শুক্রবার ● ২ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » শিরোনাম » বিয়ে করতে গিয়ে শ্রীঘরে লন্ডনি বর
বিয়ে করতে গিয়ে শ্রীঘরে লন্ডনি বর
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিয়ে করে কনে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আহমদ আলী (৩৫) নামের এক প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ও্ই কনের বড়ভাইয়ের দায়ের করা প্রতালনা মামলায় মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। আহমদ আলী সিলেটের বিশ্বনাথের ইলিমপুর গ্রামের জমির আলীর ছেলে।
এদিকে, বরকে গ্রেপ্তারের পর কনেকে বাবার বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক বিয়ে, আগের স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতুক গ্রহণের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ১ আগষ্ট সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে একটি নোহা গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। এই গাড়িটি প্রথম স্ত্রীর বড়ভাইয়ের কাছ থেকে যৌথুক হিসেবে নিয়ে তিনি অন্যত্র বিক্রি করে দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, আহমদ আলী দেশে নানা বিয়ের নামে একের পর এক প্রতারণা করে যাচ্ছেন। পুলিশের দাবি, ব্রিটিশ পাসপোর্ট দেখিয়ে বার বার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন তিনি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, যুক্তরাজ্যের ওল্ডহামে বসবাসকারী আহমদ আলী ২০১৪ সালের শেষের দিকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেন। তারপর ২০১৫ সালে বিশ্বনাথের দেওকলস ইউনিয়নের সৈয়দপুর (সদুরগাঁও) গ্রামের মৃত মাহমদ আলীর মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রতি রাতেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। ভয়ে স্ত্রী তার লন্ডন প্রবাসী ভাই আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ধারে প্রায় ৮ লাখ টাকা স্বামীকে এনে দেন। তারপর স্ত্রীর বড়ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ১৫লাখ টাকার নোহা গাড়ি এনে দেন স্ত্রী রুমি। কিন্তু টাকা আর গাড়ি এনে দিলেও তার উপর স্বামীর নির্যাতন কমেনি। তাছাড়া গাড়িটিও নিজে ব্যবহার না করে প্রতারণা করে বিক্রি করে দেন আহমদ আলী। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝটির পর সর্বশেষ গত রমজান মাসে বাবার বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী আর তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন নি। এই সুযোগে স্ত্রীকে না জানিয়ে মঙ্গলবার গোপনে বালাগঞ্জের একটি গ্রামে বিয়ে করে বাড়ি ফিরেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ওই লন্ডনী।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীর বড় ভাই আব্দুর রহিম বাদি হয়ে থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন। বিশ্বনাথ থানায় মামলা নং-২৫। মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে নোহা গাড়িটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের ওল্ডহামে বসবাসকারী আহমদ আলী ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর সিলেটের ওসমানীনগর থানা পুলিশের হাতে এক যুবতী ও সহযোগীসহ ধরা পড়েন। সিলেটের ওসমানীনগর থানায় দায়েরকৃত মামলা নং ২৯/১৮ইং। ধরা পড়ার পর পুলিশের কাছে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলার কথা বলেন। মঙ্গলবার প্রতারণা মামলায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশের কাছে ধরা পড়েও একই বক্তব্য দেন তিনি।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, অনেক অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় আহমদ আলীকে আদালতে না পাঠিয়ে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে শশুরবাড়ি থেকে এনে বিক্রি করা গাড়িটি বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্বনাথে গাছ উপড়ে পড়ে ভাঙ্গছে রাস্তা, এলাকাবাসীর দূর্ভোগ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: প্রায় তিন বছর ধরে একের পর এক গাছ উপড়ে পড়ে ভেঙ্গে চলেছে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিএনটি (বিশ্বনাথ-মুফতিরগাঁও স্কুল) রোড। ভাঙ্গণ অব্যাহত থাকলেও জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছেনা কোন সংস্কার কাজ। আর সংস্কারের অভাবে এলাকাবাসীর দূর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে জীবনঝুঁকি নিয়েই ব্যস্ততম রোডে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে।
উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিদিন চরম দূর্ভোগ সহ্য করে যেতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায়। সাধারণ মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজেও এই রাস্তা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রোগীদের বহনে পোহাতে হচ্ছে চরম লাঞ্চনা আর বঞ্চনা। রাস্তার এমন করুণ অবস্থা থাকার কারণে এর প্রভাব পড়ে ব্যবসায়ও।
এলাকাবাসী রোডের ভাঙ্গন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘদিন ধরে রোডের পাশে ও বাসিয়া নদীর তীরে থাকা পুরানো গাছগুলো নিলামের মাধ্যমে কর্তন কিংবা ডাল-পালা ছাটাই করার দাবি জানিয়ে আসলেও এ ব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে বিড়ম্বনাই এখন এলাকাবাসীর সম্বল হয়ে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলজিইডির আওতাধীন টিএনটি রাস্তার প্রথম অংশে প্রায় তিন বছর পূর্বে বিশাল আকৃতির ৩টি রেইনট্রি গাছ ভেঙ্গে পড়ে। এর পর আরো দুটি। সর্বশেষ আনুমানিক ১০-১২ দিন পূর্বে একই আকারের আরও ১টি গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়ে। একই সারিতে থাকা একাধিক গাছ হেলে আছে। এগুলো উপড়ে পড়লে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও বাসা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। এদিকে প্রথম দিকে গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তায় যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন বিশাল বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি গর্তের পরিমাণ আরোও বৃদ্ধি পেয়েছে। গাছ উপড়ে এভাবে সড়কে একের পর এক গর্ত সৃষ্টি হলেও মানুষের দূর্ভোগ কমাতে তা আর সংস্কার করা হচ্ছেনা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এক দিকে যেমন দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় কোন সংস্কার কাজ হচ্ছে না, তেমনি ১০-১২ দিন পূর্বে উপড়ে পড়া বিশাল আকৃতির গাছটি অপসারণ করারও কোন উদ্যোগ গ্রহন করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গাছগুলোর ব্যাপারে দ্রুত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এতে এলাকাবাসীকে আরোও চরম দূর্ভোগ পোহাতে হবে।
গৃহিনী রাহেলা বেগম বলেন, রিক্সায় করে এ সড়ক দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজে একবার বিশ্বনাথে গেলে পরবর্তী সময়ে শরীরের ব্যাথা কমানোর জন্য আমাদেরকে ঔষধ খেতে হয়। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা জরুরি।
বিশ্বনাথ নতুন বাজার অটোরিক্সা (সিএনজি) সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কোন সংস্কার না হওয়াতে এমনিতেই সড়কটির অবস্থা করুণ। সাথে সাথে বিভিন্ন সময়ে বিশাল আকৃতির গাছগুলো উপড়ে পড়ে সড়কে সৃষ্টি হওয়া বিশাল গর্তগুলো মানুষের দূর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব কারণে জীবিকা নির্বাহের জন্যই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এ সড়কে শত শত চালক প্রতিদিন যানবাহন চালাচ্ছেন। এতে করে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিরও শিকার হচ্ছেন চালকরা।
বিশ্বনাথ নতুন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির কমিশনার এমদাদ হোসেন নাঈম ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছটি সরানোর পাশাপাশি দ্রুত সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ী রিপন সাহা বলেন, সড়কে থাকা হেলে পড়া অন্যান্য গাছগুলো যদি উপড়ে পড়ে তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা ভেঙ্গে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই উপড়ে পড়া গাছ অপসারণ করার পাশাপাশি হেলে পড়া গাছগুলোর ব্যাপারেও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে প্রশাসনকে।
বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক বলেন, দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গাছটির মূল্য নির্ধারণের জন্য বন বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর হেলে পড়া গাছগুলোর ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
বিশ্বনাথে বিদ্যালয়ের মাঠে গাছ, ঝুঁকিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বড় একটি রেন্টি গাছ রয়েছে। ফলে ওই বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা রয়েছে বেশ ঝুঁকিতে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দাবি গাছটি কাটার জন্য কয়েকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্যখানে গাছটি হওয়ায় অনেক সময় গাছের ডাল-পালা উপড়ে পড়ে। এতে যে কোনো সময় শিক্ষার্থীদের উপরে পড়তে পারে এমন আশংকাও রয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।
বিদ্যালয় সূত্রে জানাযায়, ১৯৭২ সালে ৩৪ শতক জমি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২৭৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে ৪টি শ্রেণি কক্ষ একটি অফিস কক্ষ রয়েছে। বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখনো একটি রুম টিনের চালাই রয়েছে। ঠিক বিদ্যালয় ভবনের সামনে একটি গাছ রেন্টি গাছ লাগানো রয়েছে। যার মধ্যে বিশাল আকৃতি। গাছের নিচেই শিক্ষার্থীরা মনের আবেগেই খেলাধুলা করে। গাছের ডাল-পালা পড়ে গিয়ে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফসান আক্তার মীম বলেন, গাছটির নিচেই আমরা খেলাধুলা করি। মাঝে মধ্যে বাতাস আসলেই গাছটি থেকে বড় বড় ডাল মাটিতে পড়ে যায় তখন খুব ভয় লাগে।
বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাব্বি আহমদ বলেন, বিদ্যালয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ওই গাছের নিচে দিয়ে ভয়ে ক্লাস রুমে প্রবেশ করতে হয়।
জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম বলেন, গাছটি বিদ্যালয়ের মাঠে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। একটু ঝড় উঠলে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে গাছটি সরানোর জন্য একাধিক বার আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। কিন্তু এরপর গাছটি সরানো হচ্ছেনা। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে গাছটি সরানোর উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি আহবান জানান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ওই বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠের গাছটি সরানোর জন্য অনেক আগেই আমরা ইউএনও অফিসে রির্পোট দিয়েছি। তবে গাছটির ডাল-পালা ছাটাই করার জন্য বলা হয়েছে। তবে বন বিভাগের অনুমোদন পেলেই গাছটি কেটে দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সদ্য যোগদানকারী নবাগত ইউএনও বর্ণালী পাল চৌধুরী ছুটিতে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বিশ্বনাথ থানায় নবাগত ওসি মূসা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করবেন মো. শামীম মূসা। ১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন এক অফিস আদেশে তাঁকে বিশ্বনাথ থানায় ওই পদে নিযুক্ত করেন। বিশ্বনাথ থানার বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএমকে একই তারিখে সিলেটের কানাইঘাট থানায় বদলী করা হয়।
নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম মূসা এর আগে সিলেট পুলিশ লাইন্সের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ছিলেন।
বিশ্বনাথে কুনিয়া-ঘুনিয়া খাল অমসৎজীবিদের দখলে : রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছেন খাজাঞ্চী ইউনিয়নের কুনিয়া-ঘুনিয়া খাল। এমন অভিযোগে স্থানীয় এলাকাবাসি গত ৭ জুলাই বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে প্রকাশ : উপজেলার মদনপুর মৌজার জেএলনং ১৭ দাগ নং ১৭৭, ৩৫২, ৭৩৯, ৯৪৩, ৯৫৩ দাগে কুনিয়া-ঘুনিয়া খালের অবস্থান। খালটি দীর্ঘদিন ধরে অমসৎজীবি সদস্য দ্বারা মাছ আহরণ করে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আত্মসাৎ করে আসছে। কুনিয়া-ঘুনিয়া খালটি প্রকৃত মৎস্যজীবিদের অনুকুলে দিয়ে সরকারি রাজস্বের বিনিময়ে খাল বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য এলাকার মৎস্যজীবিরা দাবি জানান।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্ষা না করে দীর্ঘদিন ধরে কুনিয়া-ঘুনিয়া খাল থেকে মাছ আহরণ করে সরকারের রাজস্ব বঞ্চিত করছে। প্রতাভপুর গ্রামের আকলু মিয়ার ছেলে সহিদ মিয়া, পশ্চিম মাখরগাঁও গ্রামের ছাড়াই মিয়ার ছেলে দুদু মিয়া ও একই গ্রামের রইছ আলী ও ছৈয়দ আলী অবৈধভাবে সরকারের রাজস্ব আত্মসাৎ করে তারা মাছ আহরণ করে আসছে।
এলাকার মৎস্যজীবি লোকজন প্রধান মন্ত্রীর স্লোগান ‘জাল যার জলা তার’ নীতি সামনে রেখে সরকারি রাজস্ব পরিশোধ সাপেক্ষে কুনিয়া-ঘুনিয়া খাল স্থানীয়ভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মৎস্যজীবিদের অনুকুলে খাল বন্দোবস্ত দিতে সরকারের প্রতি জোরদাবি জানান।