রবিবার ● ৭ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানের ভারী বর্ষণে দূর্গম এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলি ভ্রমণে মৃত্যুর ঝুঁকি
বান্দরবানের ভারী বর্ষণে দূর্গম এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলি ভ্রমণে মৃত্যুর ঝুঁকি
বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :: বান্দরবানে টানা ভারী বর্ষণে সাঙ্গু নদীসহ ঝিরি ঝরণার পানির প্রবাহ বাড়ায় জেলার দুর্গম পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে পর্যটকদের মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে পর্যটন ভ্রমণে যাতায়াতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল।
স্থানীয়রা জানান, সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধিতে স্রোত বাড়ায় রেমাক্রি বড় পাথর তিন্দু এলাকায় নৌ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রাও নৌ পথে যাতায়াত বন্ধ রেখেছেন। এমন অবস্থায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা ঘুড়তে আসলেও পাওয়া যাবে না কোন নৌকা। তবে নদীর অবস্থা স্বাভাবিক হলে আগের মত আবারো পর্যটকরা রেমাক্রি বড় পাথর নাফাখুম এলাকায় বেড়াতে যেতে পারবেন।
এদিকে, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। একইসঙ্গে অতি ভারী বর্ষণের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা করে সতর্কবাণী দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।গত শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম বলেন, ভারী বর্ষণে সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকরা ঘুরতে গেলে আমাদের করার কিছু নাই।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩০ জুন) রুমা উপজেলার দুর্গম তিনাপ সাইথার ঝর্ণা পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে পাইন্দু খাল পার হওয়ার সময় স্রোতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও তার বান্ধবী জান্নাত আরা ভেসে যায়। তারা ছয় বন্ধু মিলে ওই এলাকায় ঝর্ণাটি দেখতে গিয়েছিল। ঘটনার পর চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর ১০ জন ডুবুরি এনে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন নিরাপত্তা বাহিনী। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় নিরাপত্তা বাহিনী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও তার বান্ধবী জান্নাত আরার মরদেহ তিন দিনের মাথায় পাইন্দু খাল থেকে উদ্ধার করেন।