বুধবার ● ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » ঈশ্বরদীতে নৌকা বিজয়ী বিএনপি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন স্থগিত ও পুনঃ নির্বাচন দাবী
ঈশ্বরদীতে নৌকা বিজয়ী বিএনপি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন স্থগিত ও পুনঃ নির্বাচন দাবী
তৌহিদ আকতার পান্না,ঈশ্বরদী :: সকাল থেকে শান্তিপূর্ন পরিবেশে ঈশ্বরদী পৌরসভার ১৮টি কেন্দ্রের ১’শ ৫২টি বুথে ভোট গ্রহন শুরু হয়৷ প্রিজাইডিং অফিসার মুরারী মহন দাশের দেওয়া তথ্য মতে, ভোট গ্রহন চলাকালে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে পুলিশ জাল ভোট প্রদানের অভিযোগে এক যুবককে আটক করে৷ ঈশ্বরদী থানার ডিউটি অফিসার এএসআই অছিম নির্বাচন কেন্দ্রীক কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান৷
এদিকে কেন্দ্র দখল করে ধানের শীষের এজেন্টেদের বের করে দিয়ে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মকলেছুর রহমান বাবলু বিকাল তিনটায় মিলপট্টিস্থ পৌর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন৷
সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বাবলু বলেন, সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়ম চলতে থাকে৷ বিষয়টি বেলা ১১টায় প্রিজাইডিং অফিসারকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি৷ ফলে আমরা এ প্রহশনের নির্বাচন স্থগিত করে পুনঃ নির্বাচন দাবী করছি৷ এ সময় বিএনপি নেতা অকবর আলী বিশ্বাস, শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, জাহিদুর রহমান বিশ্বাস, মনা বিশ্বাস, ইমরম্নল কায়েস সুমন, আনজাম হোসেন ডন, আমিনুর রহমান স্বপন, আক্কাস আলী উপস্থিত ছিলেন৷
রিটানিং অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল ১১টায় ধানের শীষের প্রার্থীর এজেন্টের পক্ষ থেকে কয়েকটি কেন্দ্রের অনিয়ম সম্পর্কে অভিযোগ করার পর সংশিস্নষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসনোর সহযোগিতায় তাত্ক্ষনিকভাবে সমাধান দেওয়া হয়৷
বিএনপি প্রার্থী মকলেছুর রহমান বাবলুর অভিযোগের বিষয়ে পাবনা পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরে কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, পুলিশের কাজ হলো কেন্দ্রের নিরাপত্তা প্রদান ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা৷ পুলিশ সেটি করেছে৷ বুথের অভ্যন্তরের বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব প্রিজাইডিং অফিসারের৷ পুলিশের সামনে কোনো অনিয়ম ঘটে নাই৷ পুলিশকে যে বিষয়গুলো গোচরীভূত করা হয়েছে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে এ্যাকশন নিয়েছে৷
এ দিকে বাবলুর অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ধানের শীষের প্রার্থীর ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার কারণে নির্বাচনী মাঠে গণ জোয়ার সৃষ্টি হয়৷ নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যাচার করেছে৷
উলেস্নখ্য, এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির আভ্যন্তরীন কোন্দাল বৃদ্ধি পায়৷ বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ চার নেতাকে শোকজ ও দু’নেতাকে বহিস্কারের ফলে বিএনপির অনেক নেতাই প্রকাশ্যে নৌকা প্রতিকের পক্ষে পথসভায় বক্তব্য ও ভোট প্রার্থনায় অংশ নেন৷ এতে করে ধানের শীষের প্রার্থীর প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক নেতাকর্মী এজেন্টের ব্যাপক ঘাটতি হয়৷ পক্ষান্তরে আ’লীগের নৌকা প্রতিক প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যেকাটি কেন্দ্রেই নেতা কর্মী সমর্থক ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক এজেন্ট নিয়োগ থাকায় কেন্দ্র গুলোতে সরব অবস্থা বিরাজ করে৷
এই মুহুর্তে জানা যায় আবুল কালাম আজাদ মিন্টু নৌকা প্রতীকে ২৬ হাজার ৯’শ ১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন৷ তার নিকটতম বিএনপি প্রার্থী মকলেছুৃর রহমান বাবলু ধানের শীষ প্রতীকে ৯ হাজার ৩’শ ১৩ ভোট পেয়েছেন৷ ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷