সোমবার ● ১৬ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের নির্যাতন, হুমকি ও হামলায় দেড় শতাধিক পরিবার উদ্বাস্ত
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের নির্যাতন, হুমকি ও হামলায় দেড় শতাধিক পরিবার উদ্বাস্ত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (৩ বৈশাখ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৫৭মি.) খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের নির্যাতন, হামলা ও হুমকিতে ইউপিডিএফ (বর্মা) ও জেএসএস (এমএন) গ্রুপের নেতকর্মী-সমর্থকদের দেড় শতাধিক পরিবারের নারী ও শিশু বাড়ি-ঘর ছেড়ে খাগড়াছড়ি সদরে আশ্রয় নিয়েছে। সন্ত্রাসীরা শুধু নিপিড়ন ও নির্যাতন করে ক্ষান্ত হয়নি কেড়ে নিয়েছে মোবাইল ফোন ও অর্থও।
আজ সোমবার দুপুরে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পালিয়ে আসা এ সব উদ্বাস্ত পরিবারের সদস্যরা খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাঘাইহাট থেকে পালিয়ে আসা তাসোনা চাকমা অভিযোগ করেন, সৈবাবি উৎসব চলাকালে ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ি জেলা সদর, পানছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি ও পাশ্ববর্তী জেলার লংগদু, মারিশ্যা ও বাঘাইহাটের দুর্গম এলাকাগুলোতে হানা দিয়ে সাধারণ লোকজনের উপর হামলা, নির্যাতন শুরু করে এবং এক ঘন্টার এলাকা না ছাড়লে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ফলে প্রাণ ভয়ে অনেকে এ কাপড়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা লোকজনকে মারধর করে মোবাইল ফোন ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্রও কেড়ে নেয়। তাদের অপরাধ, তাদের আত্মীয়-স্বজনরা কেউ ইউপিডিএফ (বর্মা) ও জেএসএস (এমএন) রাজনীতির সাথে জড়িত।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে পালিয়ে আসা কবিতা চাকমা, যুবলিকা চাকমা, সুনেতা চাকমা, রীতা চাকমা, সুলিনন্দ্র চাকমা ও এলিনা চাকমা।
সাংবাদিক সম্মেলনে ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাজনীতির নামে সাধারণ মানুষের উপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন, চাঁদা আদায় ও সামাজিক বিচারের নামে মোটা অংকের ঘুষ আদায় করছে বলে অভিযোগ করে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত পানছড়ি উপজেলার হলধর পাড়ার বাসিন্দা সাধন বিকাশ চাকমা অভিযোগ করেন, তিনি একজন সাধারণ মানুষ। কোন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃত্ত নয়। অথচ গতকাল রবিবার সকালে ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা তার ছেলে ইলিময় চাকমা পিটিয়ে আহত করেছে। তবে এ সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপিডিএফ’র নেতা নিরণ চাকমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, বৈসাবি উৎসবের সময় খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ (প্রসীত) ইউপিডিএফ(বর্মা) ও জেএসএস (এমএন) গ্রুপের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হামলা-পাল্টা হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত ও অপহরণের ঘটনা ঘটে।