বুধবার ● ১৯ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » বিশ্বনাথে ১৬টি সড়কে বেহাল দশা : ঝুঁকিপূর্ণ যান চলাচল
বিশ্বনাথে ১৬টি সড়কে বেহাল দশা : ঝুঁকিপূর্ণ যান চলাচল
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ -জগন্নাথপুর জনবহুল সড়ক’সহ উপজেলার ১৬টি সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। অনেক সড়কে পুকুরের মতো গর্ত হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াত করলে মনে হয় যেন জনপ্রতিনিধি শুন্য একটি উপজেলা। দীর্ঘদিন ধরে এসকল বেহাল সড়ক দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল করলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছেনা। এতে জনসাধারণ চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছেন। সড়কগুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় সময়মতো শিক্ষার্থী ও চাকুরিজীবি’সহ লোকজন তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে গিয়ে পৌছাতে পারেননি। জরুরী রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে যেতে হলে বিপাকে পড়তে হয় অনেকেই। তার পরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেহাল সড়কগুলো দিয়ে যানবাহনে করে যাতায়াত করতে হচ্ছেন ভুক্তভোগিরা। ওই ১৬টি সড়কের অনেকটির সাথে সরকারি বে-সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্টান ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রতিষ্টানের সংযোগ থাকতে দেখাগেছে। কিন্তু তার পরও কর্তৃপক্ষ যেন নির্বাক। সড়কগুলো এলজিইডির হলেও নিরুপায় হয়ে বিশ্বনাথ সদর ও দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তাদের বরাদ্দ থেকে অনেক স্থানে ইটসলিং ও রাবিট ফেলে জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন।
তবে এসকল ভাঙ্গা সড়কগুলো সংস্কারের জন্য নতুন এমপি ও গণফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খানের কাছে জনসাধারণ অনেক বড় প্রত্যাশা করছেন। অতীত যাই হোক তাদের মতে বর্তমান এমপি এসকল সড়কগুলো সংস্কার করবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন অনেকেই। শিগগিরই সড়কগুলো সংস্কারের দাবিতে আগামী রোববার বাসিয়া সেতুর উপর সচেতন বিশ্বনাথ সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্বনাথ বাইপাস ও বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর জনবহুল সড়কের মিয়ার বাজার সীনা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে পুকুরের মতো গর্ত হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গতবছর বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের চান্দশির কাপন নামক স্থানটি যান চলাচলের অনুপযোগী হলে সেখানে রাজস্ব প্রকল্প থেকে ইটসলিংয়ের কাজ করান বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নরে চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক। এবং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলীও তার ব্যাক্তিগত অর্থায়নে সড়কের বিভিন্ন গর্তে ইটের রাবিট ফেলে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধা করে দিচ্ছেন।
এছাড়াও আরও ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- কালিগঞ্জ-মনাইকান্দি সড়ক, কালিগঞ্জ-দাউদপুর-সমসপুর স্কুল সড়ক, কালিগঞ্জ-বরইগাঁও-সদুরগাঁও পূর্বের সড়ক, বিশ্বনাথ-হাবড়া-ছালিয়া সড়ক, বিশ্বনাথ জানাইয়া-খাজাঞ্চি সড়ক, বিশ্বনাথ-কুরুয়াবাজার-সুরুয়ালা সড়ক, রামপাশা-রাজাগঞ্জবাজার সড়ক, গুলচন্দবাজার-ভুরকি-মুঞ্চিরবাজার-বাংলাবাজার-সিঙ্গেরকাছ সংযোগ সড়ক, রামপাশা-বৈরাগী-সিঙ্গেরকাছ সড়ক, দশপাইকা-হাবড়া-বাগিচা সড়ক, দৌলতপুর পূর্বের সড়ক, দশঘর-মাছুখালি সড়ক, বাগিচা-কজাকাবাদ ইউপি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়ক ও পীরেরবাজার কালভার্ড থেকে ধরারাই-গাজির মোকাম সড়ক।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কগুলো ভেঙে যাচ্ছে। তার পরও শিগগিরই সড়কগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।