সোমবার ● ১ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ক্ষমতাসীন দলের নেতার বিরুদ্ধে মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় সংখ্যালঘু নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ক্ষমতাসীন দলের নেতার বিরুদ্ধে মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় সংখ্যালঘু নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ
রাউজান (উত্তর) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার পশ্চিম গহিরা বড়ুয়া পাড়ার অবৈধভাবে নিলু বড়ুয়ার ঘরে ডুকে তার মাদকাসক্ত স্বামী সনদ বড়ুয়ার পক্ষ নিয়ে গত ১৯ জুন দিবাগত রাত ১০ টার সময় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কমিশনার আলমগীর আলী ও তার সহযোগী দিদার সহ আরো ৬-৭ জন মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় নির্মম অত্যাচার করে নিলু বড়ুয়া ও তার সন্তানকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
জানা যায়, গত ১৯ জুন রাত ১০ টার দিকে নিলু বড়ুয়া ও তার ছেলে সৌমেন বড়ুয়া ভাত খাচ্ছিল, এমন সময় দরজার কড়া নেড়ে দরজা খুলতে বলেন স্থানীয় কমিশনার মো. আলমগীর আলী।
ঘরের দরজা খোলার সাথে সাথে কমিশনার আলমগীর আলীও তার সহযোগী দিদার সহ আরো ৬-৭ জন যুবক মিলে অর্তকিত নিলু বড়ুয়াকে লাথি, ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে হাত বেঁধে মুখে টেপ লাগিয়ে দেয়। এমন কি এই সময় নিলু বড়ুয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা ও করা হয়। বাঁধা দিতে আসলে নিলু বড়ুয়ার ছেলে সৌমেনকে ও বেদম প্রহার করা হয়। এক পর্যায়ে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে রাতের অন্ধকারে নিলু বড়ুয়া ও ছেলে সৌমেন বড়ুয়াকে কমিশনার আলমগীরের দল তার মাছের প্রজেক্টের পুকুর পাড়ে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সৌমেন বড়ুয়া পালিয়ে গিয়ে চিৎকার করে দৌড়ে পশ্চিম গহিরা শান্তিময় বৌদ্ধ বিহারে আশ্রয় নেয়। সৌমেন বড়ুয়া’র চিৎকারের শব্দ শুনে স্থানীয় জনতা প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে কমিশনার ক্ষুদ্ধ হয়ে ১০-১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায় নিলু বড়ুয়া এবং তার ছেলে সোমেন বড়ুয়াকে রেখে দ্রুত সটকে পড়ে।
এ ঘটনা রাউজান থানা পুলিশকে অবহিত করা হলেও কমিশনার আলমগীর আলী আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ায় রাউজান থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিরত থাকে। পরে আদালতে গিয়ে নিলু বড়ুয়া নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে কমিশনার আলমগীর আলীর বিরুদ্ধে আজ সোমবার ১ জুলাই অভিযোগ দায়ের করেন।
নিলু বড়ুয়া বর্তমানে মানবিক সংস্থার অধীনে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে কমিশনার আলমগীর আলীর মতামত জানতে তার মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন মতামত পাওয়া যায়নি।
রাউজানে কমিশনার আলমগীর আলীর বিরুদ্ধে মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় সংখ্যালঘু নারী নিলু বড়ুয়াকে নির্যাতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ স্থানীয় সংখ্যালঘু এবং সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। সচেতন মহল আওয়ামীলীগ নেতা কমিশনার মো. আলমগীর আলীর শাস্তি দাবি করেন।
ভোক্তভোগীরা মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় সংখ্যালঘু নারী নিলু বড়ুয়াকে নির্যাতনের বিচার চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আর্কর্ষণ করেন।
উল্লেখ্য, রাউজান উপজেলায় ক্ষমতাসীদের একটি সিন্ডিকেট স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সংখ্যালঘুদের ভুমি জব্বর দখলের অভিযোগ রয়েছে।