কখনোই স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। সাবেক চেয়ারম্যানের নিকটতম আত্মিয় কথিত বুয়া-ঝাড়–দার পারুল বেগম এ ক্লিনিকটিতে বসে পান তামাক খেয়ে কিছু সময় কাটিয়ে আবার তালাবদ্ধ করে চলে যায়। আসলে আমরা কার কাছে এ অভিযোগ দেব,কে দেখবে, বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অপরদিকে ঝালকাঠি পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির বিল দেওয়ার জন্য লোক এসে বুয়াকে বলেন, আপনার ম্যাডাম কোথায় ৪ মাসের বিল বাকী তাকে বিল দিতে বলেন, তা না হলে লাইন কেটে দিব।
এ ব্যাপারে ক্লিনিকে দায়িত্বরত কর্মকর্তা নাসরিন জাহান এর মুঠোফোন ০১৭০৬১১১৪৬০ এই নাম্বারে আলাপকালে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,স্থানীয়রা যা, বলেছে তা সঠিক নয়। ক্লিনিকের একজন ছুটিতে রয়েছে,আর আমি বিদ্যুৎ অফিসে আসছি। প্রতিদিনই ক্লিনিকটি খোলা হয়। তবে এ ক্লিনিকটি একজন বহিরাগত কথিত বুয়ার হাতে রেখে যাওয়ার কারণ কি জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে ঐ কথিত বুয়া-পারুল বেগম ক্লিনিকটিতে ঝাড় দেন বলে দাবি করেন।