শনিবার ● ২ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » দরজা বন্ধ করে পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীকে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা
দরজা বন্ধ করে পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীকে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা
ময়মনসিংহ অফিস :: (১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৪৬মি.) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীকে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার সময় ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ভয়ে এ দৃশ্য দেখে কান্নাকাটি শুরু করে তাদের শিশু সন্তান তামিম (৪)। এক পর্যায়ে দরজা খুলে বাবা চলে যাওয়ার পর ঘরে গিয়ে মা’কে জাগানোর চেষ্টা করে শিশুটি। কিন্তু তার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেছে তামিমের মা মুর্শিদা বেগম (২৫)।
আজ শনিবার (২ জুন) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মহেশপুর কুনিয়াপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম প্রায় ৫ বছর আগে বিয়ে করেন মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমুরিয়ারচর গ্রাামের আবদুল খালেকের মেয়ে মুর্শিদা বেগমকে। এ দম্পতির প্রায় ৪ বছর বয়সী তামিম নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহত মুর্শিদার মা আনোয়রা বেগম জানান, জামাই জহিরুল অসুস্থ্য শুনে গতকাল শুক্রবার (১ জুন) বিকেলে ছোট মেয়ে মদিনাকে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে দেখতে আসেন তিনি। আজ শনিবার সকালে তিনি একটি ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এক সময় নাতীর কান্না শুনে এসে দেখতে পান মেয়ে (মুর্শিদা)’র নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝড়ছে।
নিহতের ছোট বোন মদিনা জানায়, তার বোনের ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে তামিম কাঁদছিল আর তার মা’কে “ঘরের ভেতরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তার বাবা ধরে মেরেছে বলে বর্ণনা করছিল।” এ সময় তামিমের কান্না দেখে দরজা ধাক্কালে তার ভগ্নিপতি (জহিরুল ইসলাম) দরজা খুলে বেরিয়ে যায়। পরে ঘরে গিয়ে সে দেখতে পায় তার বোনের গলায় ওড়না পেঁচানো। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে। এ সময় মদিনার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসে। কিন্তু তার ভগ্নিপতি পালিয়ে যায়। পরে মুর্শিদাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তড়িঘড়ি করে মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে এসে পালিয়ে যান স্বামী জহিরুলের পরিবারের লোকজনও।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. বদরুল আলম খান এ ব্যাপারে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসাথে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।