রবিবার ● ১২ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে বাদাম চাষে সাফল্য
বিশ্বনাথে বাদাম চাষে সাফল্য
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় শখের বসে দেশীয় জাতের বাদাম চাষে সাফল্য দেখিয়েছেন মাওলানা ফারুক আহমদ। এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো বাদাম চাষ করে সুফল পেয়েছেন তিনি।
স্বল্পমেয়াদি অর্থকরী এ ফসল নিজ মাদ্রাসার মাঠেই আবাদ করেন ফারুক। অল্প পরিশ্রম ও খরচে আয় করেছেন দ্বিগুণের চেয়ে বেশি অর্থ।
সরেজমিনে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল (জমসেরপুর) গ্রামের জামেয়া ইসলামিয়া দারুসুন্নাহ আমতৈল মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, মাদরাসার মাঠে দেশীয় জাতের বাদাম চাষ করেছেন মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) মাওলানা ফারুক আহমদ। মাঠ চেয়ে গেছে সবুজ বাদামের গাছে। পাশেই রয়েছে তার নতুন জাতের সাগর কলার প্রদর্শনী প্লট।
উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় খামার বাড়ি ঢাকা’র উদ্যোগে চাষ করেছেন এ সাগর কলা।
মাওলানা ফারুক আহমদ জানান, কিছুদিন আগে মাদ্রাসার মাঠে মাটি ভরাট করাই। নদী থেকে আনা হয় মাটি। নতুন মাটিতে কিছু চাষ করার ইচ্ছে জাগে। তখন অনেকে বলেন, বালু মাটিতে ভালো বাদাম চাষ হয়। তখন থেকেই বাদামের বীজ খুঁজতে থাকি। আমাদের এলাকায় বাদামের চাষ না হওয়ায় বীজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ি। পরে
মাদ্রাসায় কিশোরগঞ্জ থেকে কিছু শিক্ষক এলে তারা আমার আগ্রহ দেখে নিজ এলাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করে দেন।
পরে ১৫ শতক জায়গায় গত ফেব্রুয়ারি শেষের দিকে ৭ কেজি বীজ বপণ করি। তিন মাসেই ফলন আসে বাদামের। প্রতিটি গাছের গোড়ায় ফলেছে ২৫/৩০টি করে বাদাম। গত শনিবার (১১ মে) ক্ষেত থেকে বাদাম তুললে ফলন হয় ৭
মণ। এতে ২ হাজার টাকা খরচে বাদামের ফলন হয়েছে ২০/২৫ হাজার টাকার। যা খরচের দ্বিগুণের চাইতে অনেক বেশি লাভ।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, বাজারে চাহিদা ভালো এবং কম খরচে লাভের পরিমাণ বেশি। বাদাম চাষ করলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। মাওলানা ফারুক আহমদ দেখিয়েছেন, সাহস করে সামনে অগ্রসর হলে সাফল্য নিশ্চিত।
বিশ্বনাথে যুবকের ৯ মাসের কারাদন্ড : ইভটিজিংয়ের অভিযোগ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে প্রতিবেশী এক স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে মনির মিয়া (৩৩) নামের এক যুবককে ৯মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। সে উপজেলার কর্মকলাপতি মাধবপুর গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের পুত্র। আজ রবিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরা’র নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত অভিযুক্ত মনির মিয়াকে এই কারাদ- প্রদান করেন।
ইভটিজিং এর অভিযোগে মনির মিয়াকে সাঁজা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান- কারাদন্ডপ্রাপ্ত মনির মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ তার প্রতিবেশী কাতার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের মেয়ে স্থানীয় ইসহাক একাডেমীর ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করে আসছিল মনির মিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে ইভটিজিং করে মনির। বিষয়টি স্কুল ছাত্রীর পরিবার পাড়ার মুরব্বিদের অবহিত করলে রাতেই বৈঠকে বসেন গ্রামের মুরব্বিরা। কিন্ত মুরব্বিদের ডাকে সাড়া না দিয়ে ভিকটিমের (স্কুল ছাত্রী) বসত ঘরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে মনির। একপর্যায়ে ভিকটিম এবিষয়ে বিশ্বনাথ থানায় অভিযোগ করলে রবিবার রাতে ২:৩০ মিনিটে নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত মনির মিয়াকে আটক করে পুলিশ। এরপর বিকেল আড়াই টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরা’র নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম, অভিযুক্ত যুবক ও প্রত্যেক্ষদর্শীদের বক্তব্য শুনে মনির মিয়াকে (অভিযুক্ত) ৯মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-অংলকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল, খাজাঞ্চী ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াসউদ্দিন, বিশ্বনাথ থানার এসআই শফিকুল ইসলাম, দেবাশীষ শর্মা, এএসআই জামাল খান, এলাকার মুরব্বি কবির আহমদ কুব্বার, আব্দুল মছব্বির, ইউপি সদস্য সজ্জাদ মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য রাহিদুজ্জামান রিদু, ইছহাক একাডেমীর প্রতিষ্টাতা মিজানুর রহমান মোজাহিদ, প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস আলী প্রমুখ।