বৃহস্পতিবার ● ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট : ওসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ
শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট : ওসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ব্রাহিমপুর গ্রামে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের মানুষ যখন ভাত খাচ্ছিলেন তখন এই হিংসাত্বক ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে এ হিংসাত্বক ঘটনা ঘটে। এসময় শৈলকুপা থানার ওসির ভূমিকা ছিল রহস্যজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ। গ্রামের একপাশে পুলিশের অবস্থান থাকলেও অন্যপাশে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট চলতে দেখা যায়। গ্রামবাসী জানায়, শৈলকুপার উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাব্দার হোসেন মোল্লা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুলের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বাবুলের সর্মথকরা সাব্দার মোল্লার সমর্থক আমজেদ মোল্লাকে কুপিয়ে আহত করে। এরই জের ধরে সকাল থেকে দফায় দফায় সাব্দার মোল্লার সমর্থকরা ব্রাহিমপুর গ্রামের বাবুলের সমর্থক বজলু মোল্লা, নলু মোল্লা, রাজু, বদর উদ্দিন, নিজাম উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জনের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে। পরবর্তীতে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে গ্রামের একপাশে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও অন্যপাশে চলে ভাংচুর ও লুটপাট। স্থানীয় মাতব্বর আবু বক্কার ওরফে বাক্কার নেতৃত্বে চলে এ ভাংচুর ও লুটপাট। ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আয়ুবুর রহমান ঘটনার কোন গুরুত্ব দেয়নি। ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে দেখা গেলেও ওসি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, ঘটনা জানার পর সেখানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) তারেক আল্ মেহেদিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।