বুধবার ● ২৪ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » গাবতলীতে গণপিটুনির শিকার ৪ যুবক ছিলো ছিনতাইকারী : পৃথক দুটি মামলা গ্রেফতার-১৭
গাবতলীতে গণপিটুনির শিকার ৪ যুবক ছিলো ছিনতাইকারী : পৃথক দুটি মামলা গ্রেফতার-১৭
বগুড়া প্রতিনিধি :: বগুড়ার গাবতলীতে গণপিটুনির শিকার হওয়া চার যুবক আসলে ছেলেধরা ছিলো না। এরা ছিলো পেশাদার ছিনতাইকারী। ছেলে ধরা সন্দেহে চার যুবককে গণপিটুনি, সরকারী কাজে বাঁধাপ্রদান ও পিকআপ ভ্যানে আগুন এবং পিকআপ ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনায় পৃথকভাবে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই দুটি মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১৭জনকে গ্রেফতার করলেও গতকাল ১৩জনকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
একাধিকসূত্র জানায়, ছেলে ধরা সন্দেহে আটককৃত গাবতলীর কর্ণিপাড়া গ্রামের হযরত আলী প্রাং এর ছেলে ফাহিম প্রাং (২৪), পারধুনট মধ্যপাড়া গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে লুৎফর রহমান (৩৫), ধুনট জোড়শিমুল গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে দুলাল হোসেন (২২) ও তার ভাই নিয়ামুল হোসেন (৩৬) বিরুদ্ধে পিকআপ ভ্যান ছিনতাই ও মুক্তিপন দাবীর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন রুপগঞ্জ উপজেলার নারিন্দা গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে পিকআপ ভ্যানের মালিক মুসা মিয়া। মুসা মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, গত ২১ জুলাই ভাড়াটিয়া ওই চার যুবক ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে একটি ওয়ারড্রপ (ফার্নিচার) নিয়ে রংপুরের মিঠাপুকুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পতিমধ্যে ২১ জুলাই রাতে সিরাজগঞ্জ এলাকায় এসে ভাড়াটিয়া যুবকেরা পিকআপ চালক সাকিল (৩০)কে চাকুর মুখে জিম্মি করে গাড়ী থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর থেকে ভাড়াটিয়া চার যুবক গাড়ীর মালিকের কাছ থেকে ২লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে আসছিল। একপর্যায়ে গত সোমবার গাবতলীর দূর্গাহাটা ইউনিয়নের বটিয়াভাঙ্গা ৪মাথার মোড়ে স্থানীয় আঃ ওহাবের বাড়ীর সামনে পিকআপ ভ্যান নিয়ে মুক্তিপণের টাকা পাবার জন্য অপেক্ষা করছিল। স্থানীয় লোকজন তখন ওই ৪জনকে ছেলে ধরা সন্দেহে আটক করে গণপিটুনি শুরু করে। এরপর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠু ওই চার যুবককে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদ রুমে আটক রাখে। পরে থানা পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে উশৃঙ্খল জনতা উপর লাঠিচার্জ করে ১৩জনকে আটক করে এবং আটককৃত ওই চার যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরা হলো সারিয়াকান্দি উপজেলার হাট ফুলবাড়ী গ্রামের ঘেতা সরকার (৫৪), লিটন (৩৫), চকি বাড়ী গ্রামের আক্কাস আলী (৪৫), হাট ফুলবাড়ী দক্ষিণপাড়া গ্রামের মামুন সরকার (৩০), হরিনা গ্রামের জেমন্স জয় (১৯), হরিনা বালুচরা গ্রামের জাকির হোসেন (২২), গাবতলীর হাতিবান্ধা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আইয়ুব হোসেন (৩০), সুমন বাবু (১৯), শিলদহবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মাইদুল (৩৩), সোলারতাইর গ্রামের জিম বাবু (২০), বটিয়াভাঙ্গা গ্রামের জহুরুল সরকার (৪০), রাব্বি (২০) ও গড়েরবাড়ী গ্রামের জনি (২০)। গ্রেফতারকৃত এই ১৩জনসহ ২২জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০০০/১২০০জনের বিরুদ্ধে জনতা কর্তৃক সরকারী কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে থানার এসআই সুজাউদৌলা বাদী হয়ে গতকাল একটি মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে থানার ওসি সেলিম হোসেন বলেন, সরকারী কাজে বাধা, আইন হাতে তুলে নিয়ে চার যুবককে গণপিটুনি ও পিকআপ ভ্যান পুড়িয়ে দেয়ায় ১৩জনকে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ছেলে ধরা সন্দেহে যে ৪জনকে আটক করা হয়েছে-এরা প্রকৃত ছিনতাইকারী। এদের বিরুদ্ধে পিকআপ ভ্যানের মালিক বাদী হয়ে পিকআপ ছিনতাই ও মুক্তিপণ দাবীর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
ওহাব মন্ডলকে মটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিন : মিল্টন
বগুড়া প্রতিনিধি :: বগুড়া জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য ও গাবতলী থানা বিএনপি সাধারন সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন বলেছেন, এ সরকারের প্রতি জনগনের কোন আস্থা নেই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি প্রার্থী আব্দুল ওহাব মন্ডল’কে মটর সাইকেল মার্কায় ভোট দিন। মটরসাইকেল মার্কা বিজয়ী হলে বেগম খালেদা জিয়া ও রামেশ্বরপুর ইউনিয়ণের জনগনের জয় হবে। তিনি আরো বলেন, আপনাদেরকে যে কোন মূল্যে ভোট চুরী ঠেকাতে হবে। ভোটের দিন আপনারা মাঠে থাকবেন। আশাকরছি সুষ্টুভাবে নির্বাচন হলে (মটরসাইকেল) বিজয় আমাদের নিশ্চিত। কোন হুমকি-ধামকিতে ভয় পাবেন না। ক্ষমতা কাহারোও জন্যই চিরস্থায়ী নয়। তিনি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৩নং রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত ও রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল ওহাব মন্ডল (মটর সাইকেল) নির্বাচনী কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে নির্বাচনী কর্মী সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল ওহাব মন্ডল, বিএনপি নেতা অধ্যাপক নাজমুল হক, তাজুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান মতি, শ্যামল সরকার, আব্দুল করিম, আমিনুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন, সাজু মিয়া, যুবদল নেতা সুমন সরকার, রুহুল হাসান রুহিন, মতিয়ার রহমান মতি, আমিনুল ইসলাম পিয়াস, সিদ্দিক, নুরু, ছাত্রদল নেতা বাশার, শাহীন, রাশেদুল ও কুদ্দুস প্রমূখ। এরপূর্বে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল ওহাব মন্ডল (মটর সাইকেল) মার্কায় দোয়া ও ভোট চেয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্র্ডে গনসংযোগ করেন।