রবিবার ● ২৬ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানে আ’লীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে অর্ধদিবস হরতাল পালিত
বান্দরবানে আ’লীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে অর্ধদিবস হরতাল পালিত
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণের পর হত্যার প্রতিবাদে অর্ধদিবস হরতাল পালন করছে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ। আজ রবিবার ২৬ মে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছেন। বান্দরবান জেলা শহরসহ ৭টি উপজেলায় এই অর্ধদিবস হরতালের কর্মসূচি পালন করেন জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন। বান্দরবানের সকল সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহর ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো যানবাহনও। হাটবাজারগুলোতে খোলেনি কোনো ধরনের দোকানপাট। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলার গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের বালাঘাটা,কালাঘাটা,হাফেজঘোনা,বাস ষ্টেশন এলাকাকা শতশত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিরা বিভিন্ন পয়েন্টে জড়োহয়ে পিকেটিং ও সড়ক ব্লক করে রাখতে দেখা গেছে।
জেলা আ.লীগ সূত্র জানান, গতকাল শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের জর্ডান পাড়ার নিকটে শিলক খালের আগাঝিড়ি থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চথোয়াই মং মারমার লাশ উদ্ধারের পর আওয়ামী লীগের নেতাকে অপহরনের পর হত্যার প্রতিবাদে রবিবার অর্ধদিবস হরতালের কর্মসূচি দেন জেলা আওয়ামী লীগ।
এদিকে, পাহাড়ে আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন গুলির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অপহরণ ও হত্যার প্রদিবাদে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ বান্দরবান জেলার নেতা কর্মিরা। রবিবার সকাল ১০ টায় বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রীতির বান্দরবানে অপহরণ হত্যাসহ অপরাধ সংগঠিতকারি আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন নামে সন্ত্রসী কর্মকান্ডে লিপ্ত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য প্রধান মন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
তারা আরও বলেন, বিশেষ করে ২নং কুহালং ইউনিয়নের রাবার বাগান এলাকায় সেনাবাহিনীর স্থায়ী কেম্প স্থাপন অতিজরুরী এবং বান্দরবানের যেসব দূর্গম এলাকায় সস্ত্রাসীরা চাঁদাবাজিসহ অপহরণ হত্যাসহ নানা অপরাধ করছে সে এলাকায় সেনাবাহিনীর স্থায়ী কেম্প স্থাপনের দাবি জানান।
অন্যদিকে, বান্দরবানে অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা চথোয়াই মং মারমার হত্যার ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং মারমা ও জেএসএস এর জেলা সাধারণ সম্পাদক ক্যাবা মং মার্মাসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর জিঙ্গাসাবাদ করছে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৫ দিনের মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ও কুহালং এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে ৪জন নিহত ও একজন অপহৃত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগের ও দুজন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)এর সমর্থক। রাজবিলা কুহালংসহ বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ, হত্যাকান্ডের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে বিভিন্ন এলাকায় রাতে বাড়ির বাহিরে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে এলাকার যুবকদের।