সোমবার ● ২৯ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ইয়াবা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশকে আটকিয়ে জনতার বিক্ষোভ : অবশেষে ৫ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
ইয়াবা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশকে আটকিয়ে জনতার বিক্ষোভ : অবশেষে ৫ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগোপালপুর বাসস্ট্যান্ডে খোকন মিয়া (৩০)নামের এক মোবাইল যন্ত্রাংশ , বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ঘরে আটকে ঘেরাও করে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয় একালাবাসী।
গতকল রবিবার ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।ঘেরাওয়ে আটকেপড়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই আব্দুল আওয়াল, এসআই আনোয়ার, এএসআই রুহুল আমিন, এএসআই কামরুল ও কনস্টেবল আল আমিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বলুহা গ্রামের আবদুল কদ্দুসের ছেলে মোবাইল যন্ত্রাংশ , বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী খোকন মিয়া (৩০) ইয়াবা বিক্রি করেন বলে গৌরীপুর থানার পুলিশকে তথ্য দেওয়া হয়।
এমন তথ্যে গৌরীপুর থানার এসআই আবদুল আউয়ালেরর নেতৃত্বে এসআই রুহুল আমিন, এএসআই আনোয়ার হোসেন ও কামরুল এবং কনস্টেবল আল আমিন রামগোপালপুর বাজারে খোকনের দোকানে যান।
এক পর্যায়ে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা খোকনের দোকানে তল্লাশি শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। প্রথম দফায় খোঁজাখুঁজি করে কিছু পায়নি। পরে আরেক পুলিশ সদস্য জানায় বৈদ্যুতিক তারের কয়েলের ভেতর মাদক রয়েছে। এরপর তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
এসময় প্রতিবাদের মুখে তাকে(খোকন) ছেড়ে দিলেও পুলিশকে যেতে দেননি এলাকাবাসী। জনতার ধাওয়া খেয়ে অটোটেম্পু মালিক সমিতির কার্যালয়ে আশ্রয় নিলে সেখানেই পুলিশ সদস্যদের আটকে রাখেন এলাকাবাসি। এক পর্যায়ে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে জনতা বিক্ষোভ করতে থাকে ।
এএসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, ফ্লেক্সিলোড ব্যবসার পাশাপাশি ইয়াবা বিক্রি করার খবরে তারা তল্লাশি শুরু করেন। তল্লাশির এক পর্যায়ে একটি পুটলি পাওয়া যায় খোকনের কাছে। কিন্তু স্থানীয়রা খোকনকে ভালো লোক দাবি করে তাদের আটকে ফেলে বিক্ষোভ শুরু করে।
এদিকে পুলিশের নির্যাতনে আহত খোকনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে তার চাচা নিশ্চিত করেন।
পরে রাত ১২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গৌরীপুর সার্কেল) শাখের হোসেন সিদ্দিকী, রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি, রামগোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মাস্টার উত্তেজিত জনতাকে বিচারের বিষয়ে আশ্বন্ত করায় এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন।
উত্তেজিত জনতার সাথে ঘটনাস্থলে রাত দেড়টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গৌরীপুর সার্কেল) শাখের হোসেন সিদ্দিকী ও গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত)গোলাম মাওলা কথা বলেন ।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ পুলিশ সদস্যকে থানায় আনা হয়েছে। যদি পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা সাধারণ মানুষের অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গৗরীপুরে ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে অবশেষে ৫ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগোপালপুর বাসস্ট্যান্ডে খোকন মিয়া (৩০)নামের এক মোবাইল যন্ত্রাংশ,বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ সোমবার ২৯ এপ্রিল বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন গৌরীপুর থানা থেকে তাদের প্রত্যাহার করেন।
প্রত্যাহার করা পাঁচ পুলিশ সদস্যরা হলেন- গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল, রুহুল আমিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম ও কনস্টেবল আল আমিন।
ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকী এ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর বাজারে খোকন মিয়া (৩০)নামের এক মোবাইল যন্ত্রাংশ , বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে পাঁচ পুলিশ সদস্য এসআই আব্দুল আওয়াল, এসআই আনোয়ার, এএসআই রুহুল আমিন, এএসআই কামরুল ও কনস্টেবল আল আমিনকে ঘরে আটকে ঘেরাও করে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয় এলাকাবাসী।
গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর বাজারের ব্যবসায়ী খোকন মিয়া ফ্লেক্সিলোড ব্যবসার পাশাপাশি ইয়াবা বিক্রি করে এমন খবরে পুলিশ সদস্যরা তার দোকানে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে যান। প্রথম দফায় খোঁজাখুঁজি করে কিছু পায়নি। পরে আরেক পুলিশ সদস্য জানায় বৈদ্যুতিক তারের কয়েলের ভেতর মাদক রয়েছে। এরপর তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
এসময় প্রতিবাদের মুখে তাকে(খোকন) ছেড়ে দিলেও পুলিশকে যেতে দেননি এলাকাবাসী। জনতার ধাওয়া খেয়ে অটোটেম্পু মালিক সমিতির কার্যালয়ে আশ্রয় নিলে সেখানেই পুলিশ সদস্যদের আটকে রাখেন এলাকাবাসি। এক পর্যায়ে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে জনতা বিক্ষোভ করতে থাকে ।
পরে রাত ১২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গৌরীপুর সার্কেল) শাখের হোসেন সিদ্দিকী, রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি, রামগোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মাস্টার উত্তেজিত জনতাকে বিচারের বিষয়ে আশ্বন্ত করায় এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন।
উত্তেজিত জনতার সাথে ঘটনাস্থলে রাত দেড়টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গৌরীপুর সার্কেল) শাখের হোসেন সিদ্দিকী ও গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত)গোলাম মাওলা কথা বলেন ।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ পুলিশ সদস্যকে থানায় নিয়ে আসেন।এসময় তিনি বলেন, ‘যদি পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা সাধারণ মানুষের অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’