বুধবার ● ১৯ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » পলাশবাড়ীতে সামাজিক বনায়ন বিভাগের গাছ টেন্ডার ছাড়াই কর্তন
পলাশবাড়ীতে সামাজিক বনায়ন বিভাগের গাছ টেন্ডার ছাড়াই কর্তন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে সামাজিক বনায়ন বিভাগের আওতায় টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে ইউপি রাস্তার দু’ধারের গাছ কর্তন করে বিক্রি করছে গাছ খেকো সিন্ডিকেট।
ওইসব এলাকার স্থানীয় লোকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউপি’র কাশিয়াবাড়ী-চতরা রাস্তা, শ্রীমুখপাড়া কাশিয়াবাড়ী ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তা, প্রজাপাড়া থেকে শিমুলতলা বাজার রাস্তা, শিমুলতলা বাজার থেকে মির্জাপুর রাস্তা, মির্জাপুর ঈদগাহ মাঠ থেকে প্রজাপাড়া রাস্তাসহ বিভিন্ন রাস্তার দু’ধারে সামাজিক বনায়নের আওতায় রোপনকৃত ইউক্লিপটার্স গাছগুলো কর্তন করে বিক্রি করা হচ্ছে। ওইসব এলাকার এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি সমিতির নাম করে এসব রাস্তার গাছ কর্তনের মহোৎসব চালাচ্ছে। সরকারী নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে একটি সিন্ডিকেট সকলকে ম্যানেজ করে এসব গাছ কর্তন করছেন। এতে করে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে-অন্যদিকে সরকার এ খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
শ্রীমুখপাড়ার রাস্তার গাছ কর্তনের বিষয়ে সমিতির সভাপতি সানাউল ইসলাম জানান, বিভিন্ন মহল দিনে বা রাতের আধারে প্রভাব খাঁটিয়ে এসব গাছ কর্তন করছে। এ বিষয়ে অপর সমিতির সদস্য আব্দুস সালাম ভুট্টু’র মন্তব্য নিতে গেলে তিনি বলেন, আমরা গাছ কর্তন করি আপনারা আমাদের ধরেন। আর এ ব্যাপারে আপনারা নিউজ করবেন না মামলা করবেন করেন। তবে এসব গাছ কর্তনের পিছনে বাপেরও বাপ জড়িত আছে।
কিশোরগাড়ী ইউপি’র বিভিন্ন রাস্তার দু’ধারে গাছ কর্তনের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু জানান, স্থানীয় লোকজনসহ সমিতির সদস্যরা চুরি করে এসব গাছ কর্তন করছে। তবে গাছ কর্তন রোধ করা যাচ্ছে না। ফলে সরকার ও ইউনিয়ন পরিষদ বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবী সরকারী নিয়মনীতি ছাড়া বিনা টেন্ডারে অবৈধ ভাবে এসব গাছ কর্তন করে বিক্রির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে গাছ কর্তন বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল
গাইবান্ধা :: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মঙ্গলবার (১৮ জুন) ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল আলম লেবু (নৌকা) ২৭ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ’লীগের বিদ্রোহী) খয়বর হোসেন সরকার মওলা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৬৩টি ভোট। ভোট প্রদানের গড় হার ছিল শতকরা ১৯ দশমিক ৪৫ ভাগ। সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী রাত সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ১১১টি কেন্দ্রের এ বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. সফিউল ইসলাম (চশমা) ২৯ হাজার ৯০৫টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মো. আসাদুজ্জামান মনি (লাঙল) পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৪৬ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. উম্মে সালমা (হাঁস) ২৮ হাজার ৪৮০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন আল্পনা রানী গোস্বামী (ফুটবল) পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৮০ ভোট।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে বিভিন্ন বয়সি নারী-পুরুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কোথাও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটার, প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী।