শুক্রবার ● ৩০ নভেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত গাইবান্ধার কৃষক
বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত গাইবান্ধার কৃষক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: (১৬ অগ্রহায়ন ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.১৩মি.) বোরো মৌসুমে জেলা-উপজেলা গুলোতে বোরো চাষে চারা তৈরির জন্য গাইবান্ধায় বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষকরা। অনেক কৃষক ইতোমধ্যে নিম্নভূমিতে বীজতলা তৈরি করেছে, যাতে অন্যান্য জমির পাশাপাশি তাদের পছন্দসই বোরো ধান উৎপাদন করতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ (ডিএই) অফিস সূত্র বিভাগ জানান, ৫,০৬,০০ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ বছর বোরো ধান চাষের আওতায় আনা হবে। মাঠে ধান চাষ, বীজতলা এ মৌসুমে জেলার বিভিন্ন জাতের বীজের উপর ৩০০ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৭৫০০ হেক্টর জমির উপর প্রস্তুত করা হবে। প্রোগ্রামে ব্রি ধান-২৮ ব্রি ধান-২৯, ব্রি ধান-৫০ এবং ব্রি ধান-৫৮ বিএডিসি কৃষকদের বিতরণ করা হচ্ছে। যাতে করে বোরো ধানে উচ্চ মানের চারা তৈরি করতে পারেন কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলার প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো শওকত ওসমান জানান, কৃষক তাদের নিজস্ব বীজ বিএডিসি এবং স্থানীয় বাজারের উপর নির্ভর না করে তারা মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বীজ সংরক্ষণ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বীজতলা তৈরি করছে।
অপরদিকে, অসাধু ও অসৎ বীজ ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এত বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে যে তারা বেশি দামে বীজ বিক্রি করছে। কৃষকদের কাছে বীজ বিক্রি করার জন্য তাদের দোকান ও বাজারগুলি বীজ সম্পর্কিত নকশাকৃত আকর্ষণীয় প্যাকেটগুলিতে নিম্নমানের বীজ দিয়ে বাজার ছেয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ডিএই কর্মকর্তারা বলেন, বিএডিসি ও সরকারী অনুমোদিত ব্যবসায়ী ছাড়া দোকান থেকে নিম্নমানের বীজ না কেনার কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এ কে এম রুহুল আমিন বলেন, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের অনুপ্রাণিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোন উৎপাদনকারীদের অসৎ বীজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিম্নমানের বীজ কিনে প্রতারিত না হয়।