সোমবার ● ২৭ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » শিরোনাম » নবীগঞ্জে ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে জমি দখলের অভিযোগ
নবীগঞ্জে ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে জমি দখলের অভিযোগ
নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জের পল্লীতে ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে ব্যক্তি নামে রেকর্ডিয় ভূমি গো-চারণ ভূমি’র দোহাই দিয়ে জবর দখলের পায়তারা হাসিল করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিবরণে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের জেএল নং ১৭, দাগ নং এস.এ ৯২ হাল ৯৩, এবং আর এস দাগ নং ১৬২, ১১৫, ১০১ এর আওতায় মোট ৩ শ ৮৭ শতাংশ ভূমি ওই ইউনিয়নের বানিউন গ্রামের ফিরোজ মিয়া, সুলেমান মিয়া, মৌলানা হাবিবুর রহমান দলিলমুলে মালিক এবং তাদের নামে চুড়ান্ত পর্চা হয়েছে। উল্লেখিত ভূমির কিছু অংশে দ্বিতল বিল্ডিং বসতঘর এবং কিছু অংশে গাছগাছালি লাগানো রয়েছে। কিন্তু ওই গ্রামের সাদিক উল্লাহর পুত্র গোলাম হোসেন, রেজা উল্লাহর পুত্র ইলাক উদ্দিন, বদরুল আলম, ইমান উদ্দিনের পুত্র রাজ উদ্দিন, আব্দুল বারিকের পুত্র তইর উদ্দিন, দিলাওর আলীর পুত্র শাহ কচির আলী গংরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে গো-চারণ ভূমির দোহাই দিয়ে জোরপূর্বক দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভূমি দখলে তারা সব ধরনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের ভূমি আত্মসাত ও হয়রানী করার জন্য হবিগঞ্জে সহকারী জজ আদালত নবীগঞ্জ কোর্টে স্বত্ব মামলা নং ৮৬/১৮ দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর ওই গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যেকোন সময় এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকার করছেন এলাকার সচেতন মহল। বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শনের ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উল্লেখিত ভূমির কিছু অংশে দ্বিতল ভবন এবং কিছু অংশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো রয়েছে। এছাড়া গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে গবাদি পশু পালন ও গো-চারনের জন্য বড় রকমের একটা চারণ ভূমি রয়েছে। এতে ধারনা করা হচ্ছে ওই এলাকার একটি কু-চক্রি মহল ব্যক্তিগত বিরোধকে পুজি করে ভূমি দখলের অপচেষ্টা হাসিল করতে হাতিয়ার হিসাবে বানিউন গ্রামের ফিরোজ মিয়া, সুলেমান মিয়া, মৌলানা হাবিবুর রহমান গংদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ কোর্টে একটি হয়রানীমুলক মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী লোকজন আইনী সহযোগীতা কামনা করেন।
নবীগঞ্জে সাংবাদিক মুজিবুর রহমানের পিতা আর নেই
নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী জাতীয় পার্টির নেতা নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি ও এনটিভি ইউরোপের মায়ার সিলেট প্রোগ্রামের প্রেজেন্টার এম এ মুজিবুর রহমানের পিতা আলহাজ্ব সুন্দর আলীর জানাযার নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় দাউদপুর ঈদগাহ ময়দানে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকেঁ পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
জানাযার নামাজে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু,নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী,হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য এডভোকেট সুলতান মাহমুদ,নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফখরুল আহসান চৌধুরী, এম এ আহমদ আজাদ,পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক সফিউল আলম হেলাল,উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক গোল আহমেদ কাজল,রাব্বি আহমেদ মাক্কু,রোটারিয়ান শাহ মুস্তাকিম আলী প্রিন্স,ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিত,ফখরুল ইসলাম জুয়েল,পৌর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ,সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিবিয়ানার পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, যুগান্তর প্রতিনিধি মোঃ সরওয়ার শিকদার,আশাহিদ আলী আশা,আকিকুর রহমান সেলিম,সলিল বরণ দাশ,আলমগীর মিয়া,এটিএম জাকিরুল ইসলাম,আলী হাছান লিটন,এনটিভি প্রতিনিধি মহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু,ছনি চৌধুরী, সুমন আলী খান,নাবিদ মিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক,সাংস্কৃতিক,সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন। সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমানের পিতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ মিলাদ,নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তিনি গতকাল রবিবার সকালে উনার নিজ বাস ভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ৪ পুত্র ৪ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।