রবিবার ● ১৯ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্তর বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত শুরু
ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্তর বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত শুরু
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: অফিসে দুনীতি বিরোধী সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব নিজেই দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত করে দেখছেন। শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠানো এক অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ঝিনাইদহে যোগদানের পর থেকে তিনি অনুমতি ও বরাদ্দ ব্যতিরেখে অফিসের তিনতলার গেষ্ট হাউসটি বিধি বহির্ভুত ভাবে ব্যাবহার করছেন। সরকারী রাজস্ব ফাঁকি ও বিদ্যুৎ বিল ব্যাবহার করছেন। বেআইনী ভাবে ৪০% ঘরভাড়া তুলে নিচ্ছেন। ২০১৮ সালে জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ভিজিটে গিয়ে কেন্দ্র সচিবের কাছ থেকে জারপুর্বক সম্মানী গ্রহন করছেন। যার কোন অনুমোদন নেই। এছাড়া এমপিও প্রদানের ক্ষেত্রে অযাচিত ভাবে কাগজপত্র কাটাছেড়া ও রিজেক্ট করে শিক্ষকদের হয়রানী করছেন। এ সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ তদন্ত করেন। এরপর গত ২৪ এপ্রিল ৭০৭ নং স্মারকে নির্দেশক্রমে জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেবকে শুনানীর জন্য ঢাকায় তলব করেন সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম টুকু। সেখানে তিনি নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে শৈলকুপার এক দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে তাকে রক্ষার চেষ্টা করেন জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব। শিক্ষক ও ছাত্রীদের আন্দোলনে ওই প্রধান শিক্ষক এখন শৈলকুপা ছাড়া। কিনি নিজের অফিসে দুর্নীতি বিরোধী সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছেন। তাতে লেখা আছে “দুর্নীতি দারিদ্র ও অবিচার বাড়ায়, আসুন দুর্নীতি প্রতিরোধে সকলে সক্রিয় হই”। এই সাইনবোর্ডের আড়ালে তার কর্মকার্ন্ড প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব জানান, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে তার বিন্দু মাত্র ভিত্তি নেই। আমি জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ভিজিটে গিয়ে কোন টাকা গ্রহন করি না। তাছাড়া যে সব স্কুলের তালিকা দেওয়া হয়েছে সেখানে আমি কোনদিন যায়ও নি। আমাকে ঢাকায় ডেকেছিলো, আমি জবাব দিয়ে এসেছি। কি সিদ্ধান্ত হবে সেটা অধিদপ্তরের ব্যাপার।
সড়ক দুর্ঘটনায় জমজ ভাইয়ের মৃত্যু : গ্রামে শোকের ছায়া
ঝিনাইদহ :: পৃথিবীতে এসেছিলো তারা এক সাথে। আবার এক সাথেই তাদের চির প্রস্থান। তবে স্বাভাবিক নয়। মাত্র ১০ বছর বয়সে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্টার আর সান (১০) নামের দুই জমজ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দু’ভাইয়ের মরদেহ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আগমুন্দিয়া গ্রামে পৌছালে এক হৃদয়র বিদার দৃশ্যের অবতারণা হয়। তারা খুলনা রেলওয়ে পুলিশের এএসআই খুরশিদ আলমের ছেলে। পিতার চাকরীর সুবাদে সপরিবারে খুলনায় বসবাস করতো। নিহত দুই ভাইয়ের চাচা উজ্জল হোসেন শনিবার বিকালে জানান, শুক্রবার খুলনার আড়ংঘাটা উপজেলার বড়ইতলা নামক স্থানে মোটর সাইকেল ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘষে ঘটনাস্থলে মোটর চালক হৃদয় ও স্টার নিহত হয়। স্টারের অপর ভাই সানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু ঘটে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার দুপুরে দু’ভাইকে দাফনের জন্য আনা হয় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আগমুন্দিয়া গ্রামে। শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামটিতে। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। দুপুরে জানাজা শেষে তাদের দু’ভাইকে দাফন করা হয়।
ঝিনাইদহ পৌরসভার রোলার চালককে মারপিট করে রোলার ছিনতাই
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ পৌরসভার রোলার চালককে মারপিট করে রোলার ছিনতাই করার ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী আহত রোলার চালক ইমদাদুল হক আক্কেল অভিযোগ করেন দীর্ঘদিন ধরে তিনি ঝিনাইদহ পৌরসভার রোলার চালক হিসেবে কর্মরত আছেন। মেসার্স কাজী মাহবুর রহমান নামের ঝিনাইদহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রাস্তার কাজে রোলার নিয়ে তিনি প্রায় ১ সপ্তাহ যাবৎ নিয়ম মাফিক বার বাজার এলাকার বাদুরগাছা ইউনিয়নের বারবাজার হতে বসুন্দিয়া সড়কের মেরামতের কাজে রোলার করছিলেন। আকষ্মিকভাবে শুক্রবার বেলা ১০ টার দিকে কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন তার ছেলে রিংকু হোসেনসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী জোরপূর্বক তাকে দিয়ে রোলারটি চালিয়ে কাষ্টভাঙ্গা এলাকায় ঝনঝনিয়া গ্রামে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। সে সময় খবর পেয়ে তার চাচা আব্দুল কুদ্দুস ও ভাই মহিদুল ইসলাম স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ আলী বলেন, সরকারি কাজে বাধা প্রদান করার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। রোলার চালক আক্কেলকে মারপিটের ঘটনায় আমরা অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী আইনগত পদক্ষেপ নিবো।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু-গ্রপের সংঘষ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু-গ্রপের সংঘর্ষে, নারীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ২০টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে সদর উপজেলার পরানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান জানান, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা ফারুকুজ্জামান ফরিদ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুমের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ওই রাতে ইউনিয়নের পরানপুর, শীতারামপুর ও কান্দড়া গ্রামে দুই পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। সেসময় ও কমপক্ষে ২০ টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকায় অরিক্তিত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কালীগঞ্জে বিড়ি ভোক্তাদের মানববন্ধন
ঝিনাইদহ :: বিড়ির উপর বৈষম্যমুলক অতিরিক্তি শূল্ক প্রত্যাহার এবং ভারতের ন্যায় বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষনার দাবিতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিড়ি ভোক্তাদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বাড়ির সামনে আধাঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচী পালন করে। এ সময় বক্তব্য রাখেন বিড়ি ভোক্তা সমিতির বৃহত্তর ঝিনাইদহ অঞ্চলের সভাপতি লিমন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, সদস্য নাসির খান, ইউনুস আলী, হাফিজুর রহমান, আব্দুর রউফ প্রমুখ। মানবববন্ধন কর্মসূচী থেকে দাবি জানানো হয় বিড়ির উপর অর্পিত সকল কর প্রত্যাহার, ভারতের ন্যায় বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা, বিদেশী সিগারেট বাংলাদেশে বন্ধ করা, বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসের পায়তারা বন্ধ করা, বিডি যেন কম মুল্যে পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা বজাই রাখ, প্রতি বছর বাজেটে বিড়ি-সিগারেটের কর বৈষম্য দুর করা।