রবিবার ● ৩০ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য
ঝিনাইদহে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীন চাল সংগ্রহে প্রায় কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মিলারদের কাছ থেকে প্রতি কেজিতে সদর উপজেলায় ৫০ পয়সা, আর অন্য ৫ উপজেলায় ৬০ পয়সা উৎকোচ নিদ্ধারন করে পয়সা আদায় করছেন জেলা খাদ্য অফিস। এই পয়সা না দিয়ে সরকারি গুদামে কোনো মিল মালিক চাল বিক্রি করতে পারছেন না। চুক্তিপত্র সাক্ষরের সময় এই পয়সা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। না দিলে তিনি বরাদ্ধপত্র পাচ্ছেন না। এভাবে মিলগুলোর মালিকদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। মিল মালিকরা অভিযোগ করেছেন, কেজি প্রতি হিসাব কষে টাকা নেওয়ায় এবার তাদের চাল বিক্রিত মোটা টাকা গুনতে হচ্ছে। কোনো কোনো মিলারকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকাও দিতে হচ্ছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর দপ্তরের এই টাকা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মিল মালিকেরা।
হিসাব অনুযায়ী ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় এ বছর ১৫ হাজার ৯ শত ২৭ মেঃ টন চাল ক্রয় নিদ্ধারন করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে জেলার ৪৩০ জন মিল মালিকের মাঝে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৮ হাজার ৫ শত মেঃ টন বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। আর জেলা বাকি ৫ উপজেলায় ৭ হাজার ৪ শত ২৭ মেঃ টন বরাদ্ধ রয়েছে। এতে মিলারদের হিসাব অনুযায়ী সদর উপজেলায় কেজি প্রতি ৫০ পয়সা হিসাবে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আর অন্য ৫ উপজেলায় কেজি প্রতি ৬০ পয়সা হিসাবে ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অর্থাৎ গোটা জেলা থেকে আদায় হবে ৮৭ লাখ ৬ হাজার ২ শত টাকা। মোটা অংকের এই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর। জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজারে অবস্থিত দেশ আটো’র মালিক টিপু সুলতান জানান, তিনি ৬৫০ মেঃ টন চাল বিক্রির বরাদ্ধ পেয়েছেন। এই বিক্রি বরাদ্ধপত্র পেতে তাকে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা উৎকোচ দিতে হয়েছে। চুক্তির সময় এই টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। টাকা না দিলে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের কর্মকর্তা স্বাক্ষর করেননি বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিশ^াস রাইচ মিল ও আলতাফ রাইচ মিলের মালিক আলতাফ হোসেন জানান, তিনি দুই মিল থেকে ৩’শ মেঃ টন চাল বিক্রির বরাদ্ধ পেয়েছেন। এই বরাদ্ধপত্র নিতে তাকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। বন্ধন মেজর রাইচ মিলের মালিক ঝিনাইদহের হাটগোপালপুরের বিকাশ চন্দ্র বিশ^াস জানান, নানা খরচের কথা বলে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত পয়সা নেওয়া হচ্ছে। গোটা বছর চাল তৈরী করে মিলাররা অপেক্ষা করেন সরকারি গুদামে চাল বিক্রি করবেন। এতে তারা কিছুটা হলেও লাভ পাবেন। কিন্তু লাভের বিষয়টি সামনে এলেই নানা ধরনের উৎকোচ বেড়ে যায়। অন্য বছরের তুলনায় এবার জেরা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। জোহান ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারী ও জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, শুধু চাল বিক্রিতে নয় এবার মিলারদের লাইসেন্স নবায়নে অতিরিক্ত পয়সা দিতে হচ্ছে। প্রতিটি লাইসেন্সে অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এভাবে ৫ শতাধিক মিল মালিকের নিকট থেকে আরো কয়েক লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ছোট ছোট অনেক মিল মালিক রয়েছে তারা এই টাকা দিতেও কষ্ট পাচ্ছেন। তারপরও মিল চালু রাখতে এই বাড়তি টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। জেলার তেতুলতলা বাজারের ভাই-ভাই রাইচ মিলের মালিক মোঃ সমশের আলী জানান, তার নিকট থেকেও লাইসেন্স নবায়নে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। তিনি এই টাকা না দিতে চাইলে লাইসেন্স নবায়ন হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকীব সাদ সাইফুল ইসলাম জানান, তার দপ্তর থেকে কেজি প্রতি এই টাকা নেওয়ার অভিযোগ মোটেও ঠিক নয়। এটা তার বিরুদ্ধে কেউ মিথ্যা প্রচার করছেন। এছাড়া লাইসেন্স নবায়ন ক্ষেত্রে টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। এখানে ব্যাংকের কিছু খরচ আছে। খরচের অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে এটাও সম্পুর্ণ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, জেলায় কোন দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ঘুষ নিচ্ছে বলে বিভিন্ন ভাবে শুনেছি। সুর্নিদিষ্ট ভাবে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভাতিজার চাকরির সুপারিশ করে ফেঁসে গেলেন সাবেক ডিএসবি
ঝিনাইদহ :: ভাতিজার চাকরির সুপারিশ করতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন ঝিনাইদহের সাবেক ডিএসবির এস আই বর্তমানে মহেশপুর থানার এসআই আবদুল হাকিম। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম। জানা গেছে, গত ২২ জুন ছুটি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় যান মহেশপুর থানার এসআই আবদুল হাকিম। ওই দিন চুয়াডাঙ্গা জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে জনবল নিয়োগের প্রথম দিন ছিল। শারীরিক পরীক্ষায় তার (এসআই হাকিম) ভাতিজা বাদ পড়েন। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমানের কাছে ভাতিজার জন্য সুপারিশ করতে যান এসআই হাকিম। পুলিশ সুপারের কাছে পাত্তা না পেয়ে রাগান্বিত হয়ে পড়েন এসআই হাকিম। এতে বিষয়টি সবার নজরে পড়ে যায়। এরপর সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া করলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাকে ধরে আটকে রেখে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানকে অবহিত করা হয়। চুয়াডাঙ্গা থেকে এসআই হাকিমকে আনার জন্য ওসি মহেশপুর থানাকে নির্দেশ দেন তিনি। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি জানান, নির্দেশ মতো বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটের সময় চুয়াডাঙ্গা থেকে এসআই হাকিমকে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে নিয়ে আসেন তিনি। পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই হাকিমকে ওই দিনই চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, এসআই হাকিমের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াতুলি গ্রামে। আড়াই মাস আগে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে মহেশপুর থানায় এসআই হিসেবে যোগদান করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহ জেলায় আসছে ২৬ জুন শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। এবার ২৮ জন কনস্টেবল পদে নারী ও পুরুষ নিয়োগ দেয়া হবে। ইতিমধ্যে সুপারিশ, প্রতারক ও দালালচক্র মুক্ত নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে জানিয়েছেন ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার। মাইক যোগে প্রচার করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। প্রাপ্ত তথ্য মতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন দালাল ও প্রতারক চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করার জন্য মাঠে নেমেছেন। একই সঙ্গে নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের ওপর নজর রাখছেন তারা। রাজনৈতিক নেতারা কেউ সুপরিশ করছেন কিনা কিংবা টাকা কড়ি লেনদেন করছেন কিনা তাও খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা। প্রথমবাবের মতো সারা দেশে পুলিশ কনস্টেবল পদে জনবল নিয়োগ নিয়ে অর্থ বানিজ্য বন্ধের জন্য এতোসব আয়োজন করা হয়েছে।
একাধিক মামলার আসামি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খাজুরা মিস্ত্রিপাড়া থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মসিউর রহমান (৩৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মসিউর রহমান শহরের আরাপপুর সোনালীপাড়া এলাকার নুর হোসেন কাজীর ছেলে। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল, একটি বিদেশী পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে মাদক, অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামী মসিউর রহমান খাজুরা এলাকায় মাদক বিক্রি করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার ওসি (অপারেশন) মহসীন হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় মসিউর রহমান পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি বর্ষন করতে যায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। এতে মসিউর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সেখান থেকে তাকে আটক করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ফেন্সিডিল, অস্ত্র ও গুলি। মসিউর রহমানের নামে ঝিনাইদহ সদরথানাসহ বিভিন্ন থানায় ৯ টি মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঝিনাইদহে পৃথক হত্যা, বিস্ফোরক ও মাদক মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে পৃথক হত্যা, বিস্ফোরক ও মাদক মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম, দ্বিতীয় ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম এ রায় প্রদাণ করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে আব্দুল গনিকে বোমা মেরে হত্যা করে পুর্ব বাংলাকমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই বাদি হয়ে সদর থানায় ৪ জনকে আসামী করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে ২ টি মামলা দায়ের করে। ওই বছরেই পুলিশ ৪ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত নাজিম উদ্দিন, আসমত, তক্কেল ও নজরুল ইসলাম ভুটানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদাণ করা হয়। এ মামলায় তক্কেল ও নজরুল ইসলাম ভূটান পলাতক রয়েছে। অপরদিকে, ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর বাজার থেকে ফেন্সিডিলসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন পুলিশ বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে মাদক মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ওই বছরের শেষের দিকে পুলিশ আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আমেনা খাতুন, মজিদা খাতুন ও রাবেয়া খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদাণ করা হয়েছে। এ মামলার অপর আসামী তারা মিয়া বর্তমানে মৃত ও রাবেয়া খাতুন এবং আমেনা খাতুন পলাতক রয়েছে।
কালীগঞ্জে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ট্রাকচাপায় আমিনুর ইসলাম (২৩) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। রোববার (৩০ জুন) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আমিনুর ইসলাম কালীগঞ্জ শহরের চাচড়া গ্রামের ঝন্টু মন্ডলের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, সকালে আমিনুর মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে কোটচাঁদপুরমুখী একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুলতান আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইদহে পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির আঞ্চলীক নেতা গ্রেফতার
ঝিনাইদহ ::ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ অস্ত্র ও গুলিসহ পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির আঞ্চলীক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জাহিদুল ইসলাম (৩৫) দৌলতপুর ইউনিয়নের কেষ্টপুর গ্রামের দুলু মন্ডলের ছেলে। হরিনাকুন্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বিশেষ অভিযান চলাকালীন সময়ে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় এস আই জিয়াউল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম কেষ্টপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তার রান্না ঘরের মাচার উপরে রাখা দেশী তৈরি একটি ওয়ান সুটারটার গান ও এক পিচ গুলি সহ জাহিদুলকে গ্রেফতার করে। পরদিন সকালে তাকে ঝিনাইদহ কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। তিনি আরো জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চলছে এ ব্যাপারে আইনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে।