বুধবার ● ১৫ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ১০ দিন অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার মেলেনি সন্ধান
১০ দিন অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার মেলেনি সন্ধান
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা সদরের গোরস্থান রোডের বাসিন্দা মৃত আব্দুল লতিফমৃধার সন্তান কৃষি ব্যাংকের হিসারক্ষণ অফিসার মো. ওয়াদুদ মৃধা (৫৫) গত ৫ মে থেকে নিখোঁজ হলেও এই ১০ দিনেও নিখোঁজের কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ ও আত্মীয় স্বজনরা। এ কর্মকর্তার নিখোঁজের খবর নিয়ে জেলা জুরে রয়েছে না জল্পনা কল্পনা। খবরটি টকঅফদ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার তার স্ত্রী জেসমিন বেগম নিখোঁজের পরের দিন গত ৫ মে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
অপরদিকে কৃষি ব্যাংক সূত্রে জানাজায়, এ কর্মকর্তা গত ৬-০২-১৯ইং তারিখে ছুটির বিনিময় নগদ অর্থের ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ১শত ষাট টাকা উত্তলোন করেন। কিন্তু তার অবসর কালীন ভাতা ২০ লাখ এখনও পযন্ত মঞ্জুর হয়নি বা তোলা হয়নি।
সরেজমিনে জানাজায়, ব্যাংক কর্মকর্তা ওয়াদুদ ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, বাসন্ডা, কৈখালী ও গাভারাম চন্দ্রপুর শাখায় কর্মরত ছিলেন। এ ব্যাংক কর্মকর্তার চাকুরির মেয়াদ আরো ৪ থেকে ৫ বছর বেশি থাকলেও জোর করে অবসরে যেতে বাধ্য করেছে তার স্ত্রী জেসমিন বেগম। আরো জানাজায়,ঝালকাঠি ব্যাংকে চাকুরি করার সুবাদে পালবাড়ী খেয়াঘাট হয়ে রাজাপুরে যাতায়াত করতো ওয়াদুদ। সেই সুবাদে তার সাথে আমার পরিচয় হয় এরপরে বিয়ে হয়। কিন্তু প্রথম স্বামী কে ডিভোর্স দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি জেসমিন বেগম।
অপরদিকে এলাকা-বাসী জানিয়েছে, ওয়াদুদ মৃধা একজন খুবই ভদ্র লোক, কোন দিন কারো সাথে জোরে কথাও বলেননি। কিন্তু তার স্ত্রী‘র সাথে প্রতিদিন ঝগড়া হইতো। দামপত্ব্য জীবনে ছিলো কলহে ভরা। আহারে এতো ভালো মানুষ ছিলো এই লোক টাকাকে শেষ করে ফেললো। টাকা পয়সাই দংশের মূল। টাকা দিতে পারলে ভালো না দিলেই শুরু হয়ে যায় অত্যাচার আর নির্যাতন।
স্ত্রী জেসমিন বেগম জানান,আমার স্বামী শারীরিক অসুস্থ ছিল, তার ডাক্তার দেখানোর ওষুদের কাগজপত্র সাথে নিয়ে না বলে পালিয়েছে। টাকা পয়সার ব্যাপারে জানতে চাইলে সে বলে আমার স্বামী কোন টাকা তোলেনি। আমার কাছে বিভিন্ন দোকানে বাকীর টাকা পায় টাকা থাকলে বাকিতে মালামাল ক্রয় করবো কেন। তার প্রথম স্বামী ও ছেলে লিমনের বাবার ব্যাপারে জানতে চাইলে সে এ প্রতিবেদকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে আরো জানায়, আপনারা আমার বিগত দিনের কোন ব্যাপারে জানতে চাইলে আমি বলবো না বা জানতে চাইবেন না তাহলে ভালো হবে না।
এ-ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন- বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে এবং বিভিন্ন থানায় ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে কিন্তু সন্ধান পাওয়া যায়নি।