রবিবার ● ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » দিনাজপুরে পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষের জোয়াড়
দিনাজপুরে পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষের জোয়াড়
দিনাজপুর প্রতিনিধি :: দিনাজপুর পৌরসভায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচন জমে উঠেছে। মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরগণ ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে শেষ ভোট প্রার্থনা করছেন। তবে ধানের শীষ মার্কার জোয়াড় সাধারন মানুষকে অবাক করেছে। দিনাজপুর পৌরসভায় প্রতিটি এলাকায় সবার মুখে মুখে ধানের শীষের বিজয়ের কথা। দিনাজপুর পৌরসভার ধানের শীষের জোয়াড় ছড়িয়ে পড়ছে বিরামপুর, বীরগঞ্জ, ফুলবাড়ী ও হাকিমপুর পৌরসভায়। বিশেষজ্ঞদেও অভিমত ৫টি পৌরসভায়ই বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।
দিনাজপুর পৌরসভায় বর্তমান পৌরসভার মেয়র বিএনপি’র প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফ উদ্দীন নারিকেল গাছ মার্কার মেয়র প্রার্থী মধ্যে মুল লড়াই হবে। তবে শহরের প্রতিটি এলাকায় এবং মহল্লায় মহল্লায় সর্বস্তরের মানুষের মুখে এখন শুধু মাত্র বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের নাম। খোদ আওয়ামী লীগের নেতাদের মুখেধানের শীষ মার্কার সৈয়দ জাহাঙ্গীরকে ঠেকানো যাবে না। বিএনপির ধানের শীষ মার্কা বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছে এবং তিনিই জয়লাভ করবেন বলে ভোটারদের অভিমত। ভোটার এবং সচেতন মহলের অভিমত আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা আনোয়ারুল ইসলাম তৃতীয় স্থানে থাকবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক প্যানেল মেয়র মোঃ আলতাফ উদ্দীন (নারিকেল গাছ) ও বর্তমান পৌরসভার কাউন্সিলর ফয়সাল হাবিব সুমন (মোবাইল ফোন) মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছে। নির্বাচনের মাঠে অনুসন্ধান নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম অপ্রতিদ্বন্দ্বি। রিক্সা চালক, দিনমজুর, কুলি, শ্রমিক, ব্যবসায়,ি নারী-পুরুষ সকলের মুখেই ধানের শীর্ষ মার্কার বিজয়ের কথা। দিনাজপুর পৌরসভায় নৌকা মার্কার ভরাডুবি হবে কেন খোজ নিয়ে জানা যায়, দলের মধ্যে রয়েছে চরম দ্বন্দ্ব। জেলা আওয়ামী লীগের বৃহৎ অংশ কাজ করছে না। বরং প্রার্থীকে পরাজিত করার জন্য নিরব ভুমিকার পালন করছে। সাম্প্রতিক কালে হুইপ ও মন্ত্রীর গ্রুপের মধ্যে যেসব ঘটনা ঘটে গেছে তাতে দলের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আশফাক আহম্মেদকে হুইপ সমর্থীত সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা বেদম প্রহার করেছে। রয়েছে হাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই ছাত্রলীগ নেতা খুণের ঘটনা। যে দুই জন ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও মন্ত্রী এড. মোস্তাফিজার রহমান ফিজারের সমর্থীত। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরীকে। দলের সভানেত্রীও নাকী সেটাকে সমর্থন দিয়ে মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে রাত সাড়ে ১১ টায় নাম পরিবর্তন হয়ে আনোয়ারুল ইসলামের নাম আসে। এখানেও রয়েছে চরম বিরোধ।
অপর দিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম যেমন একক প্রার্থী তেমনি দলের মধ্যেও কোন বিরোধ নাই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেঃ জেঃ মাহবুবুর রহমান(অবঃ), মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কেন্দ্রীয় সাংগঠন্কি সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ও ড্যাব কেন্দ্রীয কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ আব্দুস সালামসহসহ জেলা পর্যায়েল সকল নেতাকর্মী একযোগে মাঠে কাজ করছেন। তাদের লক্ষ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রানের প্রতীক ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে। এছাড়াও শহরের সর্বত্র ধানের শীষের জোয়াড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। মানুষের মাঝে ধানের শীষ মার্কার নতুন জোয়াড় এসেছে। ভোটারদের অভিমত সঠিক ভাবে ভোট হলে এবং কোন প্রকার কাচুপি না হলে ধানের শীষ মার্কার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। ধানের শীষ সকলের মন কেড়ে নিয়েছে। ধানের শীষ ছাড়া কিছুই বুঝে না ভোটাররা। একজন হিন্দু ভোটার বললেন, হিন্দুদের ভোটও এবার ধানের শীষেই পড়বে। হিন্দুরা এবার বিপ্লব ঘটাবে। তাদেও কথা আমরা কারো কেনা গোলাম নই। আওয়ামী লীগ সব সময়ই হিন্দুরা তাদেও বাইওে যাবেনা। ভোট না চাইলেও ভোট দিবে। এবার সেটা প্রমান হয়ে যাবে হিন্দুরা কারো কেনা গোলাম নয়। তারা এদশের নাগরিক তাদেরর নিজস্ব এখতিয়ার আছে কাকে ভোট দিবে।