শনিবার ● ১৩ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে তাপবিদুৎ কেন্দ্রে মানববন্ধন
মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে তাপবিদুৎ কেন্দ্রে মানববন্ধন
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: বাবাকে নয়, আমাকে গ্রেফতার করুন। হাতের লেখা ব্যানার নিয়ে দাড়িয়ে মানব বন্ধনে অংশ গ্রহন করেছেন মোশফিক বাবু (৯) নামে এক তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র। এই শিশু সাংবাদিকদের জানায়, তার বাবা পরিবারের একমাত্র উপার্জন সক্ষম ব্যাক্তি,মামলার কারনে পুলিশের ভয়ে তার বাবা বাড়ীতে না থাকায় এখন তারা অনাহারে-অর্ধ্যাহারে জীবন যাপন করছেন। তাই সে বাবার জন্য মানববন্ধনে এসেছে।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের আন্দোলনরত শ্রমিকদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও পুলিশি হয়রানী বন্ধসহ অনতিবিলম্বে নিয়োগের দাবীতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে, এমন ব্যনার নিয়ে অংশ গ্রহন করেন ওই শিশুসহ বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের আন্দোলনরত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা।
আজ শনিবার বেলা ১২ টায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি বাজারে এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
“বাবাকে নয় আমাকে গ্রেফতার করুন” ব্যানার নিয়ে অংশগ্রহন করা তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র মোশফিক বাবু বলেন, তাদের পরিবারের এক মাত্র উপার্জ সক্ষম ব্যাক্তি তার পিতা আশেদুলের নামে মামলা হওয়ায়, সে বাড়ীতে থাকতে পারছেনা, এই কারনে তাদের পরিবার এখন অচল হয়ে পড়েছে। এই জন্য তার বাবাকে গ্রেফতার না করার জন্য তিনি মানব বন্ধনে এসেছেন। এই শিশুর সঙ্গে একই কথা বলেন অনান্য শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরাও।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎকেন্দ্রের শ্রমিক আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, গত ৬ জুলাই শ্রমিক আন্দোলন শুরু হলে গত ৭ জুলাই আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশ হামলা ও লাঠিচার্জ করে, তাকেসহ ১৬জন শ্রমিক নেতাদের আটক করে। সেই সময় ৫৪ জন শ্রমিকনেতার নাম উল্লেখ করে ২০০জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওইদিন পুলিশের আটক হওয়া তিনিসহ ১৬জন শ্রমিক, গত ১১ জুলাই আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসলেও, পুলিশের ভয়ে বাড়ীতে থাকতে পারছেনা অনান্য শ্রমিকরা, এই কারনে শ্রমিকদের পরিবার গুলো এখন অচল হয়ে পড়েছেন। তিনি পুলিশি হয়রানী বন্ধ করাসহ শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানান। মানব বন্ধনে অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান, শ্রমিকনেতা আরিফুল ইসলাম, মাজেদুল হক ও কবি শাহাজাহান প্রমুখ।