শনিবার ● ১৯ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে রাউলি সেতু ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদ
রাউজানে রাউলি সেতু ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদ
রাউজান প্রতিনিধি :: (৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১২মি.) অাজ ১৯ মে শনিবার সকাল থেকে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে রাউজান উপজেলার খৈয়াখালী গ্রামের ওপর দিয়ে বেশ-কিছু ইউনিয়নের এক মাত্র যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম (রাউলি সেতু) অাজ সকালে অতি বৃষ্টিপাত হলে এই ব্রিজ ভেঙ্গে যায়।
বহু পুরোন রাউলি সেতুটির বর্তমানে ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এর অাগেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ব্রিজটির নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও কোন কাজের কাজ এখনো হয়নি। এই নিয়ে এলাকার বিভিন্ন মানুষের মনে ক্ষোভ-প্রকাশ করে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ১৯৯১ দিকে সেতুর দুই পাশে বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে যান, কিন্তু সেই সময়ে কিছু সময় জোড়াতালি দিয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচল করতেন, কিন্তু সংস্কার না করাতে দিরে দিরে সেতুটি একমাত্র যোগাযোগব্যবস্থা চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েন। এদিকে কষ্ট করে সেতুটি পার হতে হয় সেতুটি ভেঙ্গে পড়ায় প্রায়ই সময় শিক্ষার্থীও স্থানীয় লোকজনকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। কিন্তু দেখা যায় ১৯-মে শনিবার প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হলে সকালে সেতুর পুর্ব পাশের অংশ সম্পন ভেঙ্গে যাই, এসময় খৈয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী অাহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয় আশিষ বণিক বলেন, বিগত ২৬ বছরে একবারও সংস্কার করেনি রাউলি সেতুটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা। রাউজান উপজেলা খৈয়াখালী গ্রামের খালটির ওপর নির্মিত সেতুটি বিগত দুই যুগেরও বেশি সময়ে ধরে সংস্কার না করায় তিন ইউনিয়নবাসীর চরম দুর্ভোগে পড়েছে। রাউলি সেতুটি প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পারাপার হচ্ছে। এ সেতুটি দিয়ে বেশ কিছু স্থানে সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম একমাত্র মাধ্যম। তিন ইউনিয়ন সংলগ্ন সেতুটি থাকায় একটি বৌদ্ধ বিহার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসহ ছাত্রছাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে কষ্ট করে সেতুটি পার হতে হয়। দুই যুগের বেশি সময় অাগেও যদি সেতুর নষ্ট হয় বিভিন্ন অংশ, পরে ভেঙ্গে যাওয়ায় সেতু স্থানীয়রা বাঁশের কাঠ দিয়ে সংস্কার করে এপার ওপার চলাচল করে। রাউলি সেতুর কারনে খৈয়াখালী, পাহাড়তলী, কদলপুর, ভংগরদীঘি পাড়, বড়ঠাকুর পাড়া, হামজার পাড়া, হোয়াড়াপাড়ার সহ অনেক স্থানের যাতায়ত ব্যবস্থা খুব সহজতর হয়। সেতুটি প্রায় ২৬ বছর যাবত অর্ধভগ্ন অবস্থায় থাকায় স্থানীয়রা অনেকবার বাঁশের ভেঁড়া দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখেন। কিন্তু এবার অতি বৃষ্টি হলে ব্রিজটি ভেঙ্গে চরম দুর্ভোগ পড়ছেন এলাকার লোকজন। তিনি অারো বলেন দীর্ঘ ২৭ বছর এ ব্রিজটি ভগ্ন অবস্থায় পরে আছে।সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
সরেজনিনে ঘুরে দেখাগেছে, ব্রিজের পিলারের ভীম ও লোহার হাতল ভেঙ্গে পরছে। ব্রিজে হাতল ঢালাই উঠে গর্তে পরিনত হয়েছে। এতো দিন জোড়াতালি দিয়ে চলা ফেরা করতে পারলেও এখন চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। এবং মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে খুবই সমস্যা। গাড়ি নিয়ে উঠলে ব্রিজ কাঁপে। এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, স্কুল ছাত্র ছোট জানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
ইউপি সদস্য, আশুতোষ বড়ুয়া জানান রাউলি ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন। নয়তো যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। তিনি আরও জানান উপজেলার ৩ ইউনিয়নের মানুষের এ ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। এ সেতুটি নতুন র্নির্মাণের জন্য প্রকল্প দেওয়া আছে বলে এমন সুত্র পাওয়া যায়। প্রকল্প অনুমোদিত হলে দ্রুত কাজ শেষ করা হবে এমনটাই অাশা করা যাচ্ছে।