সোমবার ● ৩ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে এবারও হবে ঈদের তিনটি জামাত
বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে এবারও হবে ঈদের তিনটি জামাত
বাগেরহাট প্রতিনিধি :: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বাগেরহাটে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট (বিশ্ব ঐতিহ্য) ষাটগম্বুজ মসজিদে। হযরত খানজাহানের অমর সৃষ্টি ষাটগম্বুজ মসজিদে এবারও ঈদের ৩টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদকে ঘিরে প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ষাটগম্বুজ মসজিদে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করবেন। দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতে স্থানীয় মুসল্লি ছাড়াও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা নামাজ আদায় করে আসছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে,কাড়াপাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান সকাল সাড়ে ৭টা, বাগেরহাট শহরের আলিয়া মাদ্রাসা ঈদগাহ, পুরাতন কোর্ট জামে মসজিদ, হরিণখানা জামে মসজিদ, খারদ্বার ঈদগাহ ময়দান, সোনাতলা জামে মসজিদ ও নাগের বাজার হাজী আরিফ জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে, সরুই হাজী আরিফ জামে মসজিদ, খানজাহানীয়া বায়তুল ফালা জামে মসজিদ ও মিঠা পুকুরপাড় জামে মসজিদ ৭টা ৪০ মিনিটে, নতুন কোর্ট জামে মসজিদ, পিসি কলেজ জামে মসজিদ, সড়ক ও জনপথ জামে মসজিদ, পুলিশ লাইন জামে মসজিদ, রেলওয়ে জামে মসজিদ, পিটিআই জামে মসজিদ, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল জামে মসজিদ, সরুই মাদ্রাসা ঈদগাহ ময়দান, হাড়ীখালী জামে মসজিদ, পৌরপার্ক জামে মসজিদ, দড়াটানা জামে মসজিদ ও খানজাহান পল্লী জামে মসজিদে ৭টা ৪৫ মিনিটে, হযরত খানজাহান (রহ.) মাজার জামে মসজিদ সকাল ৮টায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার বিভিন্ন জামে মসজিদ ও ঈদগাহে বিভিন্ন সময়ে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
ষাটগম্বুজ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ষাটগম্বুজ মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর প্রধান ও সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এই মসজিদে আরও দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এখানে জেলার বাইরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেবেন। সে উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর জামাত শান্তিপূর্ণভাবে করতে গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বাগেরহাটে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের জামাত ও আনন্দ উপভোগের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণসহ পটকা, আতশবাজি ফাটানো বন্ধ, রেকর্ডার ও মাইকে গান না বাজানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোমল পানীয় বিক্রির নামে রাস্তার পাশে ও মোড়ে অস্থায়ী স্টল তৈরি থেকে বিরত থাকতে সবার অনুরোধ করা হচ্ছে।