বুধবার ● ৪ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে নিলাম না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে উপড়ে পড়া গাছ
বিশ্বনাথে নিলাম না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে উপড়ে পড়া গাছ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২০ আষাঢ় ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৫০মি.) সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে উপড়ে পড়া প্রায় শতাধিক গাছ নষ্ট হচ্ছে প্রশাসন কর্তৃক নিলাম না ডাকার কারণে। আর এতে করে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বিভিন্ন সময়ে ঝড়-তুফান কিংবা গাছের শিকড়ে মাটি না থাকায় এসব গাছ উপড়ে পড়েছে। নিলাম আহবানে প্রশাসনের নিরবতার কারণেই এসব গাছগুলো দীর্ঘদিন ধরে উপড়ে পড়ার স্থানে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি উপজেলাবাসীর। আবার গাছের মূলসহ উপড়ে পড়ার কারণে উপজেলার অনেক স্থানেই ভাঙছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
উপড়ে পড়া গাছগুলো নষ্ট হওয়ার পূর্বেই কার্যক্রর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য এলাকাবাসী একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনকে আহবান করেছেন। উপজেলা সম্বন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির একাধিক সভায়ও গাছগুলোকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়নি।
উপড়ে পড়ার সাথে সাথে দীর্ঘদিনের পুরনো গাছগুলো সঠিক পদ্ধতিতে নিলাম ডেকে বিক্রি করে, সেই স্থানে নতুন করে আবার গাছের চারা রোপণ করলে একদিকে পরিবেশের উপকার হতো, আবার সড়কও ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেত।
দেখা গেছে, উপজেলার অনেক স্থানে উপড়ে পড়া এসব গাছের মধ্যে কিছু গাছের মূল আছে, ডাল-পালা নেই। রাতের আঁধারে কে বা কারা এসব গাছের মূল রেখে ডাল-পালাগুলো কেটে নিয়েছে। আবার মূলসহ গাছ উপড়ে পড়ার কারণে অনেক স্থানে ভেঙে যাওয়া সড়কগুলোও সংস্কার করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে এসব এলাকাতে বেড়েই চলছে জনদুর্ভোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সওজ’র আওতাধীন রশিদপুর-বিশ্বনাথ সড়ক ও বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী সড়ক এবং এলজিইডি’র আওতাধীন বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক, বিশ্বনাথ-মিরেরচর-হাবড়া-ছালিয়া সড়ক, বিশ্বনাথ-মুফতিরগাঁও স্কুল সড়ক, রামপাশা-সিঙ্গেরকাছ সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে এসব উপড়ে পড়া গাছগুলো রয়েছে। তবে এলজিইডি’র আওতাধীন সড়কগুলোর পাশেই উপড়ে পড়া গাছের সংখ্যা বেশি। এমনকি ওই গাছগুলো উপরে পড়ার কারণে এসব এলাকার সড়কও ভেঙেছে বেশি।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, উপড়ে পড়া গাছগুলোর ব্যাপারে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্ব-স্ব (সওজ-এলজিইডি) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।