মঙ্গলবার ● ১১ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় মনোনয়ন প্রত্যাহারে ভোটের মাঠে ৩৮ জন প্রার্থী
গাইবান্ধায় মনোনয়ন প্রত্যাহারে ভোটের মাঠে ৩৮ জন প্রার্থী
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন রবিবার (০৯ ডিসেম্বর) গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনে ৫৪ জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে মোট ১৬ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরমধ্যে গাইবান্ধা রিটানিং অফিসারের কার্যালয়ে ৭ জন এবং চারটি আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকায় এইসব আসনে দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা ছাড়া বাকি ৯ জন দলীয় সিদ্ধান্তে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ফলে চূড়ান্ত তালিকায় ৩৮ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকলেন।
গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনে মনোনয়নপত্র বহাল আছে ১১জনের, তারা হলেন-মহাজোটের জাপার মনোনীতপ্রাার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী মাজেদুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ, ইসলামী আন্দোলনের আশরাফুল ইসলাম খন্দকার, গণতন্ত্রী পার্টির আবুল বাসার মো. শরীতুল্যাহ্, বাসদ (খালেকুজ্জামান) মনোনীত বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী গোলাম রব্বানী, গণফ্রন্ট এর শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের হাফিজুর রহমান সর্দার এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী আফরুজা বারী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এমদাদুল হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাপার সাবেক এমপি কর্ণেল (অবঃ) ডা. আব্দুল কাদের খাঁন।
গাইবান্ধা-২ সদর আসনে মনোনয়নপত্র বহাল আছে ৬জনের, তারা হলেন- মহাজোটের আ.লীগের দলীয় প্রার্থী জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, সম্প্রতি জাপা থেকে বিএনপিতে যোগ দেয়া ঐক্যফ্রন্টের বিএনপি প্রার্থী আব্দুর রশীদ সরকার, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সিপিবি মনোনীত প্রার্থী মিহির ঘোষ, ইসলামী আন্দোলনের আল আমিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মওলানা জুবায়ের আহমেদ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জিয়া জামান খান।
গাইবান্ধা-৩ সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী আসনে মনোনয়নপত্র বহাল আছে ৮জনের, তারা হলেন- মহাজোটের আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী সাদুল্যাপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বর্তমান সংসদ ডা. ইউনুস আলী সরকার, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের (ইনু) কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি, ঐক্যফ্রন্টের জাপার (কাজী জাফর) কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের মো. হানিফ দেওয়ান, বাম গণতান্ত্রিক জোটের বাসদ (খালেকুজ্জামান) মনোনীত প্রার্থী সাদেকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মিজানুর রহমান তিতু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ।
গাইবান্ধা-৪ গোবিন্দগঞ্জ আসনে মনোনয়নপত্র বহাল আছে ৮জনের, তারা হলেন- মহাজোটের আ.লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, জাপার কাজী মশিউর রহমান ও জাকের পার্টির আবুল কালাম, ঐক্যফ্রন্টের বিএনপির প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক কবির আহমেদ, ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোটের বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি মনোনীত প্রার্থী ছামিউল আলম, এনডিপির খন্দকার মো. রাশেদ, মুসলিম লীগের মো. সানোয়ার হোসেন।
গাইবান্ধা-৫ ফুলছড়ি-সাঘাটা আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বহাল আছে ৫জনের, তারা হলেন- মহাজোটের আ.লীগের দলীয় প্রার্থী জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি, জাপার দলীয় প্রার্থী সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করা এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, ঐক্যফ্রন্টের বিএনপি প্রার্থী সম্প্রতি কৃষক লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদানকারী ফারুক আলম সরকার, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সিপিবি মনোনীত প্রার্থী যজ্ঞেস্বর বর্মন।
গাইবান্ধার পাঁচটি আসনে মোট ৬৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়ন বাতিল হয় ১৬ জনের। আপিল করে ৬ জন প্রার্থীতা ফিরে পেলে বৈধ প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৪ জনে। এরমধ্যে ৭জন স্ব-ইচ্ছায় ও দলীয় সিদ্ধান্তে ৯ জনসহ ১৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
৭টি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধার পাঁচটি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ১৭ লাখ ৮৪ হাজার ৫৮৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৬০ ও নারী ভোটার ৯ লাখ ১৩ হাজার ৬২৬ জন। এবার নতুন ভোটার বেড়েছে ১ লাখেরও বেশি। মোট ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০৫টি। এরমধ্যে চরাঞ্চলেই ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৪৮টি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী গত ৯ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ও প্রতীক বরাদ্দ করা হয় ১০ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।