সোমবার ● ২২ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে সড়কের গর্তে আটকে পড়ল ট্রাক
বিশ্বনাথে সড়কের গর্তে আটকে পড়ল ট্রাক
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী সড়কের কাদিপুর (খান অটো মিলের সামনে) এলাকায় গর্তে আটকে পড়েছে ২০ টন (৪শত বস্তা) সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক। ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো-ট ২০-১০৩৩) ছাতক থেকে বিশ্বনাথ উপজেলা সদর হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। আজ সোমবার দুপুরে এঘটনাটি ঘটে। ফলে সড়কে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে বিগ্ন হচ্ছে।
জানা গেছে, বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী সড়কটি অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘদিন বেহলা দশা থাকার পর ২০১৭ সালে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কে সংস্কার কাজ করা হয়। ফলে দূর্ভোগ থেকে রেহাই পান জনসাধারণ। কিন্ত প্রতিদিন আইন অমান্য করে শত শত যাত্রী ও মালবাহী বড় বড় বাস-ট্রাক চলাচল করায় সড়কটি সংস্কার কাজ করার কিছুদিন যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। বিশেষ করে যাত্রীবাহী বড় বড় বাস ও সিমেন্ট-বালু-পাতর বোঝাই ট্রাক সুনামগঞ্জ-ছাতক থেকে দ্রুত সময়ে ঢাকা যেতে বিশেষ করে প্রতিদিন রাতে এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। ফলে সংস্কার কাজ করার কিছু দিনের মধ্যেই সড়কে এই গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আইন অমান্য করে আন্ত:বিভাগীয় এসব বড় বড় গাড়ি যাতে এই সড়ক দিয়ে চলাচলা না করে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সম্প্রতি বিশ্বনাথ থানা পুলিশ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর কাছে দাবি জানিয়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার।
গর্তে আটকে পড়া এ.কে.এস পরিবহনের ট্রাক’র চালক তুহিন মিয়া সাংবাদিকদের জানান- ৪শত বস্তা সিমেন্ট নিয়ে তিনি ছাতক থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। ২০ টন সিমেন্ট বোঝাইকৃত ট্রাক নিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে কেন এই সড়ক দিয়ে প্রবেশ করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘এভাবে অনেক গাড়ি এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছে, তাই আমিও গাড়ি নিয়ে যাচ্ছি’।
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন- গর্তে ট্রাক আটকে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি। তিনি জানিয়েছেন এক্সেভেটর দিয়ে ট্রাকটি সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এই সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন। এজন্য প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিশ্বনাথে পুলিশের মাইকিং
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ‘বাচ্চাধরা আতঙ্ক’ না থাকার জন্য পুলিশের পক্ষে মাইকিং করেছে। (২২ জুলাই) সোমবার বিকেলে উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাচ্চাধরা আতঙ্কে না থাকার জন্য সচেতনতারক্ষায় এ মাইকিং করা হয়। মাইকিংয়ে একটি কুচক্রিমহল বাচ্চাধরা বলে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্কিত করেছে এবং দুষ্কৃতিকারীরা তাদের ফায়দা হাসিল করার জন্য গুজব ছড়িয়েছে। এতে আতঙ্কিত না হয়ে নিজ নিজ এলাকায় কোথাও যদি কোন অপরিচিত বা বাচ্ছাধরা সন্দেহ হলে গণপিটুনি বা আইন নিজ হাতে না তুলে একে ধরে পুলিশের কাছে তুলে দিতে বলা হয়।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, সারাদেশে বাচ্চাধরা আতঙ্কে জনজীবন বিপর্যস্থ। তাই পুলিশ সদর দপ্তররের নির্দেশ মোতাবেক গুজব ছড়ানো এবং গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে সচেতন হবার জন্য আমরা এর প্রচার করছি।
বিশ্বনাথে বাস- পিকআপ মুখোমুখি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গিয়ে খাদে পড়ায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। সোমবার বিকেলে উপজেলার বিশ্বনাথ-রশীদপুর সড়কের শাহজিরগাঁও গ্রামের রাস্তার সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও তাৎক্ষণিক তাদের নাম জানা যায়নি। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বাসে থাকা এক যাত্রী ও স্থানীয়রা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস (নং-মোলভীবাজার-জ, ০৪-০০৭০) বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ-রশীদপুর সড়কের শাহজিরগাঁও গ্রামের রাস্তার সামন অতিক্রম করার সময়ে শাহজিরগাঁও গ্রামের ভেতর থেকে আসা একটি পিকআপকে সাইড দিতে গিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। এতে অন্তত ১৫জন আহত হন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া বিশ্বনাথ থানার এসআই শফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যারা আহত হয়েছেন, তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিশ্বনাথে ‘আইয়ুব মিয়া সড়ক’র পার্শ্ববর্তী গাছ কর্তনের অভিযোগ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধর্মদা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী তজম্মুল আলীর বাড়ির ‘আইয়ুব মিয়া সড়ক’ নামক রাস্তার পাশের গাছ জোরপূর্বক কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্মদা গ্রামের মৃত আসদ্দর আলীর পুত্র খলিলুর রহমান ও লুৎফুর রহমানকে অভিযুক্ত করে গাছ কর্তনের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রবাসী তজম্মুল আলীর বাড়ির কেয়ারটেকার আতিক আলী।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন- প্রবাসী তজম্মুল আলীর ভাই মরহুম আইয়ুব আলী ব্যক্তিগত উদ্যোগে অর্থায় ব্যয় করে নিজ ভূমির উপর বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়ক হইতে তার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেন। এরপর সীমানা পিলার বসিয়ে রাস্তার দু’পাশে মূল্যবান গাছ লাগিয়ে কেয়ারটেকার নিয়োগের মাধ্যমে তা পরিচর্যা করে আসছেন। রাস্তাটি নির্মাণের পর ১৯৮৯ সালের ১৯ মে উক্ত রাস্তায় দুস্কৃতিকারীদের হামলায় নিহত হন আইয়ুব আলী। তিনি নিহত হওয়ার পর তার স্মৃতি রক্ষার্থে পরিবারের পক্ষ হতে উক্ত রাস্তাটি ‘আইয়ুব মিয়া সড়ক’ নামে নামকরণ করা হয়। রাস্তা নির্মাণ ও গাছগাছালী রোপন করায় তা একদিকে যেমন সৌন্দর্যবর্ধন হয়েছে, তেমনি জীববৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উপকারী সুবিধা মিলছে। কিন্ত সম্প্রতি এইক গ্রামের খলিলুর রহমান ও লুৎফুর রহমান এই রাস্তার পার্শ্বের একটি বড় ‘শলকরই’ গাছ কর্তন করলে এতে বাঁধা দেন কেয়ারটেকার আতিক আলী। এরপর এলাকার মরব্বিদের মধ্যস্থতায় কর্তনকৃত গাছটি রাস্তার পার্শ্বে রয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন রাস্তা ও গাছগুলো বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন। তাই নিজের স্বার্থ ও পরিবেশ রক্ষার্থে দুস্কৃতিকারীদের হাত হতে গাছগুলো রক্ষা করতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগে আবেদন জানানো হয়।
এব্যাপারে অভিযুক্ত খলিলুর রহমান বলেন- ‘আইয়ুব মিয়া সড়ক’ নামে রাস্তাটির নামকরণ করা হলেও এটি সরকারি রাস্তা। গাছ কর্তনের অভিযোগটি অস্বীকার করে তিনি বলেন, রাস্তার পার্শ্ববর্তি আমার জায়গার উপর রোপনকৃত গাছটি ঝড়ে ওপরে পড়ে গেলে আমি গাছটি কর্তন করে রাস্তার উপর রেখেছি। বর্তমানে গাছটি থানার জিম্মায় রয়েছে।