শনিবার ● ২১ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » পিতাকে হত্যার অভিযোগে মায়ের বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা
পিতাকে হত্যার অভিযোগে মায়ের বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা
ময়মনসিংহ অফিস :: (৬ শ্রাবণ ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৫৫মি.) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পিতাকে হত্যার অভিযোগে মায়ের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন মেয়ে। পারিবারিক বাকবিতন্ডার সময় কৃষক বিল্লাল হোসেন(৭০)’র অন্ডকোষ চেপে ধরে তার স্ত্রী রহিমা বেগম এবং ছেলে তার বউ দু’জনে মিলে নির্মমভাবে পেটানোয় নিহতের ঘটনায় প্রথম পক্ষের মেয়ে বাদী হয়ে মায়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
শনিবার ২১ জুলাই দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নিহতের মেয়ে আমেনা খাতুন ওই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। তার আগে শুক্রবার ২০ জুলাই দিনগত রাতে উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের ছোট তারাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে পুলিশ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মমেক মর্গে প্রেরণ করে।
মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের ছোট তারাকান্দি গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেনের সাথে দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম ও ছেলে আলাল মিয়ার সাথে গত শুক্রবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডার হয়। একপর্যায়ে রহিমা বেগম তার স্বামী বিল্লাল হোসেনের অন্ডকোষ চেপে ধরে রাখেন এবং ছেলে আলাল মিয়া ও তার (আলাল মিয়া) স্ত্রী লিপা আক্তার এলোপাথারি মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে বিল্লাল হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। পরে ছেলে আলাল মিয়া নিজেই তার বাবা বিল্লাল হোসেনকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এসময় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিল্লালকে মৃত ঘোষণা করলে লাশ রেখেই ছেলে আলাল মিয়া পালিয়ে যায়।
তাৎক্ষণিক এ খবর পেয়ে নিহতের মেয়ে আমেনা খাতুন ও স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে শনিবার সকালে হাসপাতাল থেকে পুলিশ বিল্লালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের প্রথম পক্ষের মেয়ে আমেনা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার সৎ মা রহিমা বেগমের সাথে পিতা বিল্লাল হোসেনের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। রহিমা বেগম, আলাল ও তার স্ত্রী লিপা আক্তার মিলে মারধর করে তার পিতাকে হত্যা করেছেন। নিহতের ছেলে দুলাল মিয়াও জানান, সৎ মা রহিমা বেগম তার পিতার অন্ডকোষ চেপে ধরাতেই মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই জুয়েল রানা মরদেহের সুরত-হালের পর জানান, বাম চোখের কোনায় ও কপালের বাম পাশে আঘাত রয়েছে। অন্ডকোষও সামান্য ফোলা রয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আহম্মেদ কবীর হোসেন জানান, এঘটনায় নিহতের মেয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।