বুধবার ● ৮ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ধানের মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন
ধানের মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধানসহ ফসল ক্রয়ের দাবিতে আজ বুধবার শহরের ডিবি রোডে এক মানববন্ধন ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিস্ট পার্টি সদর উপজেলা শাখা এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশের আয়োজন করে। এসময় বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা বস্তাাভর্তি ধানের বস্তায় মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে নানা ধরণের স্লোগান লিখে আনেন।
সিপিবি সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি ছাদেকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, সাবেক জেলা সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, সুপ্রিয়া দেব, জাহাঙ্গীর আলম, মশিউর রহমান মইশ্যাল, কৃষক নেতা তপন, যুবনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাঁধন, রানু সরকার, ছাত্রনেতা পংকোজ সরকার, ওয়ারেছ সরকার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সরকার নিজেদের কৃষক বান্ধব বলে দাবি করলেও ধানের দাম কমতে কমতে এমন জায়গায় নিয়ে এসেছে কৃষকরা এখন এক মন ধান বিক্রয় করে এক কেজি গরুর মাংস কিনতে পারছে না। বক্তারা, কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সকল ইউনিয়নে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু করে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ধানসহ ফসল ক্রয়ের জোর দাবি জানান। সভায় খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস, ভূমি অফিসের অস্বাভাবিক দুর্নীতি বন্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়।
গাইবান্ধায় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ : আটক-১
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামে ৯ বছর বয়সী প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি স্থানীয় মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শাকিল মিয়া (১৯) এর বাবা আইয়ুব খানকে গত সোমবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (০৭ মে) সকালে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি অসুস্থ অবস্থায় এখন হাসপাতালের ১৯নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেযেটির জন্মের ৩মাস পর তার বাবা মোকছেদুল ইসলাম মারা যায়। ৫ মাস পর তার মা লাবণী বেগম অন্যখানে বিয়ে করে চলে যায। ফলে এতিম শিশুটি তার দাদি পশ্চিম কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগমের বাড়িতে থেকে প্রতিপালিত হচ্ছিল। দাদির নির্দেশনা অনুযায়ি গত রোববার সন্ধ্যায় তাদের চার্জ দেওয়া টর্চলাইট নিয়ে আসার জন্য প্রতিবেশী আইয়ুব খানের ঘরে যায় ওই ছাত্রীটি। এসময় ঘরে থাকা আইয়ুব খানের বখাটে ছেলে শাকিল মিয়া শিশুটিকে জাপটে ধরে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। ছুরি দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে মর্মে হুমকি দেয়। শিশুটি বাড়িতে ফিরে সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে দাদির জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ করে। ওই রাতেই স্থানীয়ভাবে বিষযটি মিমাংসার চেষ্টা করা হলে শাকিল মিয়ার পরিবার হুমকি ধামকি দিয়ে তাদেরকে বিদায করে দেয। পরে অসুস্থ শিশুটিকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে ধর্ষণের শিকার শিশুটির দাদি মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে ৪জনকে আসামি করে সদর থানায একটি মামলা দায়ের করেন।
গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনী বিভাগের জুনিযর কনসালটেন্ট ডা. তাহেরা আক্তার মনি জানান, মঙ্গলবার শিশুটির মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করা হযেছে এবং কিছু সমস্যার আলামত পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার একজনকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায থানায় মামলা দায়ের করার পর অপরাধীকে গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।