মঙ্গলবার ● ১২ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মাটিরাঙ্গায় প্রবল বর্ষণে ব্রীজসহ বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্ত
মাটিরাঙ্গায় প্রবল বর্ষণে ব্রীজসহ বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্ত
মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :: (২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ রাত ৮.৩৪মি.) খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্ষার প্রবল বর্ষনে বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, টানা ৩ দিনের ভারী বর্ষনের ফলে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার চরপাড়া, বড়ঝালা, হাসপাতাল পাড়া, নবীনগর,আদর্শগ্রাম ছাড়াও উপজেলার, গোমতি ও বেলছড়ির বিভিন্ন নি্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু কিছু এলাকা পাহাড় ধস,নদী ভাঙ্গন ও খরস্রোত পানির চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেশকিছু এলাকার মানুষ তাদের বাড়ীঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও অত্যান্ত জনগুরুত্বপুর্ণ মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড তপ্তমাষ্টার পাড়া যাতায়াতে ধলিয়া নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি ভেঙ্গে নিয়ে গেছে উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোত। ফলে বর্তমানে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের সাথে তপ্তমাষ্টার পাড়া এলাকা সহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তপ্তমাষ্টার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন স্কুলে যেতে পারছে না। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার অমৃত কুমার ত্রিপুরা জানান বর্তমানে এখানকার মানুষের সাথে মাটিরাঙ্গার সড়ক যোগাযোগ সম্পুর্ণ বিছিন্ন রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন,চরপাড়া এলাকার সিরাজ মিয়া-৫৫, ও সিরাজুল ইসলাম-৭৮ । বড়ঝালা এলাকার কালা চাঁন চাকমা-৪০, হাসপাতাল এলাকার প্রবাসী আসিফ মিয়ার বাড়ী,নবীনগর এলাকার মো: আব্দুল আলিম-৫৫ এর বাড়ী, আদর্শগ্রাম গালুয়া টিলা পাহাড় ধসে যোগাযোগ ব্যহত । এলাকাবাসী ও সচেতন মহল মনে করেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসে তাদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগীতা করা প্রয়োজন। মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল জানান,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, আমি চরপাড়া ও আদর্শগ্রাম এলাকা পরিদর্শন করেছি।