বুধবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » নোয়াখালীতে বিএনপি’র ২১৮ নেতাকর্মী কারাগারে
নোয়াখালীতে বিএনপি’র ২১৮ নেতাকর্মী কারাগারে
নোয়াখালী প্রতিনিধি :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নোয়াখালী-৪ আসনে যুবগীল নেতা মো. হানিফ হত্যায় মামলায় জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২১৮ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির ২২২ জন নেতা কর্মী নোয়াখালী জেলা জজ আদালতে ১নং আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ হাকিম শোয়েব উদ্দিন খাঁনের আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন চাইলে শুনানি শেষে আদালত ২১৮ জনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বাকি ৪ জনকে চার সাপ্তাহের জামিন দেওয়া হয়।
কারাগারের পাঠানো নেতাদের মধ্যে সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. এনায়েত উল্যাহ বাবুল, জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম কিরন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শাহাজাহানের ছেলে সবুজ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক ট্রপি, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ভিপি পলাশ, জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান নোমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য ভিপি আলা উদ্দিন, ৫ নং চরজুবিলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন রয়েছেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান ও সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মিথ্যা ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপি বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মর্সমপণ করে জামিন চাইলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ সময় তিনি অবিলম্বে সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পরদিন ১১ ডিসেম্বর বিকালে নোয়াখালী- ৪ আসনের সদর উপজেলার নুরু পাটোয়ারী হাট এলাকায় বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ শাহাজানের সমর্থনে একটি পথসভা চলছিল।
ওই সভার সামনে দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাধক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় মো. হানিফের নেতৃত্বে একটি মিছিল যাচ্ছিল। এ সময় বিএনপি নেতা ও এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে বিএনপির লোকজন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মিছিলে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে এলোপাথারি গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো শুরু করে। এ সময় হানিফের চোখে মরিচের গুঁড়া প্রবেশ করলে তিনি বসে পড়েন। তখন তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই সময় তার চাচা নজরুল দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
ঘটনার পরের দিন যুবগীল নেতা আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এওয়াজবালিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩৬৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ।