শিরোনাম:
●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি আউয়াল, সম্পাদক আতাউর ●   কাউখালীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ●   দীপংকর তালুকদার এর অবৈধ সম্পদের তদন্তে নেমেছে দুদক ●   ঈশ্বরগঞ্জে বিজয় দিবস পালিত
রাঙামাটি, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » গাজিপুর » ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর মুক্ত দিবস
প্রথম পাতা » গাজিপুর » ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর মুক্ত দিবস
সোমবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর মুক্ত দিবস

---

মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর প্রতিনিধি ::  ১৫ ডিসেম্বর, গাজীপুর মুক্ত দিবস৷ এ দিন গাজীপুর মহানগরের ছয়দানা এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর বড় ধরনের সম্মুখ যুদ্ধ হয়৷ এতে পাকবাহিনীর ভারী অস্ত্র ও যানবাহন ধ্বংস এবং বহু সেনা নিহত হয়৷

রাজধানী ঢাকার সনি্নকটে গাজীপুরে যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে দখলদার পাকবাহিনীর ব্যাপক বিপর্যয় ও ক্ষয়ক্ষতি তাদের পতন ও আত্মসমর্পণকে ত্বরান্বিত করে৷

স্বাধীনতা যুদ্ধে গাজীপুরবাসীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা৷ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চূড়ান্ত মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বেই ১৯ মার্চ এই গাজীপুরের মাটিতে সর্বপ্রথম হয়েছিল পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ৷ সে সময় সারা দেশে স্লোগান উঠেছিল ‘জয়দেবপুরের পথ ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’৷ আবার বিজয় লাভের পূর্বক্ষণে ১৫ ডিসেম্বর এই গাজীপুরের মাটিতেই সংঘটিত হয়েছিল হানাদার পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর সর্বশেষ বড় ধরনের সম্মুখ যুদ্ধ৷

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জয়দেবপুরের ভাওয়ালের রাজবাড়ীতে ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট৷ অডিন্যান্স ফ্যাক্টরী, মেশিনটুলন্স ফ্যাক্টরীও ছিল তাদের দখলে৷ অবস্থানগত কারণে রাজধানীর পাশের জেলা গাজীপুরে পাক বাহিনীর একটি শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বহাল থাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রায় শেষ পর্যায় পর্যন্ত৷

২৫ মার্চের পর গাজীপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, ছাত্র, কৃষক- শ্রমিক ও স্বাধীনতাকামী জনগণ ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়৷ প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা গাজীপুর জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে যুদ্ধে অংশ নেন৷ ১৭ সেপ্টেম্বর মাজুখান রেল ব্রিজে পাঞ্জাবী সেনা ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বন্দুকযুদ্ধ হয়৷ ১১ অক্টোবর ধীরাশ্রম এলাকায় এক যুদ্ধে কিছু পাঞ্জাবী সেনাকে মুক্তিযোদ্ধারা ধরে নিয়ে ডেমোরপাড়ায় আটকে রাখে৷ ১৪ অক্টোবর রাতে ধীরাশ্রমে প্রায় এক মাইল রেল লাইন উঠিয়ে ফেলা এবং ভোর রাতে জয়দেবপুর জংশনের দক্ষিণে সিগন্যাল সংলগ্ন সেতুতে মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়৷

মূলত নভেম্বর মাস থেকে গাজীপুরে মুক্তিযোদ্ধারা সংঘবদ্ধ আক্রমণ শুরু করে৷ তারা বেশ কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে তত্‍পরতা শুরু করেন৷ জয়দেবপুর সেনানীবাস, সমরাস্ত্র কারখানা, রাজেন্দ্রপুর অর্ডিন্যান্স ডিপোসহ পাকবাহিনীর বিভিন্ন অবস্থানে মুক্তিবাহিনী পরিকল্পিত আক্রমণ চালায়৷ ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা গাজীপুরা রেল স্টেশনের কাছে মাইন বিস্ফোরেণ ঘটিয়ে ঢাকাগামী অস্ত্র গোলাবারুদবাহী একটি ট্রেনের কয়েকটি বগি ফেলে দেয়৷ এখানে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানী সেনা নিহত হয়৷ ১৩-১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা গাজীপুরে সেনানিবাসে সম্মিলিতভাবে আক্রমণ চালায়৷ পাকবাহিনী জয়দেবপুরে টিকতে না পেরে ঢাকা চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷

উত্তর রণাঙ্গন অর্থাত্‍ ময়মনসিংহ-জামালপুর-টাঙ্গাইল থেকেও পাকবাহিনী মিত্র ও মুক্তিবাহিনী এবং বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাদেরিয়া বাহিনীর আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পিছু হটে সড়কপথে ঢাকার দিকে হঠতে শুরু করে৷ এরা জড়ো হতে থাকে জয়দেবপুরের চান্দনা-চৌরাস্তায়৷ পিছু হটে আসার পথে পাকবাহিনী ব্রিজ কালভার্টসহ অনেক কিছু ধ্বংস করে দিয়ে আসে৷ পিছন থেকে মিত্র ও মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ অব্যাহত রাখে৷ পিছু হটে আসা পাকবাহিনী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কড্ডা ব্রিজটি ধ্বংস করে দিয়ে এলে ধাওয়া করা মিত্র ও মুক্তিবাহিনী গতিপথ পরিবর্তন করে কাশিমপুর গিয়ে অবস্থান নেয়৷ অপরদিকে, জয়দেবপুর সেনানীবাস, সমরাস্ত্র কারখানা এবং অর্ডিন্যান্স ডিপো থেকেও পাকসেনারা ৪-৫টি ট্যাংকসহ বিপুল অস্ত্রশস্ত্র সাজোয়া যানবাহনসহ পিছু হটে ঢাকা যাওয়ার পথে জড়ো হয় চান্দনা-চৌরাস্তায়৷

পাকিস্তানীবাহিনী চৌরাস্তার সমবেত হওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধারা ও মিত্রবাহিনী কাশিমপুর থেকে কামান-মেশিনগান ও অন্যান্য অস্ত্র এনে বাসন, ভোগড়া, মোগড়খাল, শরীফপুর ইত্যাদি গ্রামে রাস্তার (ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের) দুপাশে অসংখ্য ব্যাঙ্কার খনন করে অবস্থান নেয়৷

১৫ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর ২৫-২৬টি গাড়ীবহর সহকারে বিরাট একটি কনভয় চান্দনা-চৌরাস্তা থেকে রওনা হয় ঢাকার পথে৷ পুরো গাড়ি বহর ফাঁদপাতা অ্যাম্বুসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে কাশিমপুর থেকে মিত্র ও কাদেরিয়া বাহিনী তাদের উপর কামান ও মর্টারের শেল নিক্ষেপ করতে থাকে৷ একই সঙ্গে সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেওয়া মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর প্রবল গুলিবর্ষণে পাক হানাদার বাহিনী একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে৷ ধ্বংস হয় ট্যাংক, কামান, মর্টার, যানবাহন ও গোলাবারুদ৷ হতাহত হয় অসংখ্য পাকিস্তানি সেনা৷ মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ঢাকার কাছে এটাই ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয়৷

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ (শতামেক) হাসপাতাল রোড, ভোড়া হাজীবাগ এলাকার বাসিন্দা যুদ্ধকালীন পস্নাটুন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. ফুল মিয়া আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিকে জানান, ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা নাগাদ গাজীপুর শত্রুমুক্ত হয়৷ পরে রাতে মানুষ উল্লাস করে জেলা শহরে প্রবেশ করে৷ ছয়দানা যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর চারজন শহীদ হন৷ পরে তাদের এখানেই শেষকৃত্য হয়৷

আপলোড : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ১৮ মিঃ





গাজিপুর এর আরও খবর

যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩
দেশ স্বাধীন হলেও এখনও মানুষের অধিকার ও মুক্তি নিশ্চিত হয়নি দেশ স্বাধীন হলেও এখনও মানুষের অধিকার ও মুক্তি নিশ্চিত হয়নি
দেশের মানুষকে কোনরুপ উসকানিতে পা না দেবার আহবান দেশের মানুষকে কোনরুপ উসকানিতে পা না দেবার আহবান
সাদপন্থীদের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান সাদপন্থীদের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান
গাজীপুরে শহীদ শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত গাজীপুরে শহীদ শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
শ্রমিকরা স্বস্তিতে না থাকলে সরকারেও স্বস্তি আসবেনা শ্রমিকরা স্বস্তিতে না থাকলে সরকারেও স্বস্তি আসবেনা
শিক্ষক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গাজীপুরে মানববন্ধন শিক্ষক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গাজীপুরে মানববন্ধন
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে মাষ্টাররোল কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকুরি স্থায়ী করার দাবি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে মাষ্টাররোল কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকুরি স্থায়ী করার দাবি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজিএস এডুকেশন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজিএস এডুকেশন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন

আর্কাইভ