শুক্রবার ● ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » গোপালপুর পৌরসভার মেয়র প্রার্থীর বাসায় ২ প্রতিমন্ত্রীর রুদ্ধদার বৈঠকের অভিযোগ
গোপালপুর পৌরসভার মেয়র প্রার্থীর বাসায় ২ প্রতিমন্ত্রীর রুদ্ধদার বৈঠকের অভিযোগ
আব্দুল মজিদ, নাটোর প্রতিনিধি :: নাটোরের গোপালপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা লিলির বাসায় বৃহষ্পতিবার রাতে ৪০ মিনিট ধরে রুদ্ধদার সভা করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ৷ তবে মেয়র প্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা লিলির দাবি তিনি শুধু টয়লেট ব্যবহার করার জন্য তাঁর বাসায় গিয়েছিলেন ৷ অপরদিকে শুক্রবার সিংড়া পৌরসভা এলাকায় একাধিক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক ৷ প্রত্যক্ষদর্শী ও কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক শুক্রবার সকাল আটটার দিকে পৌরসভার এক নং ওয়ার্ডে মনত্মাজুর রহমানের ধানের চাতালে ও ১০টার দিকে দুই নং ওয়ার্ডে রজবের ধানের চাতালে নেতাকর্মীদের সাথে কর্মী সমাবেশে মতবিনিময় করেন ও খিচুড়ী খাওয়ায় অংশ নেন৷ পরে প্রতিমন্ত্রী নিঙ্গইন ভাটোপাড়া জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ৷ বিকেলে তিনি পৌরসভায় মহেষচন্দ্রপুরেও অনুরুপ সমাবেশে যোগদেন ৷ অপরদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সরকারি গাড়ি ও প্রটোকল নিয়ে বৃহষ্পতিবার রাত ৮টায় গোপালপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা লিলির কেশবপুর গ্রামের বাসায় ঢোকেন ৷ তিনি ঢোকার পর পরই ওই বাসা থেকে কর্মী সমর্থকদের বের করে প্রধান ফটক আটকে দেওয়া হয় ৷ এ সময় তাঁর সাথে তাঁর ব্যক্তিগত লোকজন ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিলেন না ৷ প্রটেকশনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাসার বাইরের ফটকের সামনে অবস্থান করছিলেন ৷ এক পর্যায়ে ফটকের সামনের বৈদ্যতিক বাতি নিভে যায় ৷ ৪০ মিনিট অবস্থান করার পর ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন ৷ ওই বাড়ির আশে পাশের একাধিক প্রতিবেশী জানান, তাঁরাও প্রতিমন্ত্রী আসার মুহুর্তে বাসার ভেতরে ছিলেন ৷ তাঁরা প্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা লিলি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন ৷ পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে তাঁরা বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন ৷ তবে পরিবারের সদস্যরাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন স্থানীয় নেতা বাড়িতে অবস্থান করেছেন ৷ নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ রাতে মোবাইল ফোনে এই প্রতিনিধিকে জানান, প্রতিমন্ত্রীর মেয়র প্রার্থীর বাসায় যাওয়ার কথা তিনি লোকমুখে শুনেছেন ৷ বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটা পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী লালপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ৷ পরে তিনি সবার কাছে বিদায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান ৷ প্রার্থীর বাসায় কি নিয়ে আলাপ হয়েছে তা তিনি জানেন না বলে জানান৷ গোপালপুর পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম ও লালপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আব্দুল হাই তালুকদার বলেছেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কি কারণে এসেছিলেন তা তাঁদের জানা নেই ৷ শুক্রবার সকালে মেয়র প্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা জানান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টয়লেট ব্যবহারের জন্য আকষ্মিকভাবে তাঁর বাসায় এসেছিলেন ৷ কিছুক্ষণ পর তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যান ৷ তাঁর বাসায় নির্বাচন সংক্রান্ত কোন সভা হয়নি ৷ প্রতিমন্ত্রী তাঁর বাসায় অবস্থান করার সময় তিনি ও তাঁর স্বামী নির্বাচনী কাজে বাইরে ছিলেন ৷ তাঁদের সাথে রাস্তায় দেখা হয়েছিল ৷ এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাথে কথা বলার জন্য বৃহষ্পতিবার রাতেই মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই ৷