শুক্রবার ● ২৬ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ছেলে ধরা সন্দেহে রোহিঙ্গা নারীকে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগে বান্দরবানে আটক-২
ছেলে ধরা সন্দেহে রোহিঙ্গা নারীকে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগে বান্দরবানে আটক-২
বান্দরবান প্রতিনিধি :: ছেলে ধরা সন্দেহে রোহিঙ্গা নারী রোকিয়া বেগম(২০)কে গণপিটুনি দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজু তঞ্চগ্যা (২৫) রিংকু তঞ্চঙ্গ্যা (২৩) নামে দুই পাহাড়ি যুবককে আটক করেছে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে বালাঘাটার ২নম্বর ওয়ার্ডের তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানিয়রা জানান, গত শুক্রবার (১৯জুলাই) বান্দরবান পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ড বালাঘাটা বাজারে মানসিক ভারসাম্যহীন এক রোহিঙ্গা নারীকে ছেলে ধরা সন্দেহে গণধোলাই দেওয়া হয়। পরে তাকে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। টানা পাঁচ দিনের চিকিৎসা শেষে ওই রোহিঙ্গা নারীকে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করলে তারা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে যান।
এই ঘটনায় গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) রোহিঙ্গা তরুণীর পিতা মোহাম্মদ সুলতান বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে বৃহস্পতিবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজু তঞ্চঙ্গ্যা (২৫) ও রিংকু তঞ্চঙ্গ্যা (২৩) নামে দুই পাহাড়ি ছেলেকে আটক করেন বান্দরবান সদর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) প্রণব কুমার দাশ বলেন, ছেলেধরা সন্দেহে রোহিঙ্গা নারীকে গণপিটুণি দেওয়ার দায়ে ওই রোহিঙ্গা নারীর পিতা অজ্ঞাত ১২৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আর সকালে দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বিকেলে আরেকজনকে কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় নিরীহ কারো যাতে ক্ষতি না হয় তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বান্দরবানের পৌর এলাকার বালাঘাটা বাজারে মানসিক ভারসাম্যহীন রোহিঙ্গা নারী রোকিয়া বেগমকে ছেলে ধরা সন্দেহে জনসাধারণ গণধোলাই দেয়। পরে তাকে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন ও চিকিৎসা শেষে তার বাবা মোহাম্মদ সুলতানের জিম্মায় তাকে হস্তান্তর করেন বান্দরবান সদর থানা পুলিশ। বর্তমানে তারা কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে রয়েছেন।