সোমবার ● ৮ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা নিন্মাঞ্চল প্লাবিত : ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা নিন্মাঞ্চল প্লাবিত : ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানে টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণের পানিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলায় বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় খোলা হয়েছে ১২৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র। জেলার সকল প্রশাসন প্রশাসন ও জরুরি সেবাদানকারী সরকারি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে, পাহাড় ধসের আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বালাঘাটা, কালাঘাটা, হাফেজ ঘোনা, ইসলামপুর, কেচিংঘাটা, ভরাখালি এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খোলা হয়েছে ১২৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুর্যোগ এড়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টিপাত ও পানির স্রোতে রবিবার বিকালে বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের বালাঘাটা সেনানিবাসের (এমইএস) এলাকায় নির্মাণাধীন সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে বান্দরবানের সাথে রাঙামাটির ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ভারী যান চলাচল করতে না পারলেও ওই সড়কে ছোট এবং মাঝারি ধরনের যান চলাচল করছে।
এবিষয়ে সড়ক বিভাগের ঠিকাদার মো. আজম জানান, টানা ভারী বর্ষণে ও পানির স্রোতের কারণে রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কের সেনানিবাস এলাকায় নির্মাণাধীন কালবাট এর সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে যায়। ইতিমধ্যে আমরা সংযোগ সড়ক মেরামতের ব্যবস্থা নিয়েছি। সকালে দ্রুত সংযোগ সড়ক মেরামত করা হবে এবং ভারী যান চলাচল করতে পারবে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম জানান, জেলায় তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কায় জেলার ৭টি উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গুলিতে খোলা হয়েছে ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় লামা উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে জনসাধারণকে মোবাইল টিমের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারী বর্ষণে জেলার সাঙ্গু নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বেড়েছে পানি ও নদির স্রোত। এমন অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকদের দুর্গম এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ পর্যটন স্পট গুলিতে ঘুরতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বান্দরবানের জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।