শনিবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » রাজশাহীতে মসজিদে বোমা হামলাকারী সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য
রাজশাহীতে মসজিদে বোমা হামলাকারী সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য
রাজশাহী প্রতিনিধি :: রাজশাহীর বাগমারার মচমৈল চকপাড়ায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জামে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে এই এলাকার কেউ চিনতেন না। শুক্রবারে জুমার আজান দেয়ার সাথে সাথে সবার আগে সে ঐ মসজিদে প্রবেশ করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
মসজিদে ঢুকেই সে মোয়াজ্জিনকে বলে, “এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছি, নামাজ পড়তে চাই।”
শুক্রবার জুমার নামাজে শেষ হবার সময়ই বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতি হামলাকারী। এতে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়, আহত হন বেশ কয়েকজন।
হামলায় মারাত্মক আহত দুই মুসল্লি ময়েজ উদ্দিন আর সান্টু রহমান জানান, “চকপাড়া আহমেদিয়া জামে মসজিদে সাধারণত দুই থেকে তিন কাতার মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেন। দুপুর দেড়টায় জামাত শুরুর কথা থাকলেও খুতবা শেষ হওয়ায় ১টা ২৫ মিনিটে নামাজ শুরু হয়। দ্বিতীয় রাকাতে যাওয়ার সময় ওই বোমা হামলাকারী তার কোমড় থেকে কিছু একটা বের করছে এমন বুঝতে পেরে নড়ে ওঠেন ময়েজ। এতে হামলাকারীর শরীরেই বোমা বিস্ফোরিত হয়।”
মুসল্লি ময়েজ উদ্দিন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘জ্যাকেট পরা যুবকটি আমার পাশেই বসে নামাজ আদায় করছিলেন। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পরেই দেখি আমার তলপেট থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। পাশেই যুবকটির রক্তাক্ত দেহ। বিস্ফোরণের পরেই বন্ধ হয়ে যায় নামাজ। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
সান্টু রহমান জানান, নামাজ আদায়ের শুরুতে অপরিচিত ওই যুবককে দেখে মসুল্লিরা তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। মুসল্লিদের প্রশ্নের জবাবে হামলাকারী যুবক বলেছিলেন- তার বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায়। তিনি রাজশাহী পলিটেকনিকে পড়েন।
সান্টু আরো জানান, যুবকের বয়স ২২/২৩ বছর হবে। জিন্সের প্যান্ট পরা যুবকের গায়ে ছিল কালো রঙের জ্যাকেট। সেই জ্যাকেটের ভেতরে বোমাটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে তারা ধারণা করা হচ্ছে।
এ হামলায় আহত ময়েজ তালুকদার (৪০), আবদুল আজিজ (৩৬) ও নয়ন (১২) কে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ময়েজ ও আজিজের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, লাশ এখনো মসজিদের ভেতরে আছে। ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মসজিদে তল্লাশি চালাচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কি না- তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।