রবিবার ● ৪ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ১২০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রীজ নির্মানের আগেই ভেঙ্গে পড়লো গার্ডার
১২০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রীজ নির্মানের আগেই ভেঙ্গে পড়লো গার্ডার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা এলাকায় নবগঙ্গা নদীর উপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন ১২০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রীজের দুইটি বৃহৎ আকারের গার্ডার (বেষ্টক) ভেঙ্গে পড়েছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ২০ জন শ্রমিক। আজ রবিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। ব্রীজে গার্ডার ভেঙ্গে পড়ার সময় বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সুত্র জানায় জাইকার অর্থয়নে মনিকা লিমিটেড পিডব্লউ ০৩ প্যাকেজের আওতায় ব্রীজটি নির্মান করছে। দেড় বছর ধরে পাইলিং ও মাটি ভরাটের কাছ শেষে এখন ব্রীজের দুই পাশে গার্ডার দেওয়ার কাজ চলছিল। কোম্পানীর ম্যাসেঞ্জার ওলিউর রহমান জুয়েল জানান, জগ দিয়ে গার্ডার স্থানান্তরিত করার সময় অসাবধান বশত প্রায় একশ ফুট দৈর্ঘ্য গার্ডার দুইটি নিচে পড়ে ভেঙ্গে গেছে। শ্রমিকরা এ সময় খাবার গ্রহন করায় বড় ধরণের কোন ক্ষতি হয়নি। তবে এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কাজে ত্রুটি থাকার কারণে এই দুর্ঘনা ঘটেছে। পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ব্রীজের কাজে ব্যাবহৃত পাইপ ও সার্টারগুলো দীর্ঘ দিনের পুরানো ও মরিচা ধরা। প্রায় দেড়শ টন ওজনের দুইটি গার্ডারের ভর সইতে না পারায় গার্ডার দুইটি পড়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুস সালাম গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলতে রাজি হন নি। তবে সাইট ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন জানান, বিষয়টি জেনে বুঝে বলা যাবে। তবে নিশ্চয় কাজে কোন ত্রুটি ছিল। ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নজরুল ইসলাম জানান, আমরা এ কাজের দেখভাল করছি না। ঢাকা থেকে একটি প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজটি হচ্ছে। এই প্রজেক্টের একটি অফিস যশোরে আছে। তাদের সাথে কথা বলুন। আমরা ব্রীজ নির্মানের কোন খোজই রাখি না বলে নির্বাহী প্রকৌলী নজরুল ইসলাম জানান।
ধান-চাল সংগ্রহে অনিয়ম-দুর্নীতি হলে ছাড় দেওয়া হবে না : খাদ্যমন্ত্রী
ঝিনাইদহ :: অভ্যন্তরীন ধান-চাল সংগ্রহে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রবিবার বিকেলে ঝিনাইদহ সদর খাদ্য গুদাম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যেসব স্থানে অনিয়ম দুর্নীতি প্রমানিত হয়েছে। সেখানে দোষিদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোন কোন জায়গায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, তালিকাভুক্ত কৃষক খাদ্যগুদামে ধান দিতে পারছেন না এমন সংবাদে যেখানেই পাচ্ছি সেখানেই লোক পাঠাচ্ছি। শুধু তাই না, মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তর মিলে ২০ টি টিম এ বিষয়ে মনিটরিং এ আছে। তারা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কাজ করছে। কোন স্থানে ধান বিক্রিতে যদি অনিময় হয়ে থাকে তাহলে সেখানে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অন্যান্য বারের চেয়ে এ বছর ধান ও চাল সংগ্রহে অনেক সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে। আমরা মনে করি, এ বছর রাজনৈতিক চাপ নেই। পরিদর্শণকালে, খাদ্য বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল আজিজ মোল্লা, খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ড. এস এম মহসীন, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড, আব্দুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম সোম, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঈদকে সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর-নোংরা পরিবেশে বেকারির খাদ্যদ্রব্য তৈরী, মনিটরিং নেই কর্তৃপক্ষের
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা জুড়েই ঈদকে সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর-নোংরা পরিবেশে বেকারির খাদ্যদ্রব্য তৈরি করে গ্রামের অলিগলি মহল্লায় হরদম বিক্রি হচ্ছে খোলামেলা বেকারী তৈরী বিস্কুট চানাচুর, পাউরুটি, কেক, সন্দেশ সহ নানা বাহারী মুখরোচক খাবার। এ বিষয়ে মনিটরিং নেই কর্তৃপক্ষের, অভিযোগ এলাকাবাসীদের। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলা সহ জেলা শহরের চাকলাপাড়া, আরাপপুর, হামদহ সহ শহরেরর অলি গলিতে গড়ে ওঠা বেশ কিছু অস্বাস্থ্যকর-নোংরা পরিবেশে বেকারির খাদ্যদ্রব্য তৈরি করে সারা শহর জুড়েই ডিষ্ট্রিবিউশন করা হচ্ছে। আবার সদরের হলিধানী’র ঢাকা বেকারি, সাগান্না আমেরচারা এলাকার মুনফুড বেকারি, ডাকবাংলা হারুন বেকারিতে, নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্ন উপকরন দিয়ে অবাধে তৈরী করা হচ্ছে বেকারী সামগ্রী। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরী খাবার রাখা আছে সেখানেই রাখা ক্ষতিকারক রাসায়নকি পদার্থ, কেমিক্যাল এবং একাধিক ড্রামে পাম ওয়লে। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরী পণ্য। শ্রমিকদের খোলা শরির আর, খালি পায়ে এসব পণ্যরে পাশ দিয়ে হাঁটাহাটি করছে। আটা ময়দা প্রক্রিয়াজাত করানো কড়াইগুলোও রয়েছে অপরিস্কার ও নোংরা। ডালডা দিয়ে তৈরী করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভন ভন করছে। উৎপাদন ও মেয়াদউর্ত্তীর্ন তারিখ দামি বাহারি মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, পুডিংসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারী সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিএসটিআিই ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাঝে মধ্যেই এসব কারখানায় অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হয়। ঈদকে সামনে রেখে এখন তারা আরো বেপোরোয়া গতিতে চালাচ্ছে তাদের পণ্য উৎপাদন। তাছাড়া এসব বেকারি মালিকরা বিকল্প বেকারি মোড়কে ২ নম্বর খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন চায়ের দোকানে সরবারহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম জানান, যদি কোন বেকারি মালিক খাদ্যনীতিমালা অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিন বছরের শিশুকে মোবাইলে গেম খেলানোর কথা বলে যৌন নির্যাতন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া এলাকায় তিন বছরের শিশুকে মোবাইলে গেম খেলানোর কথা বলে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবক আবদুল কাদের জিলানীকে (২০) আটক করেছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আজ রবিবার দুপুরে আবদুল কাদের জিলানীকে শহরের আড়পাড়া এলাকা থেকে আটক করে। অভিযুক্ত আটক যুবক শহরের একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করতো এবং সে পটুয়াখালীর গলাচিপা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে মোবাইলে গেম খেলানোর কথা বলে শিশুটিকে ডেকে নিজের ঘরে নিয়ে যায় আবদুল কাদের জিলানী। কিছুক্ষণ পর শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় ওই যুবক। শিশুটিকে খোঁজাখুঁজির মধ্যে তার মা বিষয়টি দেখে ফেলে। এরপর রোববার দুপুরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির মা। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন শিশুটির মা। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে।
শৈলকুপায় ফের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪০ জন আহত, বাড়ীঘর ভাংচুর
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। আজ রবিবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ভাংচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ীঘর। স্থানীয়া জানায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই গ্রামের ইউপি সদস্য ইসরাইল হোসেন ও একই গ্রামের সামাজিক মাতব্বর মতিয়ার রহমানের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। পাট জাগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেলে মতিয়ারের সমর্থক ৩ জনকে মারধর করে ইসরাইল হোসেনের সমর্থকরা। এরই জের ধরে রোববার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়। ভাংচুর করা হয় প্রায় ২০টি বাড়ী ঘর। খবর পেয়ে শৈলকুপা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৬ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমান বলেন, ঘটনার সংবাদ শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।