শুক্রবার ● ১০ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে একই পরিবারের ৩০ সদস্য ভিটে বাড়ি ছাড়া
সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে একই পরিবারের ৩০ সদস্য ভিটে বাড়ি ছাড়া
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের মান্দারতলা গ্রামে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে একই পরিবারের ৩০ সদস্য ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। শিশু সন্তান ও স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা ভিটেছাড়া হয়ে এখানে ওখানে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মান্দারতলা গ্রামের মোশাররফ হোসেন। এ সময় ঘরবাড়িছাড়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ইউনুস আলী, আকলিমা খাতুন, আমিরুল মোল্লা, সালেহা খাতুন, মোছাঃ বেগম ও সোহাগী খাতুন উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন দাবী করেন, আমাদের দখলে থাকা ২৬ শতক জমি অবৈধ ভাবে গ্রাস করার জন্য মান্দারতলা গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন চেষ্টা করলে ঝিনাইদহের একটি আদালতে মামলা করা হয়। আদালত থেকে নালিশী জমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য ঝিনাইদহ সদর থানাকে ব্যবস্থা গ্রহনের দির্নেশ দেন। থানা পুলিশ আসামীদের প্রতি নোটিশ জারী করলে গত পহেলা মে দুপুরে জুড়োন মোল্লার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, পাতা মোল্লা, জাহিদুল, শহিদুলের ছেলে শান্তি, জাহিদুলের ছেলে হৃদয়, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে টোকন, তোফাজ্জেলের ছেলে আরিফুল ও জাফর অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে জোরপুর্বক বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমরা থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ আমাদের সুরক্ষা দেয়নি। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, এ সব সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে মান্দারতলা গ্রামের শহিদুল ইসলাম। তার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হলেও ভয়ে কেও মুখ খোলে না। এখন ধানা কাটার মৌসুম, অথচ মাঠের ধান কাটতে দিচ্ছে না সন্ত্রাসী শহিদুল। থানায় শহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা গ্রহন করছে না। উপরোল্লেকিত সন্ত্রাসীদের অনেকের নামে থানায় মামলা থাকলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলেও লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয়। শহিদুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ১৮৬ নং রুপদাহ মৌজার ২২৯৮, ২২৯৭ ও ২৩৯৯ দাগের ২৬ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিলে তারা আমাদের হত্যা করার হুমকী দিচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলন করার পরেও যদি প্রশাসন আমাদের সুরক্ষা না দেয় তবে পরিবারটির ৩০ সদস্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলে জানানো হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কান্ড: অফিসে উপস্থিত না হয়েও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালিগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আসলাম আলী ভুইঁয়া তিনি থাকেন খুলনা ফুলতলায় আর অফিস করেন কালিগঞ্জ। তবে তার কালিগঞ্জ উপজেলা ডরমিটরিতে সিট বরাদ্ধ নেওয়া আছে। তিনি অফিসে ঠিক মত উপস্থিত থাকেন না অথচ প্রতি মাসের বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। বুধবার সকাল ১১ টা ৩৯ মিনিটি তার অফিসে হাজির হতে দেখা গেছে, তিনি অফিসে নাই, খালি চেয়ার পড়ে আছে। তার অফিস সহায়ক সোহেল রানা, ও অফিস সহকারী বিলকিস অফিসে উপস্থিত আছেন। তাদের নিকট কর্মকর্তা কোথায় আছেন জানতে চাইলে অফিস সহকারী বিলকিস বলেন, স্যার মোবাইল করে বলেছেন ফিল্ডে আছেন। জানতে চাই কোন ফিল্ডে আছেন বলেন বারবাজার এলাকায়। উপজেলা সমবায় অফিসারের ০১৭১৮৭২৪১৯২ নং মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননী। জেলা সমবায় কর্মকর্তা জনাব সৈয়দ নুরুল কুদ্দুস ০১৯১৫-৫৬৭০০০ নং মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন শুনেছি কালিগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ঠিকমত অফিস করেন না। তার বিরুদ্ধে গত ২১/০৪/১৯ এবং ০৫/০৫/১৯ তারিখ ২টি শোকজ করে খুলনা বিভাগিয় অফিসে লিখিত পাঠানো হয়েছে। তার পরও তিনি অফিসে আসেন না আমি কি করব বলুন। সাংবাদিকরা জানতে চাই তিনি গত রবিবার ০৫/০৫/১৯ তারিখ তিনি অফিসে হাজির ছিলেন না হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হল কিভাবে। জেলা কর্মকর্তা বলেন এটা উনিই (উপজেলা কর্মকর্তা) ভাল বলতে পারবেন। কালিগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আসলাম আলী ভুইঁয়া দীর্ঘদিন এভাবে অফিস না করে একাধিক দিন অনুপস্থিত থাকেন। কয়েকদিন পর এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। এভাবে গুদামিল দিয়ে তিনি অফিস করেন আর বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। অনেক সময় হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর করে বাড়ি চোলেযান,আর অফিসের অন্যান্য কর্মরতরা থাকেবহাল তবিয়তে। তাদের কাছে কেউ কিছু শুনলে বলেন, স্যার বাইরে বা ফিল্ডে আছে। এভাবে দীর্ঘদিন অফিস ফাঁকি দিয়ে আসছে ঐ কর্মকর্তা। তিনি অপিস ফাঁকি দিয়ে নিজ বাড়ি ফুলতলায় থাকে। এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ন রানী সাহা বলেন আমি শুনেছি উনি অফিসে ঠিকমত থাকেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় অফিসের সকলকে তার রুমে ডেকে পাঠান হাজিরা খাতাসহ। ইউএনও, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো: আসলাম আলী ভূইঁয়াকে ০১৭১৮-৭২৪১৯২ নং মোবাইলে ফোন দিলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেন আমি বারবাজার বাদুরগাছা ফিল্ডে আছি। কালিগঞ্জ ইউএনও বলেন আপনি ঐ খানে থাকেন আমি আসছি। এ কথা শুনে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোবাইল ফোন কেটে দেন।
“সবাই ভাল থেকে, আম্মু এবং আব্বু খুব মিস করবো তোমাদের”
মটরসাইকলে কিনে না দেওয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা !
ঝিনাইদহ :: নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সদ্য এসএসসি পাশ করা আহাদ হাসান। সে ঝিনাইদহ পৌরসভার কাঞ্চনপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। গত ৭ মে তার ফেসবুকে রাত ৯টার সময় স্ট্যাটাস দেয়। আহাদ হাসান লিখেছিল “লাস্ট পোষ্ট সবাই ভাল থেকে, আম্মু এবং আব্বু খুব মিস করবো তোমাদের”। এরপর বুধবার তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় নিজ ঘরে। মটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে তার সহপাঠীরা জানায়। আহাদ হাসানের শিক্ষক রাজু আহম্মেদ মিজান তার ছাত্রের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ছেলেটি পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত তার স্কুলে পড়েছে। সে খুব রাগী ছিল। প্রায় পিতা মাতার উপর রাগ করে স্কুলে আসতো না খেয়ে। আমরা তাকে খাওয়াতাম। এসএসসি রেজল্ট বের হওয়ার আগে পিতার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমন করে আসে আহাদ। ৬ মে এসএসসি রেজাল্টের দিন আহাদ কান্নার ছবি দিয়ে লিখেছে “আলহামদুলিল্লাহ পাস করেছি”। একই দিন রাতে সে দুইটা ঘুমের বড়ির ছবি দিয়ে লিখেছে “আজ দুইটা নিলাম, জানি না বাঁচবো কিনা। বেঁচে থাকলে আবার আসবো। আমি কোন ভুল করলে মাফ করে দিবেন”। পরের রাতে আহাদ তার শেষ পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করে।
শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তেতুলতলা বাজারে রাস্তা পার হওয়ার সময় আক্কাচ আলী (৫৮) নিহত হয়েছেন। তিনি শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা বাম নেতা মীর ইলিয়াস হোসেন দিলিপের ভাইরা। নিহত আক্কাচ আলী সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত গুনাই বিশ্বাসের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী শাহারুল বারী জানান, বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজ পড়েতে তিনি রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে। প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে ঢাকায় নিয়ে গেলে রাত ১১টার দিকে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। আক্কাচ আলী প্রথম জীবনে বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি করতেন। পরে তিনি নিজ ভাইরার হাতে গড়া শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলনে যোগ দেন। মরহুমের মৃত্যুতে রাজাপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতর বিষয়টি এখনো ঝিনাইদহ সদর থানা অবগত নয় বলে পুলিশ সুত্রে বলা হয়েছে।
মহেশপুর শিশু ধর্ষন মামলায় শিশু ধর্ষন মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর শিশু ধর্ষন মামলায় তারিকুল ইসলাম (২৮) নামের একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলীম আল রাজী এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন। দন্ডিত তারিকুল ইসলাম মহেশপুর উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মান্নান হোসেনের ছেলে। মামলা বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩০ জুলাই দুপুরে মহেশপুর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মান্নান হোসেনের ছেলে তারিকুল ইসলাম প্রতিবেশী নার্সারী পড়ুয়া এক শিশু কণ্যাকে বাড়ির পাশে বাশ বাগানে নিয়ে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় পরদিন নির্যাতিতার পিতা বাদি হয়ে তারিকুল ইসলামকে আসামী করে মহেশপুর থাকায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই বছরের ২২ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগ চার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ তারিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড প্রদাণ করেন বিচারক।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির ২য় দ্বি-মাসিক সভা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির ২য় দ্বিমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি শাম্মী ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফ উজ-জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জি এম আব্দুর রউফ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আব্দুল আলিম, সদর উপজেলা সহকারি কমশিনার ভূমি ফাতেমা-তুজ-জোহরা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তহুরা খাতুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার রুবেল হাওলাদার, মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার, জন প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ। কমিটির কার্যাবলী মাল্টিমিডিয়া’র মাধ্যমে সভায় উপস্থাপন করেন কাজী আলম। উপস্থাপনা পরবর্তী প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন সেক্টরের কার্যক্রম কিভাবে সমন্বয় হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কেয়ার বাংলাদেশকে উক্ত কমিটির একজন সদস্য নির্বাচন করায় আবদুর রহমান, টেকনিক্যাল অফিসার-হেলথ্ সিস্টেম স্ট্রেনধেনিং কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উপজেলা পুষ্টি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলাম সভাপতির ভাষনে উক্ত কমিটি কার্যাবলী কিভাবে সমন্বয় করা হবে সেই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং প্রাথমিকভাবে প্রতিটি সেক্টরের পুষ্টি সম্পর্কিত কি কি কার্যক্রম আছে সেইগুলোকে একত্রিত করে একটি সমন্বিত পুষ্টি পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
ঝিনাইদহে কর্মজীবি শিশুদের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে কর্মজীবি শিশুদের নিরাপত্তা (প্রটেকশন অব ওয়াকিং চিলড্রেন) বিষয়ক প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহরের সৃজনী বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সৃজনী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. হারুন-অর রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) তারেক আল মেহেদি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমবায় অফিসার নুরুল কুদ্দুস, আইনজীবি এ্যাড.মনোয়ারুল হক লাল, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, সৃজনী বাংলাদেশের সহ-সভাপতি তোবারক হোসেন। এসময় উন্নয়ন কর্মী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভা থেকে জানানো হয়, ইউকেএইড এর অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সৃজনী বাংলাদেশ কর্মজীবি শিশুদের নিরাপত্তা (প্রটেকশন অব ওয়াকিং চিলড্রেন) নামের প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করবে। প্রকল্পটিতে জেলার সদর, কালীগঞ্জ, শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডুর বিভিন্ন এলাকার সাড়ে ৪ হাজার কর্মজীবি শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করবে। এতে শিশুদের ঝুঁকিবিহীন কাজ, লেখাপড়া, শিশুদের অভিভাবকদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটি চলবে আগামী ৩ বছর।