রবিবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চাকরির পেছনে না ছুটে একজন উদ্যোক্তা হতে হবে : চুয়েট ভিসি
চাকরির পেছনে না ছুটে একজন উদ্যোক্তা হতে হবে : চুয়েট ভিসি
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: (৮ আশ্বিন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩৮মি.) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ বর্ণাঢ্য আয়োজনে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিদায় ও বরণ উৎসব ‘সিএসই ফেস্ট-২০১৮’ উদযাপিত হয়েছে। সিএসই বিভাগের ‘১৩তম ব্যাচের বিদায় এবং ‘১৭ তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় সিএসই বিভাগের সামনে থেকে এক আনন্দ র্যালির মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এসময় শিক্ষার্থীরা ঢাকঢোল পিঠিয়ে এবং ভুভুজেলার বাজিয়ে শুভ্র রঙের টি-শার্ট সহযোগে নেচে-গেয়ে ক্যাম্পাস মাতিয়ে তোলে। র্যালিটি সিএসই বিভাগ হতে শুরু হয়ে ইএমই ভবন ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন হয়ে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এসে শেষ হয়।
এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএসই ফেস্ট-২০১৮ এর কনভেনর ও সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড.প্রণব কুমার ধর। ‘১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী মায়িশা মালিহা ও ‘১৫ ব্যাচের রাফিউর রহমান রিয়াদের সঞ্চলনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন সিএসই ফেস্টের কো-কনভেনর ও ‘১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ রিদওয়ান তাওহীদ, বিদায়ী ‘১৩ ব্যাচের পক্ষে মোঃ কাজী হাসান সাকিব, মোঃ আতিকুর রহমান রিজভী ও সাদিয়া তাসনীম, ‘১৪ ব্যাচের পক্ষে আয়েশা সিদ্দীকা, ‘১৫ ব্যাচের পক্ষে মোশারফ হোসেন, ‘১৬ ব্যাচের পক্ষে রাতুল ভৌমিক এবং ‘১৭ ব্যাচের পক্ষে ফারিহা চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর নির্মিত হচ্ছে আমাদের চুয়েটে। আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে সেটার দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ওয়াক-অর্ডার হয়ে গেছে। সরকার কর্তৃক প্রকল্প পরিচালকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আইটি পার্ক স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ইনকিউবেটরের সবচেয়ে বড় সুফল ভোগকারী হবে কম্পিউটার প্রকৌশলীরা। দেশে চাকরির বাজার ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। সেক্ষেত্রে চাকরির পেছনে না ছুটে শিক্ষার্থীরা চাইলে ছাত্রজীবন থেকেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন। এজন্য দরকার শুধু সৃজনশীল আইডিয়া এবং পরিশ্রমী মনোভাব। আর এই আইটি ইনকিউবেটর হবে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বড় প্লাটফর্ম। তিনি আরো বলেন, চুয়েটে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য যাবতীয় ল্যাবরেটরি ও কারিগরি সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন সেসবের যথাযথ ব্যবহার করতে পারলেই শিক্ষার্থীরা গবেষণা ক্ষেত্রে এবং কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে। পরে বিদায়ী ‘১৩ ব্যাচ এবং নবাগত ‘১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
এরপর সিএসই ফেস্ট-২০১৮ উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনারে রিসোর্স পারসন হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এবং চুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল হাসান সরকার। এর আগে সিএসই বিভাগের অপারেটিং সিস্টেম ল্যাবে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং কনটেস্টের মাধ্যমে গত ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ থেকে তিনদিনব্যাপী উৎসবের প্রথম পর্ব শুরু হয়। উৎসবের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিলো- গেমিং কনটেস্ট, প্রজেক্ট শো, ক্যারিয়ার আড্ডা , সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা প্রভৃতি।