শনিবার ● ২৯ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করলেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা
সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করলেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: এক সময়ের পুলিশ কর্মকর্তা অবসর গ্রহন করে গ্রামে এসে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ও গ্রামের মানুষদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করে নানা অপকর্ম করেই চলেছেন আর,আই ওয়াজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। গত শুক্রবার ও শনিবার দুদিন ব্যাপি তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করে সরকারি রাস্তার সাথে সরকারি জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
পুলিশের এ সাবেক কর্মকর্তা পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চরসেনগ্রামের মৃত আলহাজ এনায়েত আলী প্রামাণিকের ছেলে।
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর পূর্বে পুলিশ বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন ওয়াজ উদ্দিন। এর পর থেকে গ্রামের পৈত্রিক ২৭ শতাংস বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। মৃত আলহাজ্জ এনায়েত আলী প্রামাণিক এর ৬ ছেলে তিন মেয়ে ও স্ত্রীসহ মোট ১০ জন তাদের সম্পত্তির ওয়ারিশ হলেও তিনি একাই অধিকাংশ জমি জায়গা নিজের দখলে রেখেছেন। প্রায় দুই বছর পূর্বে তিনি তার ছোট ভাই ছাইফুল ইসলামের অপর একটি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করেন।
গত ২১ জুন শুক্রবার রাতে ও শনিবার দিনব্যাপি দুই দফায় তিনি ও তার সহযোগীরা তার অপর ভাই জামাত আলীর ভোগ দখলীয় উত্তরসেনগ্রাম মৌজার আর.এস খতিয়ান ২৫৮, দাগ নং ২২৬৫ এর উপর নির্মিত একটি ঘর ভেঙ্গে দেন। জামাত আলী এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওয়াজ উদ্দিন ও তার সহযোগিরা জামাত আলী এবং তার ছেলে প্রভাষক ইকবাল কবীর রনজুকে প্রাণ নাশের হুমকী দেন। এ ব্যাপারে জামাত আলী গত ২২ জুন চাটমোহর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সর্বশেষ গত শুক্রবার তিনি বিলচলন ইউনয়নের বওশা ব্রীজ এলাকার মসজিদের পাশে সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, ওয়াজ উদ্দিন কর্তৃক দখলকৃত এ রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। তিনি দখল করার ফলে এ রাস্তাটি সংকীর্ণ হয়ে পরেছে। ফলে যানবাহন চলাচল ব্যহত হচ্ছে। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান এবং অনতিবিলম্বে দখলদারের কবল থেকে সরকারি এ রাস্তাটি পুনরুদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযুক্ত দখলদার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আর,আই ওয়াজ উদ্দিন বলেন, এখানে আমার ৫৮ শতক জমি রয়েছে। আমি ঐ জায়গায় ঘর উঠানোর আগে পরিমাপ করিনি, তবে সরকারি জায়গায় ঘর যদি উঠে থাকে তাহলে আমি তা সরিয়ে নেব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরে ঐ ব্যক্তিকে তার জমির কাগজপত্রাদী নিয়ে অফিসে আসতে বলা হয়েছে। সরকারি জায়গায় সে যদি ঘর উঠিয়ে থাকে অবশ্যই তাকে সেটা সরিয়ে নিতে বাধ্য করা হবে।