মঙ্গলবার ● ১৫ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » ছলিমপুর ভুমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ
ছলিমপুর ভুমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়ন ক্যাম্প ভুমি অফিসের উপসহকারী ভুমিকর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ ছাড়া কাজ না করা,নামজারি কেসের ক্ষেত্রে চাহিদামত অর্থ না পেলে জমির মালিকদের নানাভাবে হয়রানী,ওমেদারসহ কতিপয় দালালদের মাধ্যমে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করা এবং ভুক্তভোগীক জমির মালিক কর্তৃক সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনিয়মকারীদের শাস্তি দাবির অভিযোগ পাওয়াগেছে। ছলিমপুর ইউনিয়নের একাধিক ভুক্তভোগী জমির মালিকদের দেওয়া অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
সূত্রমতে,দাশুড়িয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের অধিনস্ত ছলিমপুর ইউনিয়ন ক্যাম্প ভুমি অফিস। এই অফিসে কেএম,মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা ও একজন পিয়ন গত ২০১৫ সাল থেকে প্রায় পাঁচ বছর কর্মরত রয়েছেন। এই অফিসের অধিনে ছলিমপুর ইউনিয়নের চারটি মৌজার প্রায় দশ হাজার জমির মালিক বা আদায়কারী হোল্ডিং রয়েছে। এদেরকে নিয়মিত অত্র অফিসের মাধ্যমে জমির খাজনা ও নামজারি করতে হয়। ঈশ্বরদীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অত্র অফিসের দায়িত্বশীলরা দীর্ঘদিন থেকে জমির মালিকদের সুযোগ বুঝে নানা অজুহাতে হয়রানী করে অতিষ্ট করে তুলেছে। নামজারি ও খাজনাদি দিতে গেলে জমির কাগজপত্রে ত্রুটি না থাকলেও নির্দিষ্টহারে উৎকোচ দাবি করা হয়। দাবিকৃত উৎকোচ দিলে কাজ করা হয় আর না দিলে নাম জারির আবেদন বাতিল করে উপজেলা ভুমি অফিসে প্রেরণ করা হয়।আবার জমির কাগজপত্রে সামান্য ত্রুটি থাকলে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এক্ষেত্রেও দাবিকৃত টাকা দিলে উপসহকারী ভুমিকর্মকর্তা তার নিজ দায়িত্বে আবেদনকৃত নামজারি ও খাজনাদি সম্পন্ন করে দেন।অত্র অফিসের অধিনস্ত সকল জমির মালিকের নামজারি ও খাজনাদি সম্পন্নের ক্ষেত্রে ঐ উপসহকারী কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন ওমেদার ও কয়েকজন দালালকে দিয়ে উৎকোচের চুক্তি ও অর্থ সংগ্রহকরানো হয়। চাহিদামত অর্থ না দেওয়ায় অনেক জমির মালিকদের নামজারির নথি গায়েব করে জমির মালিকদের হয়রানী করাও হয় বলে সুত্রজানায়। এসব অফিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তা কেএম,মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ সঠিক না বলে দাবি করেন।