রবিবার ● ২৬ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হলো পার্বতীপুরে অর্ধ-শতাধিক পরিবার
ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হলো পার্বতীপুরে অর্ধ-শতাধিক পরিবার
পার্বতীপুর প্রতিনিধি :: (১১ ভাদ্র ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১.০৮মি.) ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের কারণেই দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অর্ধ-শতাধিক হতদরিদ্র পরিবার ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ২০জুলাই সোমবার উপজেলার সিঙ্গমারী কাজীপাড়া এলাকায় ভিজিএফ’র চাল বিতরণের ক্ষেত্রে ওয়ার্ড সদস্য কর্তৃক অনুমোদিত ১৫৫জন হতদরিদ্রের তালিকা পরিবর্তন করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একরামুল হকের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ইচ্ছায় সাজানো তালিকা অনুযায়ী চাল বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সরকারী বিধি মোতাবেক প্রতিজনের মাঝে ২০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বিতরনের জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ড সদস্যের নিকট হতে হতদরিদ্রদের নামের তালিকা চায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী রামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ওবাইদুর রহমান কাজী তার এলাকার ১৫৫জন হতদরিদ্রদের নামের তালিকা প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৯ আগস্ট রোববার চাল বিতরণের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগেই গ্রাম্য পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে সকলকে জানিয়ে দেন তিনি। পরে ১৯ তারিখে যথাসময়ে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একরামুল হকের নিকট ওয়ার্ড সদস্য ওবাইদুর রহমান তার এলাকার বরাদ্দকৃত ভিজিএফ’র চাল বিতরণের সময় জানতে চাইলে কোন প্রকার কারণ না দেখিয়ে ৩নং ওয়ার্ডের ভিজিএফ’র চাল বিতরণ বন্ধ আছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। অন্যদিকে পরদিন (২০আগস্ট) সোমবার সংশ্লিষ্ট ওই ওয়ার্ড সদস্যকে না জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একরামুল হকের নেতৃত্বে ৩নং ওয়ার্ডের ভিজিএফ’র চাল বিতরণ শুরু করেন তারা সংশ্লিষ্টরা। এ কথা শুনে ওয়ার্ড সদস্য ওবাইদুর রহমান কাজী’র স্বাক্ষরিত মাস্টার রোলসহ অনুমোদিতরা চাল আনতে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ ট্যাগ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত সকলকে ওবাইদুর মেম্বার আপনাদের নাম কর্তন করেছে এবং এই তালিকায় আপনাদের নাম নেই বলে জানান তারা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, মেম্বার হামার (আমাদের) নাম লেখি নিয়ে গেছিলো। চাল দেয়ার আগের দিন পুলিশ (গ্রাম্য পুলিশ) আসি হামাগুলাক (আমাদেরকে) জানে গেইছিলো। পর দিন পরিষদ গিয়ে শোনোছি হামার (আমাদের) নাম নাইও মেম্বার কাটি দিছে। এই তোনে ( এ জন্যই) হামার আর ঈদ হইল না।
এ দিকে ঘটনার বিষয়ে গত কাল (২১আগষ্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ওবাইদুর রহমান কাজী। ঈদের আগেই হত দরিদ্র এসব মানুষ তাদের চাল না পাওয়ার বেদনায় কান্না বিজড়িত কন্ঠে গতকাল রাতে সাংবাদিকদের সামনে এ ভাবেই লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন ওয়ার্ড সদস্য ওবায়দুর রহমান কাজী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানুল হক লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অনুপস্থিতির কারণে ৩০ জন ভিজিএফ’র চাল নেয় নি বলে দাবী চেয়ারম্যানের। তবে ঈদের পরে তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে ।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একরামুল হকের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।