মঙ্গলবার ● ১৮ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » আট দফা দাবিতে ময়মনসিংহে বিড়ি শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
আট দফা দাবিতে ময়মনসিংহে বিড়ি শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর অধিক হারে করারোপ প্রত্যাহারসহ ‘সম্পূরক শুল্ক’ কমিয়ে বিড়ির মূল্য ১৪ টাকা থেকে ১০ টাকা নির্ধারণ এবং বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষনাসহ আট দফা দাবিতে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন ময়মনসিংহ জেলা শাখা ও বৃহত্তর বিড়ি ভোক্তা পক্ষ ময়মনসিংহ অঞ্চলের শ্রমিকরা।
আজ মঙ্গলবার ১৮ জুন সকালে বিড়ি শ্রমিকরা বিভিন্ন ব্যানার নিয়ে মিছিল সহকারে বাইপাস সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর দীঘারকান্দা বাইপাস মোড়ে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। ওই কর্মসূচী চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বাইপাস মোড়ের চারদিকে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
কর্মসূচী চলাকালে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক মাহাবুব ও কার্যকরী সদস্য আইয়ুব আলীসহ বিভিন্ন নেৃতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর অযৌক্তিকভাবে কম দামি সিগারেটের চেয়ে চারগুণ বেশি অর্থ্যাৎ ২৪.২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। অপরদিকে কম দামি সিগারেটে ৫.৭১ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিড়ির সম্পুরক শুল্ক ৫% বৃদ্ধি করা হলেও বহুজাতিক কোম্পানীর সিগারেটের সম্পুরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,‘বিড়ির দাম ১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা নির্ধারণ, “সম্পূরক শুল্ক” কমিয়ে ভারতের ন্যায় প্রতি হাজারে ১৪ টাকা ধার্য্য করা, সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি, বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বাতিল, বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বিড়ি শিল্পকে অবিলম্বে কুটিরশিল্প ঘোষণা, নি¤œ ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের সমান মূল্য নির্ধারণ, উচ্চস্তরর সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক অধিক হারে বৃদ্ধি এবং বিড়ি শ্রমিকদের নূন্যতম মুজুরী প্রতি হাজারে ১শ’ টাকা নির্ধারণসহ এই আট দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন বক্তারা।’
গফরগাঁওয়ে অজ্ঞাত লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় সনাক্ত করলো পিবিআই
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ::ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলাধীন পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের জয়ধরখালী গ্রামে গফরগাঁও-গয়েশপুর সড়কের পাশের ঝোপে হাত পা বাধা গলায় গামছা পেছানো অবস্থায় উদ্ধার করা অজ্ঞাত লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় সনাক্ত করলো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সনাক্ত করা পরিচয় অনুযায়ী নিহত যুবক পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলার ধামরই গ্রামের আব্দুল করিম পাহলোয়ানের ছেলে ও রেন্ট-এ-কার চালক নূরুল হক (৩৫)।
গতকাল সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গফরগাঁও উপজেলাধীন পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের জয়ধরখালী গ্রামের জনৈক ময়না ফকিরের বাড়ি সংলগ্ন গফরগাঁও-গয়েশপুর সড়কের পাশের ঝোপে গলায় সাদা মোটা প্লাস্টিকের দড়ি বাধা গামছা পেচানো ও সাদা কাপড়ে মোড়ানো হাত পা বাধা অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজন পাগলা থানায় খবর দিলে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ওই স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) মর্গে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ পিবিআই এর একটি দল উদ্ধার করা লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে অনুসন্ধান করে নিহত যুবকের উক্ত নাম-পরিচয় বের করেন। পরে পাগলা থানা পুলিশ ওই ঠিকানায় যোগাযোগ করলে নিহতের স্ত্রী কোহিনূর আক্তার এসে লাশ শনাক্ত করেন এবং অজ্ঞাত আসামি দিয়ে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ নিহতের স্ত্রী কোহিনূর আক্তারের বরাত দিয়ে আরো জানায়, নিহত নূরুল হক রেন্ট-এ-কার চালাতেন। রোববার কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
উল্লেখ্য,সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গফরগাঁও উপজেলাধীন পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের জয়ধরখালী গ্রামের জনৈক ময়না ফকিরের বাড়ি সংলগ্ন গফরগাঁও-গয়েশপুর সড়কের পাশের ঝোপে গলায় সাদা মোটা প্লাস্টিকের দড়ি বাধা গামছা পেচানো ও সাদা কাপড়ে মোড়ানো হাত পা বাধা অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন। পরে স্থানীয় লোকজন পাগলা থানায় খবর দিলে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ওই স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) মর্গে পাঠায়।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান বলেন,ময়মনসিংহ পিবিআই এর একটি দল লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে অনুসন্ধান করে পরিচয় সনাক্ত করেন। পরে নিহতের স্ত্রী এসে লাশ সনাক্ত করেছেন এবং অজ্ঞাত আসামি দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে আরো জানান তিনি।