সোমবার ● ১৭ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » খাগড়াছড়িতে শিক্ষকের নির্যাতনে স্কুল ছাত্র মৃত্যুর অভিযোগ
খাগড়াছড়িতে শিক্ষকের নির্যাতনে স্কুল ছাত্র মৃত্যুর অভিযোগ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের নির্যাতনে মো. হোসেন আলী (১২) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার সিলেটি পাড়ার মো. শফি আলমের ছেলে ও গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
সরেজমিনে এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিন উদ্দিন খন্দকার এর কাছে গত সমাপনী পরীক্ষার আগে প্রাইভেট টিউশন পড়তে না যাওয়ার অপরাধে তিনি মো. হোসেন আলীসহ আরো কয়েক জন ছাত্র/ছাত্রীকে কানে ধরে উঠ বস ও নিল ডাউন করে শাস্তি দেন। এদের মধ্যে মো. হোসেন আলীকে ৩শত এর অধিক বার কানে ধরে উঠ বস ও দীর্ঘক্ষণ হাটুঁর নিচ দিয়ে কান ধরিয়ে রাখলে সে শাররীকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর থেকে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের মাদ্রাজে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১জুন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় ভারতের রাজিব গান্ধী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. মহিন উদ্দিন খন্দকার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুল ছাত্র হোসেন বাবুকে তেমন কোন শাস্তি দেই নাই আমি। তাকে কয়েক বার কার ধরে উঠ বস করিয়েছি। এর পরে ও এলাকার গন্যমান্যদের মধ্যস্থতায় আমার ছাত্রের চিকিৎসার জন্য আমি ১লক্ষ টাকা সহযোগিতা করেছি।
গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ১নং ওয়ার্র্র্র্ড সদস্য মো. আব্দুল হান্নান বলেন, এ ঘটনাটি আমি অবগত হয়েছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরো গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে ওই ছাত্রের চিকিৎসার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার দীপিকা খিশা বলেন, প্রধান শিক্ষক মো. মহিন উদ্দিন খন্দকার এর বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রকে শাররীকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েছি। শুনেছি স্কুল ছাত্রটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। কয়েক দিন এর মধ্যে আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুর আলম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি।