বৃহস্পতিবার ● ১৮ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » কুচরীপানায় ভরে গেছে বড়াল নদী
কুচরীপানায় ভরে গেছে বড়াল নদী
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: বড়াল নদীতে পানি ব্যবহার করতে পারছে না নদীপাড়ের বাসিন্দারা । মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা। স্থানীয়রা বলছেন- নদীর নতুনবাজার খেয়াঘাট-গুনাইগাছা এলাকা পর্যন্ত প্রচুর পরিমানে কুচরীপানা জমেছে। কুচরী পানার কারণে পানি দেখা যায় না। নদীর পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে নদী দখল মানুষগুলো ক্রমেই নদীর পাড় বেধে জায়গা দখল করে ঘর করছে, গাছ লাগাচ্ছে। একশ্রেণীর ব্যক্তি নদীর পানি দূষিত করে- এমন উপকরণ ও বর্জ্য নদীতে ফেলছে। অনেকে কৌশলে নদীর পাড় দখল করেছে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আপাত দৃষ্টিতে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বড়াল নদী। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে পৌর মেয়র, উপজেলা প্রশাসক ও বড়াল নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। বাঁধ অপসারণের পর নদীর সংষ্কার নিয়ে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। আবদ্ধো কুচরীপানার কারণে মশার উৎপাত বেড়েছে পৌর এলাকায়। গোসলসহ গৃহস্থালির কাজেও নদীর পানি ব্যবহার করতে পারছে না নদীপাড়ের বাসিন্দারা। নতুন প্রজন্ম সাঁতার শিখতে ও গোসল করতে পারছে না। বর্ষার পানি ঢুকলেও মাছ ঢুকতে ও বাস করতে পারছে না কুচরী পানার কারণে। স্থানীয়রা জানান, কুচরীপানাজনিত দুর্ভোগ নিয়ে প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারণ, এ নিয়ে তারা কোন কর্মসূচী বা পদক্ষেপ নিয়েছে- এমন ঘটনা এখনও ঘটেনি। বাঁধ কেটেই তারা দায় সেরেছেন কিন্তু বাঁধের মাটি এখনও অপসারণ করা হয়নি। নতুন বাজার খেয়াঘাট এলাকায় হাড়ি-চাঁদা তুলে কাঠের পুল নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী। কিন্তু ভারী যানবাহন এ কাঁঠের সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না। ফলে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে কুমার গাড়া, সিঙ্গ ও বোঁথড়সহ চাটমোহর উপজেলার উত্তর-পূর্ব এলাকার বৃহৎ অংশের বাসিন্দারা। দহপাড়া সুইচগেট ও বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সেখানে বাঁশের সেতুও নেই। ঝিমিয়ে পড়েছে দহপাড়া হাটের ব্যবসা-বাণিজ্য। চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন চার গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। বড়াল নদীর দোলং-জার্দ্রিস মোড় অংশটি পৌরসভার আওতায় পড়লেও চাটমোহর পৌরসভা পৌরবাসীর মতো দর্শক হয়ে কুচরীপানা দেখছেন। পৌরবাসী মনে করছেন, পৌর এলাকার এ অংশের কুচরীপানা সরাতে পৌরসভার দায়িত্ব রয়েছে। চাটমোহর পৌরসভা পদক্ষেপ নিলে বিনোদন কেন্দ্র হতে পারে বড়াল নদীসহ, নদীর দু,পাড়। বিকালে সৌখিন নৌকা ভ্রমণকারীরা এ অংশটি উপভোগ করার সুযোগ করে দিতে পারেন পৌর মেয়র।