শনিবার ● ২৯ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে মাকে মারধর ছেলে আটক
বিশ্বনাথে মাকে মারধর ছেলে আটক
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে শতবর্ষী অসুস্থ মাকে মারধর করে কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের বেতসান্দি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আবদুল আজিজ শফিক (৬৫) নামে ওই ছেলেকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তিনি বেতসান্দি গ্রামের মৃত হাজী তোতা মিয়া জাহার উল্লাহর ছেলে। গুরুতর আহত শতবর্ষী মাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আবদুল আজিজ শফিকের ছোটভাই আবদুল মুকিত তুরু তার মা আপ্তারুন্নেছার দেখভাল করেন। নানা কারণে তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বৃহষ্পতিবার বিকেলে তুরু বাড়ির বাইরে থাকাবস্থায় আবদুল আজিজ শফিক তার শতবর্ষী অসুস্থ মায়ের উপর চড়াও হন। তাকে মারধর করে চেয়ার থেকে আছাড় দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এ সময় কোমরে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন আপ্তারুন্নেছা। তাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আবদুল আজিজ শফিককে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ছোটভাই আবদুল মুকিত তুরু।
থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, মায়ের উপর হাত তোলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। এর সাথে জড়িতদেরকে পুলিশ শূন্য সহনশীলতা দেখাবে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
বিশ্বনাথে এইচএসসি ছাত্রীর আত্মহত্যা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে পাপিয়া বেগম পপি (১৮) নামে এক এইচএসসি ফলপ্রার্থী ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দীঘলী (খোজারপাড়া) গ্রামের সৌদি আবর প্রবাসী জমির আলীর বাসায় এঘটনা ঘটে। পপি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মন্ডলীভোগ গ্রামের আলী রহমানের মেয়ে। দীর্ঘদিন ধরে তারা জমিরের বাসায় ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করে আসছেন। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ছাতক সরকারী কলেজ থেকে এইএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফলপ্রার্থী পপি সংসারের অভাব-অনটনের কারণে কিছুটা মানসিক বিপর্যস্থ ছিল। বেশকয়েকদিন ধরে অসুস্থও ছিল। শুক্রবার রাতে তার বড়বোন পানি পানের উদ্দেশ্যে রান্নাঘরে যেতে চাইলে সেটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পেয়ে তার সন্দেহ জাগে। পরে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙ্গে পপিকে রান্নাঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে রাস্তার ঝোপ থেকে শর্টগান উদ্ধার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলির ঘটনার চার দিনের ভেতরে রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে আরেকটি শর্টগান উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের দূর্লবপুর গ্রামের ফ্রান্স প্রবাসী আব্দুস ছোবহান এর বাড়ির পেছনে মঙ্গলগিরি সড়কের পাশের ঝোপ থেকে ওই শর্টগানটি উদ্ধার করা হয়। গত ২৫জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একই ইউনিয়নরে যেকোনো প্রবাসীর বাড়ি টার্গেট করে ডাকাতির জন্য ১০/১২জনের একদল ডাকাত প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাতরা গুলি ছোড়তে শুরু করে। এসময় গুলিবিদ্ধ’সহ পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়লে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তবে আক্কুল আলী আকুল (২৮) নামের এক ডাকাতকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে পুলিশ। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রামের ইদ্রছ আলীর পুত্র ও চিহ্নিত ডাকাত ফটিক মিয়ার ভাই। তাকে গ্রেফতারের সময় আগ্নেয়াস্ত্র (পাইপগান), দুটি গুলি, ডাকাতদের ব্যবহৃত চারটি শাবল, দুটি ব্যাগ ও একটি ভেল্ট ব্যাগও উদ্ধার করা হয়। আর ওই ঘটনার চারদিনের ভেতরে পার্শবর্তি দূর্লবপুর গ্রামের মঙ্গলগিরি সড়কের পাশের ঝোপ থেকে ওই শর্টগানটি উদ্ধার করে পুলিশ। এব্যাপারে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, গোলাগুলির দিন ডাকাতরা এই আগ্নেয়াস্ত্রটি ফেলে যায়। গ্রেফতারকৃত ডাকাত আক্কুল আলী আকুল এর স্বীকারোক্তীতে ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ছিলেন, ওসমানীনগরের সার্কেল সাইফুল ইসলাম, ওসি তদন্ত দোলাল আকন্দ, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই দেবাশীষ শর্মা’সহ একদল পুলিশ।