বৃহস্পতিবার ● ১১ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » ঢাকা » ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ দেশের মানুষ বরদাশত করবে না : বাম গণতান্ত্রিক জোট
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ দেশের মানুষ বরদাশত করবে না : বাম গণতান্ত্রিক জোট
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক আজ ৯ অক্টোবর এক যুক্ত বিবৃতিতে বিতর্কিত কালো আইন ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’ মাননীয় রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় তীব্র ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকারের মতো রাষ্ট্রপতিও এই আইন নিয়ে গণমাধ্যমসহ দেশবাসীর প্রবল আপত্তি ও ক্ষোভের গভীরতা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে মাননীয় রাষ্ট্রপতি মানুষের মনের ভাষা বিবেচনায় নিয়ে তাঁর নৈতিক ক্ষমতাবলে এই কালো আইনে স্বাক্ষর না করে তিনি ফেরত পাঠাতে পারতেন। কিন্তু তিনি দেশবাসীকে চরমভাবে হতাশ করেছেন। যা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত না।
বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতৃবৃন্দ ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’কে নাগরিকদের অবশিষ্ট বাক্ স্বাধীনতা হরণকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এই আইনে পুলিশকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। আইনের কতিপয় ধারা স্পষ্টতই সংবিধান পরিপন্থী। জনগণের কোনো অংশের মতামতকে আমলে না নিয়ে যেভাবে এই আইন পাশ করা হলো তা একদিকে সরকারের চ‚ড়ান্ত স্বেচ্ছাচারীতার বহিঃপ্রকাশ। আর অন্যদিকে সরকারের দুর্নীতি আর দুষ্কর্মকে ঢেকে রাখার উদ্দেশ্যেই যে করা হয়েছে তাও অত্যন্ত স্পষ্ট। দেশের মানুষ কোনোভাবেই তাদের নাগরিক স্বাধীনতা হরণকারী এই আইনকে বরদাশত করবে না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভের সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে তিন মন্ত্রীর বৈঠকের পর বিলটি আবার মন্ত্রী পরিষদে উত্থাপিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বিস্ময়করভাবে মন্ত্রী পরিষদের সভায় বিলটি উত্থাপিত বা আলোচিতও হলো না; আইনে কোনো সংশোধনীও আনা হলো না; বিতর্কিত ধারাগুলোকে বাদও দেওয়া হলো না।