মঙ্গলবার ● ৪ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঈদ উপলক্ষে ঝিনাইদহের বিনোদন পার্ক গুলোতে চলেছে নানা প্রস্তুতি
ঈদ উপলক্ষে ঝিনাইদহের বিনোদন পার্ক গুলোতে চলেছে নানা প্রস্তুতি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সপ্তাহব্যাপী দর্শক টানতে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে ঝিনাইদহের বিনোদন পার্কগুলো। চলছে ধোয়া, মোছা, পরিচর্যা আর নতুন নতুন রাইডার স্থাপনের কাজ। উদ্দেশ্যে, গত কয়েক মাসের দর্শক খরায় লোকসানের হিসাব চোকানোর। সকাল থেকে রাত অবধি নানা পরিচর্যায় ব্যস্ত বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মালিক-শ্রমিক। ঝিনাইদহ শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত জোহান ড্রীম ভ্যালি পার্ক এন্ড পিকনিক স্পট। গত কয়েকমাসে দর্শনার্থী না থাকায় আয়ের থেকে ব্যায় হয়েছে বেশি। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগত দর্শনার্থীদের বিনোদন দিতে তারা ব্যস্ত পার্কটি সাজাতে। পার্কের ম্যানেজার হাসানুজ্জামান বাবু বলেন, এবারের ঈদে দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১২৫ বিঘা জমির উপর অবস্থিত এ পার্কে ২৫ টি ভিআইপি পিকনিত স্পট রয়েছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে জেট কোস্টার, কেইভ ট্রেন, পাইরেট শীপ, প্যাডেল বোট, ওয়াটার রিক্সা, ফানি এ্যাডভেঞ্চার, নাগর দোলা, সুইং চেয়ার, কিডস জোনসহ নানা রাইডস। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়। শহরের নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত প্রান্তিক সাংস্কৃতিক পল্লী এন্ড শিশু পার্কের স্বত্তাধীকারী নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস বলেন, কয়েক মাস আগে শিশু পার্কটি উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে মুলত পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পার্কটি সাজানো হয়েছে। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। দর্শনার্থী টানতে সংযোজন করা হয়েছে নতুন নতুন রাইডার। শহরের তামান্না পার্কের ম্যানেজার রুহুল আমিন বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। পুর্বে ৫ টি টিকিট ১৫০ টাকা ছিল। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তার মুল্যে ধরা হয়েছে ১’শ টাকা। জোহান ড্রীম ভ্যালি পার্ক এন্ড পিকনিক স্পটের স্বত্তাধীকারী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মুলত পার্কের ডাউন সিজন। এসময় দর্শনাথী থাকে না। যে কারণে ব্যবসায় লোকসান গুনতে হয়। ঈদের দিন থেকে শুরু করে ৫ দিন পার্কে ভীড় থাকবে। এই ক’দিনে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার দর্শনার্থী আসবে বলে আশা করছি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার জনাব মো: হাসানুজ্জামান বলেন, শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। যেকোন প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ সদা তৎপর থাকবে।
কোটা সংষ্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদের উপর হামলা
ঝিনাইদহ :: কোটা সংষ্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খাঁনকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে জামার কলার ধরে টেনে হেঁচড়ে লাঞ্চিত করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরে জেএফসি রেষ্টুরেন্টে ইফতার করতে বসলে কিছু যুবক তাকে কলার ধরে থানার নিয়ে যায়। পুলিশ বলছে কে বা কারা রাশেদকে থানায় দিয়ে গেছে। তাকে রাশেদকে আটক করা হয়নি। নিজ বাড়িতে ঈদ করতে আসা রাশেদ নিরাপত্তার অভাববোধ করায় তিনি আবার ঢাকায় ফিরে গেছেন। রাশেদ খাঁন ঝিনাইদহ পৌর এলাকার মুরারিদহ গ্রামের নবাই বিশ্বাসের একমাত্র পুত্র। ঝিনাইদহ সদর থানায় থানায় অবস্থানকালে রাশেদ খাঁন মোবাইলে জানান, তিনি ঈদ উৎযাপন করতে বাড়িতে এসেছেন। সোমবার বিকালে স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে নিয়ে শহরে কেনাকাটা করতে আসেন। ইফতারের সময় হলে তারা জেএফসি নামের একটি রেষ্টুরেন্টে ইফতারের জন্য বসেন। এ সময় বেশ কয়েকজন যুবক এসে তার জামার কলার চেপে ধরেন। এরপর তারা সার্টের কলার চেপে ধরে ধাক্কাতে ধাক্কাতে থানার দিকে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তারা থানার মধ্যে ঢুকে পড়েন। এরই মধ্যে থানায় ছুটে আসেন তার বাবা নবাই বিশ্বাসসহ পরিবারের অন্যরা। প্রায় ১ ঘন্টার এই অবস্থা চলার পর রাশেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের দুইটি মাইক্রোবাসে করে থানার বাইরে বের করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে কয়েকজন পুলিশও ছিল। রাশেদ খাঁন অভিযোগ করেন, তার সঙ্গে যারা খারাপ ব্যবহার করেছে তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তিনি একজন আওয়ামীলীগ নেতারও নাম বলেন। বাইরে বের হলে তারা হামলা করতে পারে এই আশংকায় তিনি পুলিশের সহযোগিতায় বের হয়ে ঢাকার পথ ধরেন। তিনি নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে না পারার বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ বলেন, আমরা রাশেদকে চিনিও না। তাকে কখনো দেখিনি। তাই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাকে হয়রানী বা লাঞ্চিত করে থানায় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
ঝিনাইদহ জেলায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রকেট এখন মাটিতে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের (ডিবিবিএল) এটিএম বুথের সেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এটিএম বুথে কোন কাজ না করায় শত শত গ্রাহক বিপাকে পড়েছেন। এদিকে শৈলকুপা শহরের ফাস্ট ট্রাকের অটোমেটেড টিলার মেসিন (এটিএম) গুলো চারদিন একনাগাড়ে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় হাজারো গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন। গ্রাহকরা ওই বুথে টাকা তুলতে না পেরে ঝিনাইদহ জেলা শহর বা দূরবর্তী অন্য কোথাও ছুটলেও সমস্যায় পড়েছেন স্বল্প জমাদানকারি গ্রাহকরা। তারা নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। গ্রাহকরা জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে তারা ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা শহরে অবস্থিত ব্যাংকের ফাস্ট ট্রাকে গিয়ে বুথের অটোমেটেড টিলার মেসিনগুলো নষ্ট দেখতে পান। কিছুক্ষণ পর তা “আউট অব সার্ভিস” লেখা প্রদর্শণ করতে থাকে। অফিসের লোকেরা বুথের বাইরে গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য দু:খিত লেখাটি ঝুলিয়ে দেন। সেই থেকে তা অনবরত ঝুলছেই। বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানালেন, ঈদ উপলক্ষে তারা কমবেশি টাকা জমা করেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখা বা বুথে। তাছাড়া, ভিসা কার্ড দিয়েও ওই বুথ থেকে সহজে টাকা তোলার সুবিধা থাকায় অন্য কয়েকটি ব্যাংকের হাজারো গ্রাহক ব্যাংকটির ওপর নির্ভর করেন। হঠাৎ করে দিনের পর দিন এভাবে বুথটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা উপায়ান্তর দেখেছেন না। তারা জানান, অধিক পরিমাণে টাকা জমদানকারিরা জেলা শহর বা জেলার বাইরে গিয়ে টাকা লেনদেন করলেও কম অংকের টাকা জমাদানকারিরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। এব্যাপারে ডিবিবিএল শৈলকুপা অটোমেটেড টিলার মেসিন বুথের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ বলে পরিচিত তিলক রায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মেসিনগুলো খারাপ নেটওয়ার্কের খপ্পরে পড়ে যাবার কারণে তারা সেবা দিতে পারছেন না। এখন তিনটি মেসিনের স্ক্রিনে “আউট অব সার্ভিস” লেখা প্রদর্শিত হচ্ছে। আগামী তিন-চারদিন বা ঈদের ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলি চালু হবার সম্ভবনা নেই বলে জানালেন তিলক রায়।
সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ
ঝিনাইদহ :: ‘সুবিধা বঞ্চিতদের মুখে নির্মল হাসি, চলো ঈদ আনন্দ করি ভাগাভাগি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ করেছে কথন সাংস্কৃতিক সংসদ (কসাস)। গত রবিবার দুপুরে সরকারি কেসি কলেজে কসাসের কার্যালয়ে এ ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়। সংগঠনটির সভাপতি উম্মে সায়মা জয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি কেসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বি এ রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু, কলেজ উপাধ্যক্ষ অশোক কুমার মৌলিক, নিশচা জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. মনোয়ারুল হক লাল, শিক্ষক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আব্দুর রশীদ, কসাসের প্রধান উপদেষ্টা মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কসাসের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ আদিত্য বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে ৫৫ জন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে শাড়ী, লুঙ্গি ও থ্রী-পিচ বিতরণ করা হয়।